সোমবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

মুশফিকের ৪ হাজার

ক্রীড়া প্রতিবেদক

মুশফিকের ৪ হাজার

মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে রান খরা। আফগানিস্তান সিরিজে সর্বোচ্চ ছিল ৩৮ রান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেও প্রথম ম্যাচে মাত্র ১২ রান। দ্বিতীয় ম্যাচটাও খুব ভালো করেননি তিনি। তবে একটা দারুণ মাইলফলক ঠিকই স্পর্শ করেছেন ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’। বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে ৪ হাজার রান সংগ্রহ করেছেন তিনি। গতকাল ব্যাটিংয়ে নেমেই প্রথম দুই বলে দুটি চার মারেন মুশফিক। খানিক পর একটি ডাবল। পানি পানের বিরতির পর দুটি সিঙ্গেল। এরই মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম পৌঁছে যান ৪ হাজার রানের মাইলফলকে। প্রয়োজনীয় ১২ রান ততোক্ষণে সংগ্রহ করে নেন তিনি। ওয়ানডেতে মুশফিকের আগে তামিম ইকবাল (৪৯৬২) এবং সাকিব আল হাসান (৪৫৬২) বাংলাদেশের জার্সিতে এই মাইলফলক পাড়ি দিয়েছেন।

২০০৬ সালের ৬ আগস্ট জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে একই সঙ্গে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের। খালেদ মাসুদও ছিলেন ওই একাদশে। এ কারণে মুশফিক নেমেছিলেন বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবে। অবশ্য প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাটিং করতে পারেননি তিনি। তবে নিজেকে একজন যোগ্য ব্যাটসম্যান হিসেবে দ্রুতই প্রমাণ করেন মুশফিক। ষষ্ঠ ইনিংসেই দেখা পান প্রথম অর্ধশতকের। অভিজ্ঞ খালেদ মাসুদকে বাদ দিয়ে নির্বাচকরা উইকেটের পেছনে আস্থা রাখতে শুরু করেন মুশফিকের ওপর। তিনিও দিয়ে যান আস্থার প্রতিদান। নিজের ৫৫তম ইনিংসে ২০১০ সালে ভারতের বিপক্ষে ১ হাজার রান স্পর্শ করেন মুশফিক। পরের হাজার রান ছুঁতে লাগে আরও ৪২ ইনিংস! ২০১২ সালে আবার ভারতের বিপক্ষেই স্পর্শ করেন ২ হাজার রান। ততদিনে ব্যাটসম্যান হিসেবে আরও পরিণত হয়ে উঠেছেন মুশফিক। পরের হাজার রান করতে লেগেছে মাত্র ২৮ ইনিংস। ২০১৪ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন মুশফিকুর রহিম। ইদানীং মুশফিকের ব্যাটে তেমন একটা রান নেই। তবে এরপরও ৩ থেকে ৪ হাজার রানে পৌঁছতে মুশফিক খেলেছেন মাত্র ২৪ ইনিংস! ৪টি সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির তালিকায়ও মুশফিক আছেন তিনে। অর্ধশতক করেছেন ২২টি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর