শনিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

স্বপ্ন নিয়ে মিয়ানমারে মারিয়া বাহিনী

ক্রীড়া প্রতিবেদক

স্বপ্ন নিয়ে মিয়ানমারে মারিয়া বাহিনী

প্রতিবেশী দেশ। তারপরও বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ মহিলা ফুটবল দল মিয়ানমার পৌঁছাল ব্যাংককে প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টার ট্রানজিট নিয়ে। ভ্রমণ দীর্ঘ নয়। ক্লান্তিও থাকার কথা নয় মারিয়া মান্ডা, আঁখিদের। কিন্তু স্বপ্নটা অনেক বড় গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যদের। প্রতিবেশী মিয়ানমারে মারিয়ারা খেলবেন এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় রাউন্ড। আট দলের এই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে চ্যাম্পিয়নশিপের মূল পর্বে খেলার স্বপ্ন নিয়ে গতকাল মিয়ানমারের রাজধানীতে পা রেখেছেন মারিয়া, আঁখিরা। চ্যাম্পিয়নশিপের ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচগুলো মাঠে গড়াচ্ছে ২৭ ফেব্রুয়ারি এবং উদ্বোধনী দিনেই মারিয়াদের প্রথম প্রতিপক্ষ ফিলিপিন্স। ১ মার্চ যুবাদের আতিথেয়তা দেবে স্বাগতিক মিয়ানমার এবং ৩ মার্চ গ্রুপের শেষ ম্যাচের ফেবারিট চীন। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ নেপালে শুরু ১২ মার্চ। তার প্রস্তুতি নিতে মহিলা জাতীয় দলও এখন মিয়ানমারে। তবে অনূর্ধ্ব-১৬ দলের ১১ ফুটবলারই আবার জাতীয় দলের। বাংলাদেশের যুব মহিলা দল আবার ২০১৭ সালে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের মূল পর্বে খেলেছিল। তবে সুখকর ছিল না আসরটিতে। দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছিল চ্যাম্পিয়নশিপে। অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে হেরেছিল ২-৩ গোলে। গত আসরে বাছাইপর্ব ছিল না। সরাসরি বাছাইপর্ব খেলে চূড়ান্ত পর্বে নাম লিখেছিল বাংলাদেশ। এবার অবশ্য প্রথম পর্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে অংশ নিচ্ছে দ্বিতীয় রাউন্ডে। ছোটনের দল দ্বিতীয় রাউন্ডে অংশ নিচ্ছে ‘এফ’ গ্রুপের সেরা হয়ে। ঢাকা ছাড়ার আগে কোচ ছোটন স্বপ্নের কথা জানিয়েছেন। চীন, মিয়ানমার থাকার পরও দ্বিতীয় পর্বে খেলার বিষয়ে আশার কথা বলেছেন কোচ, ‘চীন বিশ্বমানের দল। মিয়ানমার, ফিলিপিন্সও শক্তিশালী। তারপরও প্রতিটি ম্যাচেই আমরা জয়ের লক্ষ্যে খেলব। দলের ফুটবলারদের ওপর আমার পূর্ণ বিশ্বাস আছে। তারা যদি স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারে, তাহলে আমরা টার্গেট পূরণ করতে পারব।’ চূড়ান্ত পর্বে খেলতে আত্মবিশ্বাসী অধিনায়ক মারিয়া মান্ডাও, ‘অনেকদিন ধরেই আমরা ক্যাম্প করেছি। আন্তর্জাতিক ম্যাচও খেলেছি অনেক। গতবার খেলেছি। এবারও চেষ্টা করব চূড়ান্ত পর্বে খেলতে।’

মূল পর্ব এবার অনুষ্ঠিত হবে থাইল্যান্ডে। চূড়ান্ত পর্বে সরাসরি খেলবে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন উত্তর কোরিয়া, রানার্স আপ দক্ষিণ কোরিয়া, তৃতীয় জাপান এবং স্বাগতিক। বাকি চার দল নির্ধারিত হবে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে। দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলছে বাছাইয়ের প্রথম পর্বের ৬ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, চীন, লাওস, অস্ট্রেলিয়া, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড এবং সেরা দুই রানার্সআপ ভিয়েতনাম ও ফিলিপিন্স। তবে থাইল্যান্ড স্বাগতিক হওয়ায় মূল পর্বে খেলবে। সে জন্য সুযোগ পেয়েছে ইরান।

সর্বশেষ খবর