সোমবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

স্বপ্ন দেখছেন জেমি ডে

ক্রীড়া প্রতিবেদক

স্বপ্ন দেখছেন জেমি ডে

জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে

সিউলে ১০ দিনের অনুশীলন শেষে বাংলাদেশ ফুটবল এখন ইন্দোনেশিয়ায়। রাজধানী জাকার্তার উপকণ্ঠে সেনতুয়াল সিটির আলানা হোটেলে অবস্থান করছেন জেমি ডে ও তার শিষ্যরা। জামাল, সুফিয়ালরা এখন জাকার্তায় এশিয়ান গেমসে অংশ নিতে। ১৮ আগস্ট আনুষ্ঠানিক পর্দা উঠছে গেমসের। অথচ তার আগেই মাঠে গড়াচ্ছে গেমসের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ‘ইভেন্ট’ ফুটবল। এশিয়ার ৩২টি দল অংশ নিচ্ছে এই ইভেন্টে। বরাবরের মতো অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশও। ১৯৭৮ সাল থেকে এশিয়ান গেমসে নিয়মিত অংশ নেওয়া বাংলাদেশের পারফরম্যান্স আহামরি নয়। জয় সাকল্যে তিনটি। ১৯৮২ সালে দিল্লি এশিয়াডে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলে, নেপালের বিপক্ষে ১-০ গোলে ১৯৮৬ সিউল এশিয়াডে এবং সর্বশেষ জয় আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১-০ গোলে ২০১৪ সালের ইনচন এশিয়াডে। এবার গেমসের প্রাথমিক রাউন্ডে জেমি ডে-এর শিষ্যদের প্রতিপক্ষ থাইল্যান্ড, উজবেকিস্তান ও কাতার। দল তিনটি র‌্যাঙ্কিংয়ে অনেক উপরে। এদের বিপক্ষে সাফল্যের স্বপ্ন দেখা একটু বেশিই। তারপর ছয় সপ্তাহ ধরে দায়িত্ব পালন করা কোচ জেমি ডে স্বপ্ন দেখছেন। স্বপ্ন দেখাচ্ছেন দেশবাসীকে। ১৪ আগস্ট বাংলাদেশের প্রথম প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান। সেন্ট্রাল এশিয়ার দেশটি এশিয়ার উপরের দিকের দল। উজবেকদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সবগুলোতেই হেরেছে। এরই মধ্যে দুটিই খেলেছে এশিয়ান গেমসে। ২০১০ সালে গুয়াংজু ও ২০১৪ সালে ইনচন এশিয়াডের ফল ছিল একই রকম ৩-০। ১৬ আগস্ট প্রতিপক্ষ থাইল্যান্ড। এক সময় দেশটির বিপক্ষে লড়াই হতো সমানে সমান। এখন একপেশে লড়াই। এশিয়ান গেমসে নবমবার অংশ নিলেও থাইল্যান্ডের বিপক্ষে এই প্রথম খেলবে। যদিও দুই দেশ এখন পর্যন্ত ম্যাচ খেলেছে ১৪টি। তাতে বাংলাদেশের জয় মাত্র ২ এবং হার ৯টি। কাতারের বিপক্ষে ম্যাচ ২০ আগস্ট। ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক দেশটির বিপক্ষে এশিয়ান গেমসে এবারই প্রথম লড়বে। যদিও আগের ৪ মুখোমুখিতে জয়ের রেকর্ড নেই। ড্র একটি এবং হার তিনটিতে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে ২৩৯টি। জয় ৫৮, ড্র ৪৯ এবং হার ১৩২ ম্যাচে। গোল করেছে ২১৫টি এবং খেয়েছে ৪৭৪টি। এশিয়ান গেমসে অংশ নিচ্ছে ১৯৭৮ সাল থেকে। ১৯৯৪ সালের হিরোশিমা ও ১৯৯৮ ব্যাংকক এশিয়ান গেমস শুধু খেলেনি। বাকি সবগুলো আসরে অংশ নিয়ে ম্যাচ খেলেছে ২৩টি। জয় মাত্র তিনটি। 

জাকার্তায় পা রাখার আগে ১০ দিন সিউলে অনুশীলন করে ফুটবল দল। সেখানে তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচে অংশ নিয়ে জয় পেয়েছে দুটিতে। জয়ের এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে আগামীকাল মূল লড়াইয়ে নামছেন জামালরা। প্রতিপক্ষ তিনটি দল শক্তিমত্তায় এগিয়ে থাকলেও ভালো খেলার স্বপ্ন দেখছেন  কোচ জেমি ডে, ‘সামর্থ্য অনুযায়ী আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। আমি মনে করি ছেলেদের প্রস্তুতি ভালো হয়েছে। এখন সময় ম্যাচগুলোতে নিজেদের সামর্থ্যের প্রয়োগ ঘটানোর।’ গেমসে ভালো করতে গত দেড় মাস ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় দল। ৩০ ফুটবলার নিয়ে অনুশীলন করাচ্ছেন কোচ। গেমসে অংশ নিবে ২৩ ফুটবলার এবং বাকি সাতজন থাকবে দলের সঙ্গে। এদের মধ্যে থেকে সেরা একাদশ প্রায় তৈরি করে নিয়েছেন কোচ, ‘সেরা একাদশ খেলানোর অবস্থায় চলে এসেছি। এটা ঠিক সেরা একাদশ বাছাই করা বড্ড কঠিন।’ জেমি ডে দায়িত্ব নিয়েছেন ক্রিস ওডের চলে যাওয়ার পর। ছয় সপ্তাহের কোচিংয়ে দলে বেশ পরিবর্তন দেখেছেন, ‘খেলোয়াড়দের মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। তারা নিজেদের মেলে ধরতে মরিয়া থাকে। খাবারে, অনুশীলনে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।’ এমন দল নিয়ে আশার কথা বলেছেন কোচ, ‘শক্তিশালী তিন প্রতিপক্ষের ভালো খেলতে যতটা প্রয়োজন, ততটাই খেলতে চাই আমরা। উজবেকিস্তান, থাইল্যান্ড ও কাতার শক্তিশালী প্রতিপক্ষ, তারপরও আমি আশাবাদী দল নিয়ে।’ 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর