শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

মাশরাফির ভাবনায় শুধুই জয়

মাশরাফির ভাবনায় শুধুই জয়

রাতেও কিছু জানতেন না। সকালে মাঠে এসে শুনে হতবিহবল অবস্থা মাশরাফি বিন মর্তুজার। শুধু তার একার নয়, গোটা দলই অবাক এশিয়া কাপের সুপার ফোরের সূচিতে। অবাক করা সূচির জন্য বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচটি হঠাৎ করেই পট পরিবর্তন করে রূপ নিয়েছে আনুষ্ঠানিকতায়। তার পরও গুরুত্বহীন বলে ম্যাচটিকে হালকা মেজাজে নিতে রাজি নন টাইগার অধিনায়ক। দেশের কথা মাথায় রেখে শতভাগ উজাড় করেই খেলতে নামবেন দুবাই আবুধাবি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। আবুধাবির ধীরলয়ের উইকেটে আফগান স্পিনার রশিদ খান ও মুজিব-উর-রহমানকে সামলে শতভাগ জয় নিয়েই সুপার ফোরে যাত্রা করতে চান মাশরাফি।

           হঠাৎ সূচির পরিবর্তন। এ নিয়ে আপনারা কি হতাশ?

—          মাশরাফি:সত্যি বলতে সূচি বদল নিয়ে চিন্তা করার সুযোগ পাইনি। তবে অবশ্যই এটা হতাশার। আমাদের পরিকল্পনায় ছিল শ্রীলঙ্কা হারলে হয়তো গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে এগিয়ে যাব। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলে গ্রুপ ‘এ’ রানার্স আপ দলের সঙ্গে প্রথম ম্যাচ খেলব সুপার ফোরে। কিন্তু আজ (গতকাল) সকালে জানতে পারি আফগানিস্তান ম্যাচের ফল কোনো প্রভাব ফেলবে না। আমরা আগেই ‘বি ২’ হয়ে গেছি। এটা অবশ্যই হতাশার।

♦           তাহলে আফগানিস্তান ম্যাচ কি রিল্যাক্সের?

—          মাশরাফি: রিল্যাক্স হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আফগানিস্তান ম্যাচটির অবশ্যই আন্তর্জাতিক মূল্য আছে। যাই বলেন, একটা নিয়ম থাকে টুর্নামেন্টের। সেই নিয়মের বাইরে চলে যাচ্ছি আমরা। এটাই হতাশার। আমি মনে করি দুই দলের কেউ রিল্যাক্সড হয়ত থাকবে না। কিন্তু পরিস্থিতিটা এমন করে তোলা হলো যে বর্ণনা করা কঠিন।

♦           ম্যাচটির গুরুত্ব কমে গেছে বলে বিশ্রাম দেওয়া হচ্ছে কাদের...

—          মাশরাফি: ম্যাচটি একরকম মূল্যহীন হয়ে গেল বলে বিশ্রামের বিষয়টি আসেনি। এমনিতেই আমাদের পরিকল্পনা ছিল। সেভাবেই কাউকে কাউকে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে।

♦           আফগান ম্যাচটি কি আমাদের জন্য মনস্তাত্বিক যুদ্ধ?

—          মাশরাফি: নাহ। ঠিক ততটা নয়। রশিদ ও মুজিব মূলত দলটিকে বদলে দিয়েছে। প্রতিটি দলকেই ওদের বিপক্ষে লড়তে হচ্ছে। এখন কথা হচ্ছে ওদের কিভাবে খেলা যায়। আমি মনে করি এটা ব্যাটসম্যানের আত্মবিশ্বাসের ওপর নির্ভর করবে। ধরেই নিতে হবে ওরা ভালো বোলিং করবে। সাহসিকতার সঙ্গে ওদের সামলাতে পারলে ম্যাচটি সহজ হবে।

           সাফল্য পেতে ওদের ওপর কি চড়াও হতে হবে?

—          মাশরাফি: টি-২০ ক্রিকেটে আক্রমণ করতেই হয়। দুজনের ৮ ওভার দেখে বাকি ১২ ওভারে ম্যাচ জেতা যাবে না। সেখানে আক্রমণ করতেই হয়। ওয়ানডেতে  মাথা খাটিয়ে ওদের ১০ ওভারে ৩৫-৪০ নিলেই হয়। ওয়ানডেতে ওদের খেলা যায়। সেই চেষ্টা করতে হবে। ওরা বাজে বল করে এবং সেটাকে কাজে লাগাতে হবে। তারপরও বলতে হবে, ওদের বিপক্ষে ব্যাট করা এত সহজ নয়। বাড়তি চাপ না নিয়ে, স্বাভাবিক মানসিকতা নিয়ে খেলতে হবে।

           সূচি বদলে যাওয়ায় কি জেদ বেড়েছে দলের...

—          মাশরাফি:  জেদ বলবো না। ব্যাক টু ব্যাক ম্যাচ কখন খেলছি আমরা? গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচ খেলে মূল ম্যাচে যখন ঢুকছি তখন। ২১, ২৩ ও ২৫ তারিখের ম্যাচগুলোই হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে আমরা শুরু করছি ব্যাক টু ব্যাক খেলে। আমাদের ২৪ জন ক্রিকেটার নেই, মূল একাদশকে বিশ্রাম দিয়ে অন্য ১১ খেলাব।

           আবুধাবিতে প্রথমবার খেলছেন...

—          মাশরাফি: শুনেছি সেখানে অনুশীলনের সুবিধা নেই। দুবাইয়েই করতে হবে। এখান থেকে দেড়-দুই ঘণ্টা লাগে যেতে। সেটা সমস্যা নয়। সব দলের জন্যই সমান। আমরা কখনই ওই মাঠে খেলিনি। সেটা মেনে নেওয়া যায়। অজুহাত দিচ্ছি না। সব দলের জন্যই এটা সমান।

♦           তামিমের বিকল্প কে?

—          মাশরাফি: তামিমকে না পাওয়া বড় ধাক্কা। তাকে অবশ্যই মিস করব। তরুণরা যারা আছেন, ওদেরকে চেষ্টা করতে হবে। তামিমের মতো আশা করছি না। তারা সেরাটা পারফর্ম করলে তামিমের মতো কিছু করেও ফেলতে পারে।

♦           ওপেনার নিয়ে ভাবনা

—          মাশরাফি: বিশেষ  কোনো মেসেজ নেই। সাহায্য করার চেষ্টা করছি। বাড়তি চাপ না দিয়ে নিজেদের মতো খেলুক। ঢাকা লিগ বা বিপিএলে যেভাবে খেলে, ওরকম মানসিকতা নিয়ে যদি নামে এবং উপভোগ করে, তাহলে ভালো খেলবে বলে আমার বিশ্বাস।

সর্বশেষ খবর