বুধবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

চ্যালেঞ্জ নিয়েই ক্যারিবীয়দের মুখোমুখি টাইগাররা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

চ্যালেঞ্জ নিয়েই ক্যারিবীয়দের মুখোমুখি টাইগাররা

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট জয়ের সুখস্মৃতি বহু পিছনে ফেলে এসেছে বাংলাদেশ। প্রায় সাড়ে নয় বছর। ২০০৯ সালের জুলাইতে সেন্ট জর্জে ৪ উইকেটের জয়ে ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশের গৌরব অর্জন করেছিল বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই শেষ। এরপর ২০১১ সালে চট্টগ্রামে একটা ম্যাচ ড্র। টেস্ট ক্রিকেটনামায় ক্যারিবিয়ান দ্বীপবাসীদের বিপক্ষে পরের ৭টা ম্যাচে পরাজয়টাই ছিল বিধিলিপি। এর মধ্যে ইনিংস পরাজয়ের ঘটনাও ছিল। ১০ উইকেটে পরাজয়ের ঘটনা ছিল দুটি। দীর্ঘদিনের জয়-খরা কাটিয়ে উঠতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। আগামীকাল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল।

দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচটা শেষ হয়েছে ড্রতে। দুই দলই ব্যাটিং অনুশীলনটা সেরেছে ভালোভাবে। সাদমান ইসলাম তো প্রস্তুতি ম্যাচের ব্যাটিংয়ে ঠাঁই করে নিয়েছেন টেস্ট দলে। মহড়া শেষ। এবার সত্যিকারের লড়াই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম কন্ডিশনের সুবিধা কাজে লাগিয়ে সাফল্য পেতে অপেক্ষার প্রহর গুনছে টাইগাররা। কিন্তু এতটা সহজেই কী হাল ছেড়ে দিবে ক্যারিবীয়রা! দীর্ঘ ছয় বছর পর বাংলাদেশে টেস্ট খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০১২ সালের পর আর এখানে টেস্ট খেলতে আসেনি তারা। তাই বলে বাংলাদেশের আবহাওয়ার সঙ্গে অপরিচয়ের কোন ব্যবধান নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ভারতে দীর্ঘদিন কাটিয়েছে তারা। তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটই খেলে এসেছে। সবগুলোতে হারলেও ভারতের মতো সুপার পাওয়ারদের বিপক্ষে কঠিন লড়াই করেছে। এটাকেই ইতিবাচকভাবে দেখছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রেথওয়াইট। তিনি বলেন, ‘আমরা ভারত থেকে আসছি। আমার মনে হয় এটা ভালো একটা প্রস্তুতি ছিল। ভারত ও বাংলাদেশের কন্ডিশন অনেকটাই কাছাকাছি। এমনকি দুই দেশের উইকেটেও অনেক মিল আছে।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই প্রস্তুতি সম্পর্কে বাংলাদেশও বেখবর নয়। মাহমুদুল্লাহ তো আগেই বলেছেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভারতের বিপক্ষে সিরিজ খেলেছে। এটা ওদেরকে সাহায্য করবে।’ বাংলাদেশ হোম কন্ডিশনের সুযোগটা তেমনভাবে কাজে লাগাতে পারেনি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ওয়ানডে সিরিজটা জিতলেও ড্র করেছে টেস্ট সিরিজে। অবশ্য ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে অনেক কিছুই অর্জন করেছেন অনেকে। বিশেষ করে মুশফিকুর রহিম। তাছাড়া ফিল্ডিংয়েও এখন দূরন্ত হয়ে উঠছে দলটা। এসব বিবেচনায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক স্বীকার করেন, ‘বাংলাদেশ নিজেদের মাটিতে খুবই শক্তিশালী দল। তাদের পক্ষ থেকে কঠিন চ্যালেঞ্জই আসবে বলে আশা করি।’ চট্টগ্রামে বাংলাদেশ কতটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারবে বলা কঠিন। সেই চ্যালেঞ্জ কী বাংলাদেশকে দীর্ঘ সাড়ে নয় বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে জয় উপহার দিতে পারবে!

আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে মুশফিকুর রহিমের। নতুন-পুরনো মিলিয়ে দলটাও দুর্দান্ত। দলে ফিরেছেন বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সবমিলিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর এটাই তো উপযুক্ত সময়! টেস্টের চিত্রটা কিন্তু ওয়ানডেতে খুঁজে পাওয়া যায় না। গত জুলাইতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে জিতে এসেছে টাইগাররা। ওয়ানডের সেই সুখস্মৃতি এবার টেস্টেও ফিরে কি না দেখা যাক!

 

সর্বশেষ খবর