শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

শেষ আটে এক পা রিয়ালের

ক্রীড়া ডেস্ক

শেষ আটে এক পা রিয়ালের

আবারও নেপোলির জালে গোল। উৎসবে মেতেছেন রিয়াল মাদ্রিদের ফুটবলাররা —এএফপি

ট্রেবলের স্বপ্ন দেখা বার্সেলোনাকে আগের দিন গুড়িয়ে দিয়েছে প্যারিস সেন্ট জার্মেইন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে মেসি, নেইমার, সুয়ারেজদের বার্সাকে ফিরতি লিগে জিততে হবে নিদেন পক্ষে পাঁচ গোলের ব্যবধানে। ফিরতি ম্যাচ বার্সেলোনা খেলবে ঘরের মাঠে। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাস বলছে ফিরতি লিগে পাঁচ গোলের ব্যবধানে জেতার কোনো রেকর্ড নেই। পরিসংখ্যানের বিচারে বার্সার ট্রেবল জেতার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে চির প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ কোয়ার্টার ফাইনালে এক পা দিয়েই ফেলেছে। শেষ ষোলোর লড়াইয়ের প্রথম লেগে জিনেদিন জিদানের রিয়াল মাদ্রিদ ঘরের মাঠ সান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে ৩-১ গোলে হারিয়েছে ইতালিয়ান জায়ান্ট নেপোলিকে। ম্যাচটিতে প্রথমে পিছিয়েই ছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। আশ্চর্য হলেও সত্যি,  চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বোচ্চ ৯৫ গোল করা রোনালদো কোনো গোলই পাননি। শেষ ২৩ মিনিট ধরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চারবারের বিশ্বসেরা ফুটবলারের বুট থেকে গোলের দেখা পায়নি রিয়াল। গোল না পেলেও অবশ্য নেপোলির বিপক্ষে গোলগুলোর সহায়ক ছিলেন কিন্তু তিনিই। রোনালদো সর্বশেষ গোল করেন গ্রুপ পর্বে বুরুশিয়া ডর্টমুণ্ডের বিপক্ষে। দিনের আরেক ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখ ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে ইংলিশ জায়ান্ট আর্সেনালকে। 

শুরুর বাঁশি বাজতেই গোল প্রায় পেয়েই গিয়েছিল রিয়াল। কিন্তু রোনালদোর ক্রসে বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়েও প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে পারেননি করিম বেনজামা। ৮ মিনিটে খেলার বিপরীতে এগিয়ে যায় সফরকারী নেপোলি। প্রায় ২৫ মিটার দূর থেকে ইনসিনিয়ের বাঁকানো শট ঠেকাতে পারেননি রিয়ালের গোলরক্ষক কেইলর নাভাস। ১২ মিনিটে আবার গোল মিস করেন বেনজামা। ফলে সমতা আনতে ব্যর্থ হয় স্বাগতিকরা। ১৮ মিনিটে জিদানের শিষ্যরা সমতা আনে। ড্যানিয়েল কারভালহোর দারুণ ক্রসে দুর্দান্ত হেডে সমতা আনেন বেনজামা (১-১)। সমতা আনার পর প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগের ওপর চেপে বসে রিয়াল। অসাধারণ খেলতে থাকা জিদানের শিষ্যরা দুই দুটি গোল মিস করেন। যার একটি করেন রোনালদো। লুকা মড্রিচের কাছ থেকে বল পেয়েও বারপোষ্টের ওপর দিয়ে মারেন চারবারের বিশ্বসেরা ফুটবলার। ৪২ মিনিটে বেনজামা ফের গোল মিস করেন। ফলে ১-১ গোলের সমতা নিয়েই শেষ হয় প্রথমার্ধ। দ্বিতীয়ার্ধে খেলার গতি বাড়িয়ে দেয় রিয়াল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ম্যাচটির ঘরের মাঠে আগের ৩৩ ম্যাচে মাত্র একটি হেরেছে রিয়াল। আত্মবিশ্বাসী জিদানবাহিনী দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যায়। ৪৯ মিনিটে রোনালদোর ক্রসে বল ধরেন টনি ক্রুস। জার্মান মিডফিল্ডার বল ধরে ডি বক্স থেকে বুলেট গতিতে এগিয়ে নেন দলকে (২-১)। ৫২ মিনিটে ম্যাচের শেষ গোলটি করেন কাসেমিরো। গত ২৯ অক্টেবরের পর এই প্রথম হারলো নেপোলি। ইতালিয়ান দলটিকে উৎসাহ জোগাতে মাঠে উপস্থিত ছিলেন সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার ম্যারাডোনা। নিজেদের মাঠ অ্যারিয়াঞ্জ অ্যারেনায় বায়ার্ন মিউনিখ রীতিমতো ছেলেখেলায় মেতেছিল আর্সেনালকে নিয়ে। গত মৌসুমের মতো এবারও ৫-১ গোলের দুর্দান্ত জয় তুলে নেয় জার্মান জায়ান্টরা। দলের ডাচ তারকা অ্যারিয়েন রোবেনের গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। আর্সেনালের পক্ষে সমতা আনেন অ্যালেক্সিস সানচেস। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে আর পেড়ে ওঠেনি গানাররা। একে একে চার গোল করে স্বাগতিক বায়ার্ন। বায়ার্নের চার গোলের দুটি দেন পোলিশ তারকা লেভানদোভস্কি, আলকানতারা ও টমাস মুলার।  চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্নের বিপক্ষে আর্সেনালের গল্পটা সব সময়ই হতাশার। ২০০০-০১ মৌসুমে গ্রুপ পর্বের প্রথম লেগে বায়ার্নের কাছে হেরেছিল আর্সেনাল। পরের ম্যাচের অবশ্য ড্র করেছিল। ২০০৪-০৫ আসরে বায়ার্নের কাছে হেরেই শেষ ষোলো থেকে ছিটকে পড়েছিল আর্সেনাল।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর