শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

অস্ট্রেলিয়া সিরিজকে স্মরণীয় করে রাখতে চাই : সৌম্য

ক্রীড়া প্রতিবেদক


অস্ট্রেলিয়া সিরিজকে স্মরণীয়

করে রাখতে চাই : সৌম্য

সৌম্য সরকারের পারফরম্যান্সে চলছে এখন জোয়ার-ভাটা! এক ম্যাচে ভালো খেলেন তো পরের কয়েক ম্যাচে ফ্লপ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ওপেনিংয়ে তামিম ইকবালকে ঠিকমতো সঙ্গই দিতে পারেননি। তবে ওয়ানডেতে সৌম্যের সময়টা ভালো না গেলেও টেস্টে তার ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিকতার ছাপ! সর্বশেষ টেস্ট সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দুই ম্যাচে তিন হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। ওই সিরিজের পারফরম্যান্সই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজে সৌম্যকে স্বপ্নকাতুর করে তুলছে। দুই ম্যাচের এই সিরিজে স্মরণীয় ‘কিছু’ করে দেখাতে চান বাংলাদেশ দলের এই ওপেনার। সৌম্য বলেন, ‘এটা আমার জন্য অনেক বড় সুযোগ। আমাদের এখানে অস্ট্রেলিয়া আসবে। তাদের বিপক্ষে খেলতে আমরা মুখিয়ে আছি। আশা করি আমরা ভালো ক্রিকেট খেলে অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারব। যেহেতু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আমার প্রথম টেস্ট সিরিজ হবে। আমি এটাকে স্মরণীয় করে রাখতে চাই। আমার ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে যেন আমরা দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে প্রথম টেস্ট জিততে পারি সে চেষ্টাই করব।’

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ফ্লপ করার পর সৌম্যের উপলব্ধি, ‘একদিন হয় তো ভালো করছি, একদিন হচ্ছে না। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খারাপ করেছি। তার আগের সিরিজটা আবার ভালো করেছি। সবাই হয় তো বলছে। আমি সবার কথা শুনছি না। আমি নিজেই উপলব্ধি করছি আমার সমস্যা আমাকেই বের করতে হবে।’

উইকেট সেট হওয়ার পরও দ্রুত আউট হয়ে যান সৌম্য! হঠাৎ মনোসংযোগ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সে কারণেই তার ইনিংসগুলো বড় হচ্ছে না। তবে এবার নিজের দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন তিনি। জাতীয় দলের এই ওপেনার বলেন, ‘রেগুলার যদি একই রকম আউট হতাম, তাহলে বুঝতাম আমার একই রকম সমস্যা। কিন্তু আউটগুলোতে এক রকম নয়। এ জন্য সমস্যাটা ভিন্ন। আমি চেষ্টা করি সমস্যাগুলো সমাধান করতে। আমাকে রান করতে হবে। এটাই এখন আমার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’

প্রত্যেক ক্রিকেটারের ক্যারিয়ারেই উত্থান-পতন থাকে। তবে খারাপ সময়ে নিজের ব্যাটিং নিজের কাছেই বিরক্ত লাগে বলে জানান সৌম্য, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংল্যান্ডের সঙ্গে কিছুক্ষণ ক্রিজে ছিলাম। বাকি ম্যাচগুলোতে দ্রুত আউট হয়ে গেছি। আমার খেলার ধরনটাই এমন। যখন রান করি তখন ব্যাটিং দেখতে হয় তো ভালো লাগে, যখন রান না পাই তখন হয় তো ব্যাটিংটা দেখতে বাজে লাগে।’

ক্রিকেটপ্রেমীরা সৌম্যকে ব্যাটসম্যান হিসেবে চিনলেও এই ওপেনার নিজেকে অলরাউন্ডার হিসেবেই দাবি করেন। যদিও জাতীয় দলে সৌম্যকে খুব একটা বোলিং করতে দেখা যায় না। তবে অনুশীলন ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংও করে যাচ্ছেন। যদি কখনো সময় আসে তখন যেন নিজেকে প্রমাণ করতে পারেন। সৌম্য বলেন, ‘আমি অনুশীলনে সবসময় বোলিং করে যাচ্ছি। যেদিন সুযোগ পাব চেষ্টা করব বোলিং দিয়ে কিছু করে দেখাতে। বোলিং দিয়ে এখনো আমি নিজেকে প্রমাণ করতে পারিনি। যেদিন আমি সুযোগ পাব চেষ্টা করব বোলিং দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করার। এটাই এখন আমার চ্যালেঞ্জ।’ অনুশীলনে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় অলরাউন্ডারের। তাকে ব্যাটিং, বোলিং— দুই বিভাগেই সমানতালে অনুশীলন করতে হয়। ফিল্ডিং অনুশীলন তো রয়েছেই। তবে কষ্ট হলেও অলরাউন্ডার হিসেবেই নিজেকে মেলে ধরার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন সৌম্য, ‘দুটি কাজ একসঙ্গে করা কিছুটা কঠিন। এর জন্য ফিটনেসটা ভালো থাকা লাগে। তারপরও আমাকে করতে হবে। কারণ আমি অলরাউন্ডার। ব্যালেন্স করেই অনুশীলন করি। যেদিন ব্যাটিংয়ে বেশি সময় দিই, সেদিন বোলিংয়ে কিছুটা কম সময় দিই। এভাবে ব্যালেন্স করেই অনুশীলন চালাতে হয়।’

জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা এখন অংশ নিচ্ছেন ফিটনেস ক্যাম্পে। স্কিল অনুশীলনের পাশাপাশি একজন ক্রিকেটারের কাছে এই ফিটনেস ক্যাম্পটা অনেক জরুরি বলে মনে করেন সৌম্য, ‘টানা ক্রিকেট খেলার জন্য এই ধরনের ফিটনেস ক্যাম্প অত্যন্ত জরুরি। এখানে নিজেকে ফিট করে নেওয়ার সুযোগটা অনেক বেশি। আমি সেভাবেই চেষ্টা করছি। নিজের দুর্বল জায়গাগুলো নিয়ে কাজ করছি। ফিটনেস ধরে রাখতে তিন সপ্তাহ ক্যাম্প করার পরও নিজেদের রুটিন কাজগুলো চালিয়ে যেতে হবে।’

সর্বশেষ খবর