শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

হাইপ্রোফাইল কোচ ওয়ালশই

ক্রীড়া প্রতিবেদক

হাইপ্রোফাইল কোচ ওয়ালশই

মাহিন্দর অমরনাথ, গর্ডন গ্রিনিজ, এডি বারলো, মহসীন কামাল, ট্রেভর চ্যাপেল, ডেভ হোয়াটমোর, জেমি সিডন্স, রিচার্ড পাইবাস, স্টুয়ার্ট ল, শেন জারগেনসন, চন্ডিকা হাতুরাসিংহে— ১৯৯৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত টাইগারদের প্রধান কোচের তালিকা। তবে কোচিং স্টাফে হাইপ্রোফাইলের কথা চিন্তা করলে সাবেক বোলিং কোচ জিম্বাবুইয়ান ক্রিকেটার হিথ স্ট্রিক ছিলেন সবচেয়ে বড় তারকা।

কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে কোর্টনি ওয়ালশই এখন সবচেয়ে হাইপ্রোফাইল কোচ। টাইগারদের কোচ হিসেবে কাজ করা দ্বিতীয় ক্যারিবিয়ান। এর আগে আরেক ক্যারিবীয় তারকা গর্ডন গ্রিনিজ বাংলাদেশের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। গ্রিনিজ ১৯৯৬ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের কোচ ছিলেন। ওই সময়ই বাংলাদেশের ক্রিকেট নতুন উচ্চতায় উঠে যায়। ১৯৯৭ সালে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জিতে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায়। বাংলাদেশ ক্রিকেট বর্তমানে যে অবস্থানে তার ভিত্তিটা তৈরি করেছিলেন গ্রিনিজই।

দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা কোচ এডি বারলোকে দীর্ঘ মেয়াদেই নিয়োগ দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু এক বছর পরই প্যারালাইসড হয়ে যান এই প্রোটিয়া কোচ। বাংলাদেশের টেস্ট অভিষেকের আগেই টাইগারদের কোচের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে হয়। পাকিস্তানের মহসীন কামাল বাংলাদেশে এসেছিলেন সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য। ট্রেভর চ্যাপেলও এক বছরের বেশি সময় ছিলেন না। তবে চার বছরের পূর্ণ মেয়াদেই দায়িত্ব পালন করেছেন অস্ট্রেলিয়ান কোচ ডেভ হোয়াটমোর।

জেমি সিডন্সও চার বছরের পূর্ণ মেয়াদেই দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য এসেছিলেন স্টুয়ার্ট ল ও শেন জারগেনসন। ল ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ জয়ী দলের তারকা ক্রিকেটার। কিন্তু পারিবারিক কারণে তিনি বাংলাদেশে বেশি থাকেননি। হঠাৎ ল চলে যাওয়ায় সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য তখনকার বোলিং কোচ শেন জারগেনসনকেই প্রধান কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

তবে ক্রিকেটার হিসেবে ক্যারিয়ারে তারকা খ্যাতির কথা চিন্তা করলে বাংলাদেশের কোচিং স্টাফে নতুন বোলিং কোর্টনি ওয়ালশের নামই থাকবে সবার ওপরে। যদিও এর আগে কোনো জাতীয় দলে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা নেই তার। তবে পেস বোলিং কোচ হিসেবে এই মুহূর্তে ওয়ালশের চেয়ে আকর্ষণীয় আর কেউ হতে পারে না! ১৭ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ৫১৯টি উইকেট নিয়েছেন। তা ছাড়া ওয়ালশ হচ্ছেন পেসারদের আইডল। এমন একজন কিংবদন্তি পেসারের সান্নিধ্য পাওয়াই বিশাল কিছু। সেখানে বাংলাদেশের পেসাররা এখন তার সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করবেন —বিষয়টি মাশরাফি, মুস্তাফিজদের জন্য রোমাঞ্চকরই বটে। মুস্তাফিজ, মাশরাফি, তাসকিন, রুবেল, আল আমিন— বিশ্বমানের  পেসাররা এখন বাংলাদেশ দলে। টাইগারদের পেস আক্রমণ এখন বিশ্বের যে কোনো দলের জন্য ভয়ঙ্কর। ওয়ালশের মতো কিংবদন্তি পেসার বোলিং কোচ হিসেবে যোগ দেওয়ায় বাংলাদেশের পেস আক্রমণটা যে আরও শক্তিশালী হবে তা তো বলার অপেক্ষা রাখে না।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর