শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

আবাহনীর দুরন্ত জয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক

আবাহনীর দুরন্ত জয়

পাল্লা দিয়ে সেঞ্চুরি করেছেন জহুরুল ইসলাম অমি ও ইমরুল কায়েশ। দুই তারকা আলো ছড়িয়েছে ব্যাট হাতে নান্দনিকতা ছড়িয়ে। কিন্তু আবাহনী ও গাজী স্পোর্টসের হেভিওয়েট লড়াইয়ে দুই তারকার সেঞ্চুরিকে আড়ালে ফেলে সব আলো কেড়ে নিয়েছেন বাংলাদেশের সব সময়কার সেরা পেসার মাশরাফি বিন মর্তুজা। টাইগার ওয়ানডে অধিনায়কের বিধ্বংসী বোলিংয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী ২৯ রানে হারিয়েছে গাজী ক্রিকেটার্সকে। প্রিমিয়ার ক্রিকেটে এটা আবাহনীর সাত ম্যাচে ছয় নম্বর জয়। দিনের বাকি দুই ম্যাচে জিতেছে লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। প্রিমিয়ার ক্রিকেট টি-২০ চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ৫ উইকেটে হারিয়েছে খেলাঘর সমাজকল্যাণকে। এ জয়ে শেখ জামালের পয়েন্ট ৭ ম্যাচে ৮। মিরপুর স্টেডিয়ামে জাতীয় দলের পেসার মোহাম্মদ শহীদের বিধ্বংসী বোলিংয়ে রূপগঞ্জ ৭২ রানে হারিয়েছে প্রাইম দোলেশ্বরকে। রূপগঞ্জের এটা ৭ ম্যাচে ৬ নম্বর জয়। দোলেশ্বরের সমসংখ্যক ম্যাচে দ্বিতীয় হার। আবাহনী ও গাজীর ম্যাচে ব্যাট হাতে লড়াই হয়েছে জহুরুল ও ইমরুলের। প্রিমিয়ার ক্রিকেটের চলতি আসরে জহুরুলের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৮৬ রান করে আবাহনী। ইনিংসের শুরু থেকে শেষ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করে ১৩০ রান করেন জহুরুল। আগের ম্যাচে মোহামেডানের বিপক্ষে ৯০ রানের ইনিংস খেলা জহুরুলের গতকালের ইনিংসটি ছিল ১৩৮ বলে ১৪ চার ও ২ ছক্কায়।

২৮৭ রানের টার্গেটে গাজীর ইনিংস থেমে যায় ৪৮.৪ ওভারে ২৫৭ রানে।

ইমরুল ১২৬ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেন ১১৮ বলে ১৫ চার ও ৫ ছক্কায়। দুই সেঞ্চুরিয়ানের কীর্তিকে পেছনে ফেলেন মাশরাফি ৪৬ রানে ৬ উইকেট নিয়ে। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এ নিয়ে চতুর্তবারের মতো ৬ উইকেট নিয়ে বিরল রেকর্ড গড়েন টাইগার অধিনায়ক। এ ম্যাচের আগে তিনবার করে ৬ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন মাশরাফি ও রুবেল হোসেন। আবাহনীর হয়ে গত প্রিমিয়ার লিগে অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন মাশরাফি। ২০১৬ সালে রূপগঞ্জের বিপক্ষেও ৬ উইকেট নিয়েছিলেন মাশরাফি। ওয়ানডে ক্রিকেটে মাশরাফির ক্যারিয়ার সেরা বোলিং কেনিয়ার বিপক্ষে, ২০০৬ সালে ২৬ রানে ৬ উইকেট। অবশ্য ওয়ানডে ক্রিকেটে রুবেলেরও সেরা পারফরম্যান্স নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৬ রানে ৬ উইকেট।

মিরপুর স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে রূপগঞ্জের সংগ্রহ ছিল ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৬৫ রান। সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন শাহরিয়ার নাফিস ও ৬৭ রান করেন আকবর। ২৬৬ রানের টার্গেটে দোলেশ্বরের ইনিংস থেমে যায় ৪৬ ওভারে ১৯৩ রান করে। দোলেশ্বরকে আটকে ফেরা শহীদ ৪ উইকেট নেন ২৩ রানের খরচে।

ফতুল্লায় জাতীয় দলের দুই বোলার খালিদ ও তাইজুলের জোড়া আঘাতে খেলাঘরের বিপক্ষে ৫ উইকেটের সহজ জয় পায় টি-২০ চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল। প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৮৩ রান করে খেলাঘর। সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন মইনুল ইসলাম। জামালের পক্ষে তাইজুল ৩৯ রানে ৩টি ও খালিদ ৪৩ রানে ৩ উইকেট নেন। ১৮৪ রানের টার্গেটে শেখ জামাল জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ৮ ওভার হাতে রেখে। সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন ওপেনার ইমতিয়াজ।     

 

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

আবাহনী : ২৮৬/৬, ৫০ ওভার (জহুরুল ১৩০, সৌম্য ২৯, ওয়াসিম ১৯, মোসাদ্দেক ৭১, সাব্বির ১, সাইফ ০*, মিরাজ ৬*; আবু হায়দার ৯-১-৬১-১, কামরুল রাব্বি ২/৭০, রসুল ১/৩৪, নাসুম ২/৪৭)।

গাজী গ্রুপ : ২৫৭/১০, ৪৮.৪ ওভার  (ইমরুল ১২৬, শামসুর ৩০, তৌহিদ ৩৯। মাশরাফি ৬/৪৬, সাইফ ২/৬৩, সাঞ্জামুল ১/১৭)।

ফল : আবাহনী ২৯ রানে জয়ী।

খেলাঘর : ১৮৩/৯, ৫০ ওভার (মাইনুল ৫৫, অমিত ৪০। খালিদ ৩/৪৩, তাইজুল ৩/৩৯)। 

শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব : ১৮৫/৫, ৪২ ওভার (ইমতয়িাজ ৪৭, ফারদিন ২৫, তানভির ২৫। তানভির ২/৩১)।

ফল : শেখ জামাল ৫ উইকেটে জয়ী

লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ : ২৬৫/৯, ৫০ ওভার (শাহরিয়ার নাফিস ৬৮, আকবর ৬৭। ফরহাদ রেজা ৪/৫২)।

প্রাইম দোলেশ্বর : ১৯৩/১০, ৪৬ ওভার (সাদ ৬১, ইমতিয়াজ ৩৭। শহীদ ৪/২৩)।

ফল : রূপগঞ্জ ৭২ রানে জয়ী।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর