সোমবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

মামুনুলদের বাঁচা মরার লড়াই

অ্যাওয়ে ম্যাচে প্রতিপক্ষ ভুটান

ক্রীড়া প্রতিবেদক

মামুনুলদের বাঁচা মরার লড়াই

থিম্পুতে বাংলাদেশ আজ কি করবে? এএফসি এশিয়ান কাপ প্রাক-বাছাই পর্বে ফুটবলে অ্যাওয়ে ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত ম্যাচে কেউ জেতেনি। গোলশূন্য ড্র হয়। সেক্ষেত্রে আজ ড্র করলেই বাংলাদেশ বাছাইপর্বে চলে যাবে। র‌্যাঙ্কিং বা মানেই যতই অবনতি ঘটুক না কেন থিম্পু ম্যাচে বাংলাদেশেই ফেবারিট। তারপরও সাম্প্রতিক সময় জাতীয় দলের যে লজ্জাকর পারফরম্যান্স তাতে ভুটানের কাছে হেরে না যায় এই শঙ্কাও কাজ করছে। সত্যি বলতে কি ম্যাচ ঘিরে চিন্তায় আছে ফুটবলপ্রেমীরা।  ফুটবল ইতিহাসে এখনো ভুটানের কাছে হারেনি। অধিকাংশ ম্যাচেই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। কিন্তু এখন আর সেই অবস্থা নেই। জয় পাওয়াটা যেন স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। ম্যাচ যদি হেরে যায় শুধু বাছাইপর্ব থেকে বাদ পড়বে না। দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের বাইরে থাকতে হবে। বাফুফে আজকের ম্যাচকে ঘিরে বেশ সতর্ক। কোচ সেইন্টফিটকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার কথা বলা হলেও এবার চূড়ান্ত দল গড়ার পেছনে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের হস্তক্ষেপের কথা শোনা যাচ্ছে। বিশেষ করে সিনিয়র দুই খেলোয়াড় মামুনুল ইসলাম ও জাহিদ হাসান এমিলির অন্তর্ভুক্ত করার পেছনে নাকি সালাউদ্দিনের ভূমিকা ছিল। ঢাকা ম্যাচে বাদ পড়ার পর ক্ষোভে জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। এমিলি ইনজুরিতে দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন। দুই অভিজ্ঞ ফুটবলারকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে মূলত সভাপতির নির্দেশে। টেনশনপূর্ণ ম্যাচে অভিজ্ঞ ফুটবলাররা মাঠে থাকলে দল উপকৃত হবে। এই ধারণা সেরা একাদশে নেওয়া হয়েছে। মামুনুল, এমিলির আগমনে বাংলাদেশ কি জ্বলে উঠতে পারবে? কিছুদিন আগেও থিম্পুর মাঠে এএফসি ক্লাব কাপে শেখ রাসেল হেরে আসে ভুটান চ্যাম্পিয়নের কাছে। প্রথমার্ধে স্বাগতিকরা এতটা গতিময় খেলা খেলে যে শেখ রাসেলকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না। ১-৪ গোলে পিছিয়ে ছিল। শেষ পর্যন্ত ৪-৩ গোলে হার মানে। শেখ রাসেলে জাতীয় দলের বেশ ক’জন খেলোয়াড় ছিলেন। সুতরাং আজ ভুটানকে কোনোভাবেই হাল্কা করে দেখা যাবে না। কোচ সেইন্টফিট মাঠের উচ্চতা ও শীত নিয়ে কিছুটা বিচলিত। কিন্তু গতকালও বলেছেন আমরা জিততেই এসেছি। আশা করি সফলও হবো। ঢাকা ম্যাচে অসংখ্য গোলের সুযোগ নষ্ট করায় বাংলাদেশ জিততে পারেনি। আশার কথা লিগে স্ট্রাইকাররা গোল পেয়েছে। এটা একটা ভালো দিক। সেইন্টফিট বলেন, ভুটান এমন কোনো শক্তিশালী দল না যে তাদের বিপক্ষে জেতাই যাবে না। ভালো খেললে বাংলাদেশ সহজভাবেই জিততেই পারবে। অভিজ্ঞ ও তরুণদের নিয়ে দল গড়া হয়েছে। আশা রাখি সমর্থকদের খুশি করার মতো পারফরম্যান্স প্রদর্শন করবে বাংলাদেশ। ভুটান এক সময় জাতীয় দলতো দূরের কথা মোহামেডান-আবাহনীর কাছেও পাত্তা পেত না। গোলের বন্যায় ভেসে যেত। এমনও সময় গেছে তারা কম গোল দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের কাছে অনুরোধ রাখত। এখন সেই ভুটানই ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভুটানের কোচ বলেছেন, আমাদের বাঁচা-মরার লড়াই। সেভাবে প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নামব। প্রতিপক্ষরা অবশ্যই শক্তিশালী। তারপরও হারানোর সামর্থ্য রাখি। দুদলই জিততে চাচ্ছে কিন্তু জিতবে কে? বিশেষ করে বাংলাদেশের কাছে ম্যাচটি প্রেস্টিজের লড়াই। হারলে ফুটবল ঘিরে ক্রীড়ামোদীদের আগ্রহটা অনেক কমে যাবে। শেষ পর্যন্ত মামুনুলরা জয় না লজ্জা নিয়ে মাঠ ছাড়বেন সেটাই এখন  দেখার অপেক্ষা।

সর্বশেষ খবর