মঙ্গলবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

জর্জ কোটানের পর কি জেমি ডে?

ক্রীড়া প্রতিবেদক

জর্জ কোটানের পর কি জেমি ডে?

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে বাংলাদেশ একবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ২০০৩ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফাইনালে মালদ্বীপকে হারিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে বিশ্বকাপখ্যাত এই টুর্নামেন্টে উৎসবে মেতেছিল বাংলাদেশ। রজনীকান্ত বর্মন দলের নিয়মিত অধিনায়ক হলেও ফাইনালে তিনি খেলতে পারেননি। হাসান আল মামুন স্বাগতিকদের নেতৃত্ব দেন। কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অস্ট্রিয়ার জর্জ কোটান। ২০০৩ সালের পর সাফ ফুটবলে বাংলাদেশ একবারই ফাইনালে উঠেছিল। কিন্তু ১৫ বছরে শিরোপা অধরাই থেকে গেছে।

ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দী থাকলেও এবার ঘরের মাঠেই শিরোপা উদ্ধারের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের। ২০০৯ সালেও ঢাকায় আরও একবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু বাংলাদেশ সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নেয়। হারানো গৌরব উদ্ধারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আজ ১২তম সাফ মিশনে যাত্রা করেছে। সন্ধ্যায় গ্রুপ পর্বের ম্যাচে প্রতিপক্ষ ভুটান। অবশ্য বিকালে নেপাল-পাকিস্তান ম্যাচ দিয়েই সাফের পর্দা উঠে যাবে। প্রতিবারই আসরেই ফেবারিট। চ্যাম্পিয়নের সামর্থ্য থাকার পরও ফল হতাশাজনক। সাফে করুণ হাল বলেই ফুটবলে সংকটাপন্ন অবস্থা নেমে এসেছে বাংলাদেশের। অনেক দিন পর আশার আলো জ্বলছে। বিশেষ করে এশিয়ান গেমস ইতিহাসে প্রথমবার নকআউট পর্বে জায়গা করে নেওয়ায় সাফের সাফল্যের ব্যাপারে দেশবাসী আশাবাদী। ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে বাংলাদেশের ফুটবলে যে হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে তা থেকে বের হওয়ার পথ খুঁজে পাওয়া যাবে।

১৫ বছরের ব্যবধান। স্বাভাবিকভাবে সেই দলের কোনো খেলোয়াড়ই এবার সাফে নেই। তবে কোচ বিদেশিই। ২০০৩ সালে ছিলেন জর্জ কোটান। এবার ইংল্যান্ডের জেমি ডে। প্রায় তিন মাস যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত দল ঘোষণা করেছেন। অবশ্য জেমি আসার আগেই বাংলাদেশ অনুশীলনে নেমেছিল। কোচ ক্রিস ওড হঠাৎ করে চলে যাওয়ায় বাংলাদেশের নতুন কোচ হয়েছেন জেমি ডে। সত্যি বলতে কি জেমি দায়িত্ব নেওয়ার পরই ফুটবল বদলাতে শুরু করেছে। দম বা ছন্দ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে জামালদের মধ্যে। সাফ জয়ের সম্ভাবনাও দেখছেন অনেকে। তাহলে কি কোর্টানের পর আরেক বিদেশি কোচ জেমির হাত ধরেই সাফে শিরোপা জিততে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

ফুটবলে হাতে গোনা যে সাফল্য এসেছে তা বিদেশি কোচের প্রশিক্ষণে। শুধু ১৯৮৯ সালে প্রেসিডেন্ট গোল্ড কাপে বাংলাদেশ লাল দল চ্যাম্পিয়ন হয় সাদেকের প্রশিক্ষণে। ১৯৯৫ মিয়ানমার চ্যালেঞ্জ কাপ বিজয়ী বাংলাদেশ দলের কোচ ছিলেন জার্মানির অটোফিস্টার। ১৯৯৯ সালে সাফ গেমসে সোনা জয়ী দলের কোচ সামির সাকির। ২০০৩ সাফ চ্যাম্পিয়শিপে কোটান। ২০১০ এস এ গেমসে সোনা উদ্ধার  হয় বিদেশি কোচের মাধ্যমে। এবার কী তাহলে জেমির পালা।

সর্বশেষ খবর