শিরোনাম
শুক্রবার, ৩ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

প্রস্তুতি ম্যাচে তামিমের সেঞ্চুরি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রস্তুতি ম্যাচে তামিমের সেঞ্চুরি

কলম্বো পৌঁছার পর বৃষ্টি বাধায় অনুশীলন করতে পারেনি টাইগাররা। ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং করতে না পারার আক্ষেপ নিয়েই গতকাল মরুতোয়ায় দুদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নেমেছেন মুশফিকরা। প্রস্তুতি ম্যাচের প্রতিপক্ষ কোন দল, ম্যাচের আগের দিন পর্যন্ত জানতো না বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টিম ম্যানেজমেন্ট। রাতের বেলায় মুশফিকদের জানানো হয় প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড একাদশ। দলকে নেতৃত্ব দিবেন জাতীয় দলে খেলা  দিনেশ চন্ডিমল। প্রতিপক্ষ যেই হউক না কেন, প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটিং অনুশীলনটা ভালোভাবেই সেরে নিয়েছে বাংলাদেশ। তামিম ইকবালের সেঞ্চুরি এবং মুমিনুল হক ও লিটন দাসের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে প্রথম দিনে ৯০ ওভার ব্যাটিং করে ৭ উইকেটে ৩৯১ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ১৩৬ রান তুলে স্বেচ্ছায় অবসরে গেছেন বাঁ হাতি ওপেনার তামিম। মুমিনুলের ব্যাট থেকে বেরিয়েছে ৭৩ রানের জ্বলজ্বলে ইনিংস এবং লিটন অপরাজিত রয়েছেন ৫৭ রানে।

৭-১১ মার্চ গলে সিরিজের প্রথম টেস্ট। দলকে নেতৃত্ব দিবেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু উইকেটের পেছনে তাকে দেখা যাবে না গ্লাভস হাতে। টিম ম্যানেজমেন্ট কোচ চন্ডিকা হাতুরাসিংহে ও ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন তাকে স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন, টিম শুধু তার ব্যাটিংটাই চায়। এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিক। রয়েছেন দারুণ ফর্মে। ওয়েলিংটন টেস্টে ১৫৯ রানের পর হায়দরাবাদেও খেলেন ১২৭ রানের ইনিংস। দুরন্ত ফর্মের মুশফিক যেন শুধুমাত্র ব্যাটিংয়েই মনোযোগ দিতে পারেন, সেজন্যই টিম ম্যানেজমেন্টের এমন সিদ্ধান্ত। মুশফিক টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। তবে সেখানে প্রাণবন্তের অভাব ছিল। এর প্রভাব পড়েছে প্রস্তুতি ম্যাচের ব্যাটিংয়ে। ২১ রানে ফিরেছেন সাজঘরে। তার জায়গায় যিনি কিপিং করবেন, সেই লিটন দাস গতকাল খেলেছেন ৫৭ রানের ঝকমকে অপরাজিত ইনিংস। ইনিংসটি তাকে একাদশে অন্তর্ভুক্ত করার যৌক্তিকতা প্রমাণ করেছে। শোনা যাচ্ছে, টেস্টে লিটনকে ওপেন করতে দেখা যাবে তামিমের সঙ্গে! টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২৬ রানে হারায় বাঁ হাতি ওপেনার সৌম্য সরকারকে। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৪৩ রান করেন তামিম ও মুমিনুল। এর মধ্যে তামিম পুনরায় ফিরেছেন রানে। সাবলীল ব্যাটিং করে খেলেছেন ১৩৬ রানের ইনিংস। টিম ম্যানেজমেন্টের ইচ্ছাতেই তিনি ফিরে আসেন সাজঘরে। ১৮২ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৯টি চার ও ২টি ছক্কা। এই টানা ছক্কায় তিনি তিন অংকের ঘরে পৌঁছান। প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করতে তামিম বল খরচ করেন ১০৭টি। এরপর দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি করেন মাত্র ৩৭ বলে। মজার বিষয় হচ্ছে ৮৬ থেকে ১০০ পৌঁছান মাত্র তিন বলে ৪, ৬ ও ৬ হাঁকিয়ে। তামিমের পথ অনসুরণ করে রিটায়ার্ড হার্ট হন মুমিনুলও। ৭৩ রানের ইনিংসটি খেলে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনিও। ১০৩ বলের ইনিংসটিতে কোনো ছক্কা না থাকলেও ছিল ১০টি বাউন্ডারি। বড় অংকের রান না করলেও ফর্মে থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন সাকিব আল হাসান ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। সাকিব সাজঘরে ফিরেন ৩০ রানে এবং মাহমুদুল্লাহ খেলেন ৪৩ রানের ইনিংস। লিটন ৫৭ রানের ইনিংসটি খেলেন ৬৪ বলে ১০ চারে। স্বাগতিক প্রেসিডেন্ট একাদশের পক্ষে কারুণারত্নে ৩ উইকেট নেন ৬১ রানে। আজ হয়তো বাংলাদেশ বোলিং ও ফিল্ডিং অনুশীলনটা সেরে নিবে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ : প্রথম ইনিংস, ৩৯১/৭, ৯০ ওভার ( তামিম ইকবাল ১৩৬, সৌম্য সরকার ৯, মুমিনুল হক ৭৩, মুশফিকুর রহিম ২১, সাকিব আল হাসান ৩০, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৪৩, লিটন দাস ৫৭*, মেহেদী হাসান মিরাজ ১, তাইজুল ইসলাম ৩*। কারুণারত্নে ৩/৬১, সামারাকুন ১/৭০, আম্বুলদেনিয়া ১/৫৭)।                            

সর্বশেষ খবর