সোমবার, ৬ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

ক্রিকেট নয় যেন কারফিউ!

ক্রীড়া ডেস্ক

ক্রিকেট নয় যেন কারফিউ!

লাহোর গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ফাইনাল শুরু হওয়ার আগে কঠোর নিরাপত্তায় পাকিস্তানের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী —ইন্টারনেট

যদি শ্রীলঙ্কা সফরটা না থাকত, তাহলে হয়তো লাহোরে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ফাইনালে খেলতেন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তিন টাইগার ক্রিকেটারের দল পেশোয়ার জালমি ও কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরস গতকাল রাতে লাহোরে পিএসএল ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল। কে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, সেটা পাঠক এর মধ্যেই জেনে ফেলেছেন। কিন্তু তিন ক্রিকেটার খেলতে পারেননি। অবশ্য বাংলাদেশের আরেক ক্রিকেটার এনামুল হক বিজয় কোয়েটার পক্ষে ফাইনাল খেলতে লাহোর পৌঁছান গত পরশু। পাকিস্তানে এই প্রথম পিসএলের ফাইনাল হচ্ছে। ফাইনালকে ঘিরে পুরো লাহোরে যেন অঘোষিত কারফিউ ঘোষিত হয়েছে। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের আশপাশে রয়েছেন ১৫ হাজার নিরাপত্তাকর্মী। এ ছাড়া রয়েছে ৩০০ স্বাস্থ্য ও দমকলকর্মী, শখানেক স্বেচ্ছাসেবক। এ ছাড়া যে কোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে থাকছে ৩০টি উদ্ধারকারী দল। ২০০৯ লাহোরে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের ওপর জঙ্গি হামলা হয়েছিল। ওই হামলায় কোনো লঙ্কান ক্রিকেটার নিহত হয়নি। নিহত হয়েছিল নিরাপত্তা কর্মীরা। কিন্তু ওই হামলা ছিটকে দিয়েছিল পাকিস্তানের ক্রিকেটকে। ওই নারকীয় ঘটনার পর থেকে পাকিস্তানের মাঠে বিদেশি কোনো ক্রিকেটার কিংবা দলগুলো খেলছে না। পাকিস্তান সরকার ও সে দেশের ক্রিকেট বোর্ড চাইছে ক্রিকেট ফিরুক সে দেশে। তাই পিএসএলের ফাইনালকে ঘিরে নিরাপত্তার সর্বোচ্চটাই দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে পাকিস্তান সরকার।

নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সুসংহত করতে নিরাপত্তা কর্মীদের দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ ক্ষমতা। সন্দেহভাজন যে কোনো ব্যক্তিকেই গ্রেফতার করতে পারছেন তারা। এ ছাড়া স্টেডিয়ামে দর্শকদের ঢোকানো হচ্ছে চিরুনি অভিযান চালিয়ে। স্টেডিয়ামের পাশে তাকালে মনে হবে নিরাপত্তা বাহিনী দাঁড়িয়ে আছে যুদ্ধংদেহী মনোভাবে।

নিরাপত্তাহীনতার অজুহাতে ফাইনাল থেকে নাম প্রত্যাহার করেছেন কেভিন পিটারসেন, টাইমাল মিলস, লুক রাইট, নাথান ম্যাককালাম, ক্রিস গেইল, কুমার সাঙ্গাকারা ও কাইরন পোলার্ডের মতো তারকা ক্রিকেটাররা। তাদের জায়গা পূরণ করতে নতুন নতুন বিদেশি ক্রিকেটার দিয়ে শূন্যস্থান ভরাট করেছে পেশেয়ার ও কোয়েটা। কিন্তু তারকা খ্যাতিতে তারা পিছিয়ে। সেটা নিয়ে ভাবতে রাজি নয় পিসিবি। তারা চাইছে ক্রিকেট বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যা ভবিষ্যতে পাকিস্তানে ক্রিকেট ফেরাতে সহায়তা করবে। বিদেশি ক্রিকেটারদের মতো অবশ্য সম্প্রচার সংস্থাটিও নাম প্রত্যাহার করেছে। অবশ্য পিসিবি চটজলদি সেটারও ব্যবস্থা করে রেখেছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর