সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

তাহলে কি সমঝোতার কমিটি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

তাহলে কি সমঝোতার কমিটি

বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আবদুস সাদেক (মাঝে), সাজেদ এ এ আদেল ও প্যানেলের অন্য প্রার্থীরা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

হকির নির্বাচনে প্রার্থীরা মনোয়নপত্র জমা দিলেন। কিন্তু নির্বাচন না সমঝোতার ভিত্তিতে নতুন কমিটি গঠন হবে সে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। ক্রীড়াঙ্গনের গুণীজনরা শুরু থেকে চাচ্ছেন হকির চাকা সচল রাখতে। যোগ্যদের ঠাঁই দিয়ে সমঝোতার কমিটি হোক। এনিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমনকি দুই প্রতিমন্ত্রী হকির কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। সেখানে জেলা ও বিভাগীয় সংগঠক পরিষদের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, মহাসচিব বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক আশিকুর রহমান মিকুও উপস্থিত ছিলেন।

ক্রীড়াঙ্গনের যে কোনো নির্বাচনে জেলা ও বিভাগীয় পরিষদ বড় ফ্যাক্টর। কাউন্সিলরের সংখ্যা বেশি বলে এ সংগঠন যাদেরকে সমর্থন দেয় তাদেরই জয়ের সম্ভাবনা বেশি থাকে। এবার হকির নির্বাচনে তারা আগেই জানিয়ে দিয়েছে হকির কিংবদন্তি আবদুস সাদেককে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রেখে সমঝোতার কমিটি দেখতে চান। মিকু বলেছেন, ‘সাদেক ভাই বিগত দিনে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে হকির চাকাকে সচল রেখেছেন। তিনি সাধারণ সম্পাদক থাকলে হকি স্বস্তিতে থাকবে।

শুধু আ জ ম নাছির উদ্দিন বা মিকু নন, ক্রীড়াঙ্গনের সচেতন মহলই চাচ্ছে সাদেককে সাধারণ সম্পাদকের পদে রেখে যোগ্যদের নিয়ে সমঝোতার কমিটি হোক। সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের নির্দেশে বিসিবি সভাপতি সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু আরেক সংগঠক একেএম মুমিনুল হক সাইদ তার সিদ্ধান্তে অটল। তার একটাই কথা তিনি সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হবেনই। এতে মনে হচ্ছিল সমঝোতা নয় হকি এগুচ্ছে নির্বাচনের পথে।

এখন আবার অন্য আভাস পাওয়া যাচ্ছে। গতকাল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে সাইদ সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি সহসভাপতি পদেও মনোয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আরেক সংগঠক আবদুর রশিদ একই পথ বেছে নিয়েছে। অথচ দুজনাই একই প্যানেলের প্রার্থী। সাইদ নির্বাচনী কৌশলের কারণে তিনি বা তার সমর্থিত প্যানেল একাধিক পদে মনোয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ঘটনাটা রহস্যই মনে হচ্ছে। কেননা সাইদ এটাও বলেছেন কারও কাছ থেকে তিনি সমঝোতার প্রস্তাব পাননি। শুধু তাই নয়, এটাও বলেছেন ৪ এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। উল্লেখ্য, সেদিনই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। ৮ এপ্রিল হবে নির্বাচন।

তাহলে কি সমঝোতার কমিটি গঠন হচ্ছে? সাইদের সুরেই বলতে হয় ৪ এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে। তিনি বলেছেন, কেউ সমঝোতার প্রস্তাব দেননি। তাহলে ধানমন্ডি পাপনের কার্যালয়ে সাইদ ছুটে গিয়েছিলেন কেন? সাইদ বা রশিদ দুই পদে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও আবদুস সাদেক কিন্তু শুধু সাধারণ সম্পাদক পদেই জমা দিয়েছেন।

সাজেদ এ এ আদেল, ড. মাহফুজুর রহমান, জকি আহমেদ রিপন, মুস্তফা জামান, ইউসুফ আলী, সহসভাপতি পদে। মাহবুব এহসান রানা, মো. ইউসুফ যুগ্ম সম্পাদক ছাড়াও সদস্য পদে ২২ জনের নাম জমা দিয়েছে সাদেক সমর্থিত প্যানেল।

সাদেক পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেন, হকি উন্নয়নে সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। নির্বাচিত হলে তিনি তা করবেন। অতীতে সাদেক কিন্তু কাউকে বঞ্চিত রাখেননি। যেখানে যাকে প্রয়োজন সেখানে তাকে তিনি কাজে লাগিয়েছেন। ক্রীড়াঙ্গনে এমন নজির কি খুব বেশি আছে? অন্যদিকে সাইদ সমর্থিত প্যানেলে ৩৭টি মনোয়নপত্র জমা পড়েছে। তবে একাধিক পদে জমা দিয়েছেন অনেকেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর