দুঃসময়ে জ্বলে উঠলেন অলরাউন্ডার জিয়াউর রহমান। জাতীয় দলের সাবেক অলরাউন্ডারের উজ্জ্বল পারফরম্যান্সে টানা দুই ম্যাচে হারের ধাক্কা সামলে প্রথম জয়ের মুখ দেখলো শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ফতুল্লা স্টেডিয়ামে লো-স্কোরিং ম্যাচে প্রিমিয়ার ক্রিকেট টি-২০ চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ১২ রানের নাটকীয় জয় পেয়েছে শাইন পুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে। শাইন পুকুরের এটা তৃতীয় হার। বিকেএসপিতে নাইম ইসলামের সেঞ্চুরিতে লিজেন্ড অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে ৯ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে প্রাইম ব্যাংক। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ব্যর্থ হয়েছে ইয়াসির আলির সেঞ্চুরি। তার সেঞ্চুরির পরও ব্রাদার্স ইউনিয়ন ১৪ রানে হেরেছে প্রিমিয়ার ক্রিকেটের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর কাছে।
টানা তিন জয়ে পয়েন্ট টেবিলে সবার উপরে এখন ধানমন্ডি পাড়ার দলটি।
কুয়াশার জন্য প্রায় দেড় ঘণ্টা পর খেলা শুরু হয় ফতুল্লায়। ৪৬ ওভারের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শরীফুল ও সাব্বিরের বোলিং তোপে বিধ্বস্ত হয় শেখ জামালের ব্যাটিং লাইন। ৩৫.১ ওভারে গুটিয়ে যায় মাত্র ১০৬ রান যোগ করে। দংলকে শয়ের ঘর পেরোতে সাহায্য করেন জিয়াউর ৫৮ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ৪১ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে। তিনি যখন ক্রিজে আসেন, তখন দলের স্কোর ছিল ৪৭ রানে ৫ উইকেট। ১০৭ রানের মামুলি টার্গেটে খেলতে নেমে শাইন পুকুর বোলিং তোপে পড়ে জিয়াউরের। পঞ্চম বোলার হিসেবে বোলিংয়ে এসেই জিয়াউর মাত্র ২৯ ওভারে ৯৪ রানে গুঁড়িয়ে দেন শাইন পুকুরকে। ১০ ওভারের টানা স্পেলে ২৩ রানের খরচে ৫ উইকেট নেন জিয়াউর।সংক্ষিপ্ত স্কোর
শেখ জামাল ১০৬/১০ (৩৫.১ ওভার) (জিয়া ৪১ ; সাব্বির ৪/২৮)
শাইনপুকুর ৯৪/১০ (২৯ ওভার) (সাব্বির ২৬; জিয়া ৫/২৩)
ফল : শেখ জামাল ১২ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা : জিয়াউর রহমান।
আবাহনী ২৩৬/৬ (৫০ ওভার) (সাইফুদ্দিন ৫৯*, মোসাদ্দেক ৫৪; নাঈম জুনি: ২/২৮)
ফল : আবাহনী ১৪ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা : সাইফুদ্দিন।
রূপগঞ্জ ১৬৩/১০(৪৬.১ ওভার) (নাইম ৫২, জাকির ৪৭; কাপালি ২/১২, মহর ২/১৪)
প্রাইম ব্যাংক ১৬৬/১ (৩১.৩ ওভার) (এনামুল ১০০*, রুবেল ৪৪; নাবিল ১/৩৬)
ফল : প্রাইম ব্যাংক ৯ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা : এনামুল হক বিজয়।