বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

হকির নির্বাচন ঘিরে রহস্য

ক্রীড়া প্রতিবেদক

হকির নির্বাচন ঘিরে নতুন কোনো খবর নেই। আগামীকাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। হয়তো কোন কোন পদে প্রার্থীরা নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেবেন। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ঘোষণা না হলেও দুই প্যানেলে বিভক্ত হয়ে ৮ এপ্রিল নির্বাচন হবে এটাই স্পষ্ট। হকির কিংবদন্তি আবদুস সাদেক সমর্থিত প্যানেলে সাদেক শুধুই সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। কিন্তু আরেক প্যানেল একেএম মুমিনুল হক সাইদ সাধারণ সম্পাদকের প্রার্থী হবেন অনেক আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল। সাইদ নিজে বিভিন্ন মিডিয়াতে বলেছেন, তিনি সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করবেন।

মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছেন। তবে রহস্য হচ্ছে তিনি আবার সহ-সভাপতি পদেও মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। শুধু তাই নয় তার সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী হিসেবে ধরা আরেক সংগঠক আবদুর রশিদ শিকদারও সাধারণ সম্পাদক ও সহ-সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এমনকি এই প্যানেলের অনেকেই একই কাজ করেছেন। সাইদ নিজেই বলেছেন নির্বাচন কৌশলী হিসেবে তিনি এই পথ বেছে নিয়েছেন।

হতেও পারে এটা একটা কৌশল। কেননা ৪ এপ্রিল সাইদ সহ-সভাপতি ও রশিদ সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলে লড়াইটা সাদেক ও সাইদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে এই সময় সাইদের বিদেশ যাওয়া গুঞ্জন নিয়ে। তবে তার সমর্থিত এক কাউন্সিলর জানান সাইদ দেশেই আছেন। সাইদ যদি দেশে নাও থাকেন সহ-সভাপতি পদে নাম প্রত্যাহারের স্বাক্ষরিত চিঠি কারও হাতে দিয়ে গেলে তিনি অনুপস্থিত থাকলেও সমস্যা হবে না। সাদেকরা পুরো প্যানেলে নির্বাচন করতে প্রস্তুত। কিন্তু অপর প্যানেলের নানা কা  নিয়েই যত রহস্য। নির্বাচন হোক, এ নিয়ে কারোর আপত্তি নেই। কিন্তু ভোট নিশ্চিত করতে বিশেষ এক মহল ম্যাসেজ পাঠিয়ে কাউন্সিলরদের যে ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে তা সত্যিই নিন্দাদায়ক। কাউন্সিলর মনোনয়নে তারা জোরও খাটিয়েছে। এরপরও নির্বাচন কমিশনের নীরবতা নিয়েও এ রহস্য সৃষ্টি হয়েছে।

সর্বশেষ খবর