সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

নতুন চ্যাম্পিয়ন স্টিফেন্স

ক্রীড়া ডেস্ক

নতুন চ্যাম্পিয়ন স্টিফেন্স

একবার নামগুলোর কথা স্মরণ করুন। ট্রেসি অস্টিন, বিলি জিং কিং, মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা, ক্রিস এভার্ট, মনিকা সেলেস, স্টেফি গ্রাফ, সেরেনা উইলিয়ামস-সব গ্রেট মহিলা টেনিস খেলোয়াড়। এরা সবাই নিজ নিজ ক্যারিয়ারে নিউ ইয়র্কের হার্ডসন নদীর তীরে ফ্যাসিং মিডৌর অ্যার্থার অ্যাশ সেন্টার কোর্টে ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছেন। তাদের মতো গ্রেট না হলেও তাদের পাশে নাম লিখেছেন অখ্যাত স্লোয়ান স্টিফেন্স। অবাছাই স্টিফেন্স ১১ মাস পর ইনজুরি থেকে ফিরেই জিতেছেন বছরের শেষ গ্রান্ডস্লাম ইউএস ওপেনের শিরোপা। ২৪ বছর বর্ষীয়া স্টিফেন্স ক্যারিয়ারের প্রথম গ্রান্ডস্লাম জিততে সরাসরি ৬-৩ ও ৬-০ গেমে হারিয়েছেন স্বদেশি ৮৩ নম্বর বাছাই ম্যাডিসন কিসকে। পরশু রাতের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী শৈশবের বান্ধবী। পায়ের ইনজুরির জন্য স্টিফেন্স ১১ মাস কোর্টের বাইরে ছিলেন। এর ফলে র্যাঙ্কিং নামতে নামতে ৯৫৭ নম্বরে এসে দাঁড়িয়েছিল। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ান। এখন সবই স্বপ্ন। স্বপ্ন পূরণ করে উচ্ছ্ব্বসিত স্টিফেন্স, ‘জানুয়ারিতে অস্ত্রোপচার হয় আমার পায়ে। এরপর থেকেই আমি মাঠের বাইরে। তখন যদি কেউ আমাকে জিজ্ঞাসা করতেন, ইউএস ওপেন জিতবো কি না? আমি হেসে বলতাম অসম্ভব। কিন্তু এখন সেটাই বাস্তব। আমি এখন ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন। ভাবতেই অবাক লাগছে। এক সময় আমি দেখতাম সবাই ট্রফি উঁচিয়ে ছবি দিচ্ছেন। এখন আমার ট্রফি উঁচানো ছবি দেখবে সবাই। ভাবতেই অবাক লাগছে।’ স্টিফেন্স যদি না জিততেন, তাহলে কিস জিতলেও হতো সেটা ইতিহাস। কারণ. ৫২ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম ইউএস ওপেনের ফাইনালে খেলেছেন দুই আমেরিকান। প্রিয় বন্ধুর কাছে হেরে যাওয়ায় মনোকষ্টে নেই কিস। যদিও কিস খেলেছেন খানিকটা ইনজুরি নিয়ে। ফাইনালে হেরে যাওয়ার পর কিস বলেন, ‘স্টিফেন্স আমার পছন্দের মানুষদের মধ্যে একজন। তার বিপক্ষে খেলাটাই বিশেষ কিছু। আমি যে কারোর কাছেই হারতে পারতাম। তার কাছে হেরেছি, তাতেও আমি খুশি।’ ২০০২ সালে জেনিফার ক্যাপ্রিয়াতি ছাড়া গত ১৫ বছরে ইউএস ওপেন জেতা আমেরিকান হচ্ছেন উইলিয়ামস বোনেরা। ইউএস ওপেন জেতার আগ পর্যন্ত ক্যারিয়ারে স্টিফেন্সের আয় ছিল মাত্র ৩ লাখ ১০ হাজার ডলার। ইউএস ওপেন জিতে প্রাইজমানি পেয়েছেন ৩.৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার। রানার্সআপ কিস পেয়েছেন ১.৮২৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার।

সর্বশেষ খবর