সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় উচ্ছ্বসিত ওয়ালশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় উচ্ছ্বসিত ওয়ালশ

১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সেলিম জাফরকে রান আউট করতে পারতেন। কিন্তু করেননি কোর্টনি ওয়ালশ। রান আউট করলেই সেমিফাইনাল খেলতে পারতো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সুযোগ পেয়েও রান আউট না করায় অনেকেই তখন সমালোচনা করেছিলেন ওয়ালশের। কিন্তু গায়ে মাখেননি ক্যারিবীয় ফাস্ট বোলার। তার ওই সিদ্ধান্ত ক্রিকেটকে ঠাঁই দেয় অনন্য উচ্চতায় এবং ওয়ালশ জায়গা নেন ক্রিকেটপ্রেমীদের অন্তরে। ‘নিপাট ভদ্রলোক’ কোর্টনি ওয়ালশ এখন ঢাকায়। মাশরাফিদের বোলিং কোচ হয়ে ঢাকায় এসেছেন শনিবার রাতে। কাল দুপুরে বিসিবির সঙ্গে ২০১৯ সাল পর্যন্ত চুক্তি সেরে মুখোমুখি হন মিডিয়ার এবং বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা বলেন। জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘ফাদার ফিগার’ হতে চান তিনি।

ওয়ালশ ক্যারিবীয় ক্রিকেটের শেষ প্রজন্মের ফাস্ট বোলার। তার পরে এসেছেন কার্টলি অ্যামব্রোস। দুজনে মিলে গড়ে তুলেছিলেন ভয়ঙ্কর জুটি। ওয়ালশ যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজে দলে খেলতে আসেন, তখন বিশ্ব শাসন করছেন মাইকেল হোল্ডিং, ম্যালকম মার্শাল, জোয়েল গার্নার, অ্যান্ডি রবার্টসরা। এদের সঙ্গে খেলতে খেলতে গড়ে নেন নিজেকে। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে দেড় যুগের বেশি দাপটের সঙ্গে খেলেছেন টেস্ট। টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে ৫০০ উইকেট নেওয়া ওয়ালশ এখন টাইগারদের বোলিং কোচ। তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা দিয়ে চাইছেন বাংলাদেশের তরুণ পেস বোলারদের বিশ্বমানের গড়ে তুলতে। বিসিবির সঙ্গে চুক্তির আনুষ্ঠানিক সেরে কোচ হওয়ার স্বপ্ন পূরণের কথা বলেন ওয়ালশ, ‘আমি সব সময় স্বপ্ন দেখতাম একটি আন্তর্জাতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে। বাংলাদেশ যখন আমাকে প্রস্তাব দেয়, তখন আমি দ্বিতীয়বার ভাবিনি। এটা আমার স্বপ্ন। আমি তাই কোনো দ্বিধা না করেই রাজি হয়ে যাই। বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি অনেক খুশি। আমি আমার অভিজ্ঞতা, মেধা দিয়ে বাংলাদেশের তরুণ পেসারদের গড়ে তুলতে চাই। যদি পারি, সেটাই হবে আমার প্রাপ্তি।’

সর্বশেষ খবর