শিরোনাম
বুধবার, ৬ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

এক সেঞ্চুরিতেই বাজিমাত

মেজবাহ্-উল-হক

এক সেঞ্চুরিতেই বাজিমাত

সাদা পোশাকে ২৫ ধাপ এগিয়েছেন সৌম্য সরকার, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ১২ ধাপ এবং ১১ ধাপ এগিয়েছেন ওপেনার তামিম ইকবাল। হ্যামিল্টন টেস্টে একটি করে সেঞ্চুরি দিয়েই বাজিমাত করে দিয়েছেন বাংলাদেশের তিন তারকা ব্যাটসম্যান।

গতকাল ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা-আইসিসির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘হ্যামিল্টন টেস্টের পর বাংলাদেশের বাঁ হাতি ওপেনার তামিম ইকবাল র‌্যাঙ্কিংয়ে এখন ২৫তম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এখন তার ক্যারিয়ার সেরা ৪০তম স্থানে, সৌম্য সরকার এখন ৬৭তম স্থানে। বোলিংয়েও তিন ধাপ এগিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ, এখন ৬৩তম স্থানে।’ ঘরের মাঠে বিপিএলের ফাইনালে ১৪১ রানের ‘সাইক্লোন’ ইনিংস খেলে নিউজিল্যান্ডে গিয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ‘সুপার ফ্লপ’ ছিলেন তামিম। ড্যাসিং ওপেনার তিন ম্যাচে মিলে করেছিলেন মাত্র ১০ রান। প্রথম ম্যাচে ৫ রান, দ্বিতীয় ম্যাচেও ৫, আর শেষ ম্যাচে তো রানের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি। কিন্তু সেই তামিমই সিরিজের প্রথম টেস্টে হ্যামিল্টনে দুই ইনিংস অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন। প্রথম ইনিংসে ১২৬ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও করেছেন ৭৪ রান। সেডন পার্কে দুই মিলে ২০০ রান করে পুরস্কারটাও হাতে-নাতেই পেলেন তামিম। সাকিবকে (২৮তম) টপকে এখন ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে শীর্ষে এই ওপেনার। তামিমের মতো ওয়ানডেতে ব্যর্থ ছিলেন মাহমুদুল্লাহও। তিন ম্যাচে তার স্কোর তিনটি ১৩, ৭, ১৬। টেস্টে তার মাথায় ছিল চাপের বোঝা। নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান না থাকায় তাকে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। তারপর একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে হ্যামিল্টনে এর আগে টেস্টে ও ওয়ানডে সেঞ্চুরি থাকায় তার ওপর প্রত্যাশার চাপও ছিল আকাশ ছোঁয়া। তবে ওয়ানডে সিরিজের পর দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে ক্রাইস্টচার্চের লিঙ্কনে হার না মানা ৫৯ রানের একটি ইনিংস খেলেছিলেন। এই ইনিংসই যেন সাহসী করে তুলেছিল রিয়াদকে। তাই তো প্রথম ইনিংসে মাত্র ২২ রানে আউট হলেও ধৈর্য হারাননি তিনি। তারপর দ্বিতীয় ইনিংসে খেলেন ১৪৬ রানের অসাধারণ ইনিংস। সাদা পোশাকে মাহমুদুল্লাহর ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসও এটি। শেষ চার টেস্টে মাহদুল্লাহর তৃতীয় সেঞ্চুরি এটি। দেশের মাটিতে গত নভেম্বরে জিম্বাবুয়ে (১০১* রান) ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের (১৩৬ রান) বিরুদ্ধে একটি সেঞ্চুরি রয়েছে তার। তবে কিউইদের বিরুদ্ধে এই সেঞ্চুরিটি ‘অন্যরকম’! দলে বিপদের সময় বাইশগজে গিয়ে প্রতিকূলতার সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে দুর্দান্ত এই ইনিংসটি খেলেছেন তিনি। আর বল হাতে তিনি মাত্র ১ ওভার বোলিং করেছেন, ৩ রানে ১টি উইকেটও নিয়েছেন।

নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট দলে ছিলেন না সৌম্য। তিন ম্যাচে ওয়ানডে সিরিজ খেলেই তার দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু মুশফিকের ইনজুরির কারণে টিম ম্যানেজমেন্ট ব্যাকআপ হিসেবে দলের সঙ্গে রেখে দেয় সৌম্যকে। ওয়ানডে সিরিজে যে তিনি খুব ভালো করেছিলেন এমন নয়। তবে প্রথম দুই ম্যাচে সৌম্য দারুণভাবে শুরু করেছিলেন। ৩০ ও ২২ রানের সৌম্য ইনিংস দুটিতেই ছিল তার নিজস্ব ‘মারকুটে’ স্টাইল। যদিও শেষ ওয়ানডেতে রানের খাতা খুলতে পারেননি। তবে প্রথম টেস্টেই পেয়েছেন অসাধারণ এক সেঞ্চুরি। সেডন পার্কে ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৯ রানের ইনিংস। টেস্টে সৌম্যর ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস তো বটেই, প্রথম সেঞ্চুরিও এটি। যদিও ওই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে তিনি করেছিলেন মাত্র ১ রান। দুই ইনিংস মিলে ১৫০ রান করেই র‌্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ দিয়েছেন এই ব্যাটসম্যান।

তবে ব্যক্তিগতভাবে হ্যামিল্টন টেস্টে থেকে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট অর্জন করেছেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। হার না মানা ডাবল সেঞ্চুরি করে পেয়েছেন ৫২ পয়েন্ট। যদিও তার র‌্যাঙ্কিংয়ে কোনো পরিবর্তন হয়নি। আগের মতোই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন তিনি। তবে শীর্ষে থাকা ভারতীয় ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলির সঙ্গে তার ব্যবধান কমিয়েছেন। শীর্ষে থাকা কোহলির পয়েন্ট এখন ৯২২ এবং ৯১৫ পয়েন্ট নিয়ে তার ঘাড়ে যেন শ্বাস ছাড়ছেন উইলিয়ামসন। র‌্যাঙ্কিংয়ে আগের মতো তিন, চার ও পাঁচ নম্বর স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে ভারতের চেতেশ্বর পূজারা, অস্ট্রেলিয়া স্টিভ স্মিথ ও ইংল্যান্ডের জো রুট।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর