শিরোনাম
শুক্রবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

লড়াই যখন দুই বন্ধুর

ক্রীড়া প্রতিবেদক

লড়াই যখন দুই বন্ধুর

এবার হলো না মাশরাফি বিন মর্তুজার। ক্যারিয়ারের পঞ্চম শিরোপা ট্রফি তুলে ধরতে পারছেন না বিপিএলের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক। গ্যালারিতে দর্শকের কাতারে বসে টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ক উপভোগ করবেন ঢাকা ডায়নামাইটস ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ফাইনাল। উপভোগ করবেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালের ক্রিকেট ‘দ্বৈরথ’। সাকিবের ঢাকা ও তামিমের কুমিল্লা আবার আজকের ফাইনাল খেলতে হারিয়েছে মাশরাফির রংপুর রাইডার্সকেই। সন্ধ্যায় ফ্লাড লাইটের আলোয় দুই দল মুখোমুখি হবে দ্বিতীয় শিরোপার টার্গেটে। দুই দলের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের লড়াইয়ের আড়ালে আবার লড়াই হবে দুই ‘বন্ধু’ সাকিব ও তামিমেরও। দুই বন্ধুর পাশাপাশি অবশ্য লড়াই হবে দেশের দুই সেরা কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন ও মোহাম্মদ সালাউদ্দিনেরও। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব এবারই প্রথম বিপিএলের ফাইনাল খেলছেন না। তিনবার ফাইনাল খেলেছেন এর আগে। শিরোপার স্বাদ পেয়েছেন দুবার। ২০১৩ সালে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের সদস্য হয়ে প্রথমবার শিরোপা উদযাপন করেছিলেন সাকিব। ২০১৬ সালে প্রথমবার অধিনায়ক হিসেবে ট্রফি উঁচিয়ে ধরেন। ২০১৭ সালে ফাইনালে হেরে যান মাশরাফির কাছে। এবার চতুর্থবার ফাইনাল খেলছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তামিম এবারই প্রথম ফাইনাল খেলবেন। তার দল কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। ২০১৫ সালে মাশরাফির অধিনায়কত্বে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পক্ষে প্রথমবার শিরোপার স্বাদ নেন ইমরুল। এবার ফাইনাল খেলছেন দ্বিতীয়বার। আজ ফাইনালে ঢাকা ডায়নামাইটস ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স মুখোমুখি হচ্ছে দ্বিতীয় শিরোপার টার্গেটে। ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স ২০১২ ও ২০১৩ সালে বিপিএলের প্রথম দুটি শিরোপা জিতেছিল। এরপর ২০১৬ সালে শিরোপা জিতে ঢাকা ডায়নামাইটস। এবার নামছে চার নম্বর শিরোপা জিততে। কুমিল্লা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ২০১৫ সালে। আজ মাঠে নামছে দ্বিতীয় শিরোপা জিততে। দুই দলের লড়াইয়ে আড়ালে লড়াই হবে সুনিল নারিন, আন্দ্রে রাসেল, কিয়েরন পোলার্ডের সঙ্গে এভিন লুইস, শহিদ আফ্রিদি, ওয়াহাব রিয়াজ, নিশান্ত পেরেরার। তবে সব ক্রিকেটারের  লড়াইকে পেছনে ফেলেছে দুই বন্ধু সাকিব ও তামিমের লড়াই।

জাতীয় দলের হয়ে দুই বন্ধু বহু ম্যাচ খেলেছেন। ২০০৭ সাল থেকে একত্রে খেলে বহু জয় উপহার দিয়েছেন দেশকে। ঘরোয়া ক্রিকেট কিংবা বিপিএলে বহুবার প্রতিপক্ষ হয়ে খেলেছেন। কিন্তু এবারই প্রথম ফাইনালে পরস্পরের মুখোমুখি ব্যাট-বলের লড়াইয়ে নামছেন। বাস্তব জীবনের দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু আজ মাঠের লড়াইয়ে পরস্পরের প্রতিপক্ষ। জীবন বাজির এই লড়াইয়ে এক ইঞ্চি ছাড় দিতে নারাজ দুজনে। দুই বন্ধুর লড়াইয়ে পারফরম্যান্সের বিচারে এগিয়ে সাকিব। ১৪ ম্যাচ খেলে সাকিবের  রান ২২ গড়ে ২৯৮। যাতে রয়েছে দুটি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস। উইকেট ২২টি। তার চেয়ে উপরে রয়েছেন শুধুমাত্র তাসকিন আহমেদ। তবে খুব পিছিয়ে নেই তামিমও। ১৩ ম্যাচে তামিমের রান ২৮ গড়ে ৩২৬। পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস দুটি। ঢাকা ও কুমিল্লার ফাইনালকে পেছনে ফেলে সব আলো কেড়ে নিয়েছে দুই বন্ধু সাকিব ও তামিমের ক্রিকেট দ্বৈরথ। ক্রিকেটপ্রেমীরাও অপেক্ষায় দুই বন্ধু ব্যাট-বলে সৌকর্য দেখতে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর