শনিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

বাতাসের সঙ্গে যুদ্ধ!

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বাতাসের সঙ্গে যুদ্ধ!

বাংলাদেশের অনুশীলনের ভিডিও দেখেই বোঝা যাচ্ছে, ক্রাইস্টচার্চের লিংকনে বাতাস কেমন! অনুশীলনের সময় দেখা যাচ্ছে নেট কাঁপছে। বাতাসের শো শো শব্দও শোনা যাচ্ছে। এমন তীব্র বাতাসের মধ্যেই অনুশীলন ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল। ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার ক্ষত পূরণ হতে না হতেই চলে এসেছে টেস্ট সিরিজ। তবে প্রথম টেস্টে মাঠে নামার আগে বেশ কয়েকদিন সময় পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা।

হ্যামিল্টনে প্রথম টেস্ট শুরু হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে। তার আগেই ক্রাইস্টচার্চে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নামছেন টাইগাররা। তবে ইনজুরির কারণে এই ম্যাচে খেলছেন না মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিথুন।

টেস্ট বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য আরেক পরীক্ষা। সেটা যেমন ব্যাটসম্যানদের জন্য, তেমন বোলারদের জন্যও। ওয়ানডে সিরিজে ব্যাটসম্যানরা তো ব্যর্থ হয়েছেনই, বোলাররাও আহামরি কিছু করতে পারেননি। কিন্তু টেস্টে ভালো কিছু করতে হলে বোলারদের ২০ উইকেট নেওয়ার সামর্থ্য থাকতে হবে।

কোচ স্টিভ রোডস জানিয়েছেন, ‘ছেলেরা ওয়ানডে সিরিজে ভালো করতে পারেনি। সবাই হতাশ। তবে আমার বিশ্বাস টেস্টে ভালো কিছু হবে।’

সব শেষ নিউজিল্যান্ড সফরে দারুন পারফর্ম করেছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের অনুপস্থিতি বেশ ভালোভাবেই টের পাচ্ছে বাংলাদেশ দল।

তবে ওয়ানডের হতাশা ভুলে টেস্টে ক্যারিশম্যাটিক কিছু করার জন্য কঠোর অনুশীলন করে যাচ্ছেন টাইগাররা।

বাতাসের কারণে বেশ সমস্যায় পড়ে যাচ্ছেন পেসারা। এমন কন্ডিশনে সঠিক জায়গায় বল ফেলাটাই কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু কন্ডিশনের সঙ্গে মারিনয়ে নেওয়া ছাড়া তো আর কোনো উপায় নেই। পেসার আবু জায়েদ রাহী বলেন, ‘এখানকার বাতাস অনেক ভারী। আমরা এটা নিয়েই কাজ করব এই ম্যাচে, যাতে আমরা পেসাররা ধারাবাহিক জায়গায় বোলিং করতে পারি। আজ বোলিং করেছি, অনেক কষ্ট হয়েছে। বাতাসে বল এদিক-ওদিক যাচ্ছে। নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে মানিয়ে নিতে অনুশীলন ম্যাচটা তাই অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

ওয়ানডে সিরিজে ম্যাচের ফল যাই হোক না কেন তা নিয়ে খুব বেশি ভাবছেন না ক্রিকেটাররা। বরং টেস্টে পারফর্ম করার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন তারা। আবু জায়েদ রাহী বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে শুরুর দিকে উইকেট তুলে নেওয়া অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা পেসাররা চেষ্টা করব যাতে শুরুতেই উইকেট এনে দিতে পারি। আমরা প্রায় আট দিন আগে এসেছি। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো ২০ উইকেট তুলে নেওয়া। একটা টেস্ট জিততে হলে ২০ উইকেট নিতেই হবে। আমরা সেটাই চেষ্টা করছি।’

নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের যেমন বাতাসের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হবে, অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটারদের জন্য এই কন্ডিশনটা বেশ উপভোগ্যই হবে। তারা সেখানে খেলে অভ্যস্ত।

বাতাসে কীভাবে বোলিং করতে হয়, কীভাবে ব্যাটিং করতে হয়, সেটা তারা খুবই ভালো করেই জানেন। আর বাংলাদেশের পেসাররা যেমন বিপদে পড়বেন, তেমনি ব্যাটসম্যানদের জন্যও খেলা খুবই কষ্টকর হয়ে যাবে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে হলে সব রকম বাধা-বিপত্তির কথা মাথায় রেখে, যে কোনো কি শনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েই ভালো খেলতে হয়।

তাই কোনো বাধাকেই আর অজুহাত হিসেবে উপস্থাপন করতে চান না টাইগাররা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর