সোমবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

যে কারণে চট্টগ্রামে রান বন্যা

ক্রীড়া প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে

যে কারণে চট্টগ্রামে রান বন্যা

ঢাকা ও সিলেট পর্বের তুলনায় বিপিএল সিক্সের চট্টগ্রাম পর্বে রানের বন্যা বইছে। সিলেটে তো প্রথম কয়েকটা ম্যাচে রানখরা দেখেছেন দর্শকরা। ঢাকাতেও তথৈবচ। মিরপুরের উইকেট এরই মধ্যে ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ উপাধি পেয়েছে। ব্যতিক্রম চট্টগ্রাম। এখানে ঘাসের উইকেটে চমৎকার ব্যাটিং করছেন ক্রিকেটাররা। কিছুটা ব্যতিক্রম ছাড়া ব্যক্তিগত রানের খাতায় বড় স্কোর খুব একটা না দেখা গেলেও ইনিংস শেষে দলীয় খাতায় লেখা থাকছে বড় স্কোর। এজন্যই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করা দল রানের পাহাড় মাথায় নিয়ে জিততে পারেনি চট্টগ্রামে।

সিলেটে আট ম্যাচের তিনটিতেই লো স্কোরিং লড়াই দেখেছেন ক্রিকেটভক্তরা। অবশ্য সিলেটে ২০০ ঊর্ধ্ব (২১৪) রানও আছে। ঢাকায় দুই পর্বে ২০০ ঊর্ধ্ব কোনো রানই নেই। সেখানে চট্টগ্রাম পর্বে প্রথম চার ম্যাচেই ২৩৯ রানের ইনিংস (রংপুর রাইডার্স) দেখেছেন দর্শকরা। প্রতি ম্যাচেই প্রথমে ব্যাটিং করা দল অন্তত ১৮০ রান করেছে। ২০০‘র কাছাকাছি রানও হয়েছে। রানের এই বন্যা চট্টগ্রামে অব্যাহত থাকবে বলেই মনে করেন জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের পিচ কিউরেটর জাহিদ রেজা বাবু। তিনি বলেন, ‘এখানে একেবারে জেনুইন ঘাসের উইকেটে খেলছেন ব্যাটসম্যানরা। ইভেন বাউন্স পাচ্ছেন। এ কারণেই রান করতে পারছেন। বলে তেমন কোনো মুভমেন্ট নেই।’ অবশ্য গেইলের মতো ব্যাটসম্যানরা এখানে ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু অন্যরা তো ঠিকই ভালো করেছেন। এমনকি স্থানীয় ক্রিকেটার ইয়াসির আলি কী দুরন্ত ব্যাটিং করেছেন এখানে। ৭৮ ও ৫৮ রানের দুটো অসাধারণ ইনিংস খেলেছেন তিনি। তাছাড়া অ্যালেক্স হেইলস এবং রিলে রুশোর জোড়া সেঞ্চুরির বিষয়টাও তো মনে রাখতে হবে। এমন উইকেটের কারণটাও ব্যাখ্যা করলেন জাহিদ রেজা বাবু। ‘টি-২০ ক্রিকেটে জমজমাট লড়াইয়ের জন্য বড় স্কোর হওয়াটা জরুরি। দর্শকরাও এতে বেশ আনন্দ পান। তাছাড়া এই উইকেটে বোলিং করার চ্যালেঞ্জটাও একটা প্রাপ্তি হিসেবে থাকে।’ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলারদের সুবিধা বিবেচনায় রেখেই উইকেট তৈরি করতে হয়। এখানে সেই প্রেসারটা নাই। রানের এমন বন্যা থাকলেই টি-২০ ক্রিকেটটা নির্ভেজাল বিনোদন হয়ে উঠে। দুই পক্ষই রান করবে। চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছুটবে। তবেই না বিনোদনের ষোলোকলা পূর্ণ হবে। এই লড়াইয়ের মধ্য দিয়েই বিজয়টা কেড়ে নিতে হবে কোন এক দলকে।

 

 

সর্বশেষ খবর