শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

নতুন বছরে নতুন চ্যালেঞ্জ

নতুন বছরে নতুন চ্যালেঞ্জ

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ

শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ত্রি-দেশীয় সিরিজ দিয়ে নতুন বছর শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। গতকাল থেকে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ। প্রথম দিনের অনুশীলন শেষে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।

 

প্রশ্ন : বছরের শুরুতেই শ্রীলঙ্কা সিরিজ। নতুন বছরে  চ্যালেঞ্জ কি?

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ : নতুন বছরে নতুন চ্যালেঞ্জ। আমরা সবাই ইতিমধ্যেই অনুশীলন শুরু করেছি। সবাই যে যার মতো কাজ করেছে। এই সিরিজটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুরুটা ভালো হওয়া দরকার। ভালো করার জন্যই আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।

প্রশ্ন : ঘরের মাঠে কিন্তু প্রতিপক্ষ দলের কোচ যিনি তিনি তো বাংলাদেশ দলের সব দুর্বলতা-শক্তিমত্তা সব জানে। এ বিষয়টা কি সমস্যায় ফেলবে না?

মাহমুদুল্লাহ : সত্যি কথা বলতে, আমার মনে হয় না এটা কোনো সমস্যা। আমরা সবাই এ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছি এমনও নয়। কিন্তু আমরা যদি পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারি আমাদের স্কিল মাঠে প্রয়োগ করতে পারি আশা করছি ফলাফল আমাদের পক্ষেই থাকবে। আমরা গত কয়েক বছর ধরে যেভাবে খেলছি যেভাবে ভীতিহীন এবং ইতিবাচক ক্রিকেটই খেলব।

প্রশ্ন : ২০১৭ সালটা গেছে উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে। অনেক কিছু বদলেছে। ২০১৮ বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য অনেক ব্যস্ত বছর। শুরুটা ঘরের মাঠে হওয়াটা কী ইতিবাচক দিক?

মাহমুদুল্লাহ : অবশ্যই। কারণ আপনি যদি আপনার হোম কন্ডিশনে খেলেন এটা একটা বাড়তি সুবিধা। প্রতিটি দলই কন্ডিশন ব্যবহার করতে জানে এবং আপনি যদি বিশ্ব ক্রিকেটের দিকে খেয়াল করেন দেখবেন সবাই তাদের কন্ডিশনে অনেক ভালো দল। একই সঙ্গে আমরাও আমাদের কন্ডিশনে ভালো একটি দল হয়ে উঠছি। আমার মনে হয় এটা কম বেশি সব প্রতিপক্ষই জানে। এটা একটি বাড়তি সুবিধা। কিন্তু তারপরেও আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। কারণ শ্রীলঙ্কা খুবই ভালো দল। আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলাটা জরুরি।

প্রশ্ন : টেস্ট ক্রিকেট কতটা চ্যালেঞ্জিং?

মাহমুদুল্লাহ : আমার কাছে মনে হয় প্রতিটি ফরমেটই চ্যালেঞ্জিং। কারণ আপনি যদি ওয়ানডে ক্রিকেট দেখেন, বেশির ভাগ টপ র‌্যাঙ্কড ব্যাটসম্যান যারা আছেন সবার স্ট্রাইকরেট ১০০ ওপরে। গড় ৬০-৭০ এর কাছাকাছি। দিন দিন ক্রিকেট অনেক চ্যালেঞ্জিং হচ্ছে।

প্রশ্ন : ১০ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন। কিন্তু এখনও আপনার ব্যাটিং অর্ডার নির্ধারিত জায়গা নেই। গত এক দুই বছরে বার বার ব্যাটিং অর্ডার বদলেছে। বিষয়টি কীভাবে দেখেন?

মাহমুদুল্লাহ : আমি সব সময় বলে এসেছি আমি নিজেকে একজন টিম ম্যান হিসেবে মনে করি। টিম যেভাবে আমার কাছে সাপোর্ট চাইবে বা আমার কাছে যেভাবে রেজাল্ট আশা করবে আমি ওভাবেই দিতে চেষ্টা করবো। দলের যেটা প্রয়োজন আমি সেভাবেই দিতে প্রস্তুত থাকব।

প্রশ্ন : এবার টিম কম্বিনেশনটা কেমন হবে?

মাহমুদুল্লাহ : আমরা সবাই নিজেদের চিনি। সবাই খুব ফ্রেন্ডলি। সিনিয়র-জুনিয়র মিলে আমাদের দলটা দারুণ। খেলায় দলীয়ভাবে আমরা কতটা ভালো করতে পারি সেটাই দেখার বিষয়।

প্রশ্ন : কুমার সাঙ্গাকারা বলেছেন আপনাকে তিনে ব্যাটিং করতে। আপনি কী মনে করেন?

মাহমুদুল্লাহ : এটা আমি জানি না। তবে যদি উনি বলে থাকেন উনাকে ধন্যবাদ। কারণ উনার মতো এত বড় একজন প্লেয়ারের কাছ থেকে সাজেশন পাওয়াটাও বড় কিছু। তারপরেও সবকিছু টিম কম্বিনেশনের ওপরে নির্ভর করে।

প্রশ্ন : বোলিংয়ে আপনার আরও বেশি অবদান রাখার সুযোগ আছে কী না?

মাহমুদুল্লাহ : আমি যখন যেভাবে সুযোগ পাব ব্যাটিং হোক, বোলিং হোক, ফিল্ডিং  হোক সবদিক থেকেই দলকে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবো।

 

 

সর্বশেষ খবর