বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

বিশ্বকাপের সেমিতে বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বিশ্বকাপের সেমিতে বাংলাদেশ

রোল বল বিশ্বকাপে আগের তিন আসরে বাংলাদেশের বড় প্রাপ্তি ছিল সপ্তম হওয়া। কাল সেমিফাইনালে ওঠে উচ্ছ্বাসে মাতেন খেলোয়াড়রা —বাংলাদেশ প্রতিদিন

বিশ্বকাপের মতো মহা আসরে অংশ নেওয়াটাই বাংলাদেশের জন্য এক বিশেষ সম্মানের ব্যাপার। ক্রিকেটে অবশ্য এখন লক্ষ্যমাত্রাটা পরিবর্তন হয়ে গেছে। অংশগ্রহণ ছাড়াও অর্জনের হিসেবটা করতে হয় ক্রিকেটে। তবে ফুটবল কিংবা অন্য ইভেন্টগুলোতে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণই তো স্বপ্ন। কিছুদিন আগে অবশ্য কাবাডি বিশ্বকাপেও অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। সেখানে গ্রুপপর্ব পাড়ি দিতে পারেনি লাল-সবুজ পতাকাধারীরা। কিন্তু অতীত-বর্তমানের সব হিসাবই পরিবর্তন করে দিয়েছে রোল বল বিশ্বকাপ। একের পর এক বাঁধা অতিক্রম করে বাংলাদেশ পৌঁছে গেছে এ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। এতদিন যে কোনো বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য ছিল কোয়ার্টার ফাইনাল (২০১৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপে)। এবার সে সাফল্য ছাড়িয়ে গেলেন আসিফরা। গতকাল সকালে বাংলাদেশ প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে চাইনিজ তাইপেকে ১২-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে। এরপর দুপুরে শেষ আটের লড়াইয়ে নেপালকে ৬-৩ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে যান আসিফরা।

রোল বল বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়ে মেয়েরা হতাশ করলেও আপন লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের ছেলেরা। গতকাল মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে একই দিনে দুটি জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা। মেয়েদের বিদায়ের পর আশা বেঁচে ছিল ছেলেদের ঘিরেই। সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে সেই প্রত্যাশা বহুগুণে বাড়িয়ে দিলেন আসিফ-হৃদয়রা। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে চাইনিজ তাইপেকে ১২-১ গোলে হারায় বাংলাদেশ। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা হৃদয় একাই করেন পাঁচ গোল। এছাড়া মারুফ ও আরাফাত দুটি করে এবং পিয়াস ও ওয়ালি একটি করে গোল করেন।

শেষ আটে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেপাল। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই স্বাগতিক আসিফ বাহিনীর লক্ষ্য ফাইনালে খেলা। কোয়ার্টার ফাইনালে নেপালকে পেয়ে যেন এ লক্ষ্য আরও দৃঢ়তার রূপ নেয়।  দুপুরে শুরু হওয়া ম্যাচে হৃদয়ের ক্ষিপ্রগতি সামলাতেই হিমশিম খেতে হয় নেপালিদের। অবশ্য ম্যাচের ১২তম মিনিটে গোল উৎসবের সূচনা করেন সোহাগ। তিন মিনিট পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হৃদয়। টুর্নামেন্টে প্রায় প্রতিটা ম্যাচেই দুরন্ত খেলেছেন হৃদয়। গোল করে দলকে উপহার দিয়েছেন বড় জয়। সেমিফাইনালের পথেও তিনিই সারথি হয়ে থাকলেন। ম্যাচের ১৯ মিনিটে দলের হয়ে তৃতীয় এবং নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন সোহাগ (৩-০)। প্রথমার্ধে আরাফাতের গোলে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে দলের পক্ষে আরও দুটি গোল করেন হৃদয়। নেপালের পক্ষে দুটি গোল করেন মনন্দা। সেমিফাইনালে বাংলাদেশ শক্তিশালী ইরানের মুখোমুখি হবে। গতকাল কোয়ার্টার ফাইনালে পাকিস্তানকে ৬-২ গোলে হারিয়ে শেষ চার নিশ্চিত করেছে ইরান। বিশ্বকাপের মতো বিরাট আসরে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে। লক্ষ্য এবার ফাইনাল। সব বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে বাংলাদেশ ফাইনাল খেলতে পারবে তো! করবে তো বিশ্বজয়!

সর্বশেষ খবর