বুধবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

প্রিমিয়ারে জমে উঠেছে গোলের লড়াই

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রিমিয়ারে জমে উঠেছে গোলের লড়াই

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের প্রথম পর্ব শেষের দিকে। শিরোপা লড়াই এখন তুঙ্গে। ১০ ম্যাচে বসুন্ধরা কিংস ২৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। তারাই একমাত্র দল কোনো ম্যাচ হারেনি। টিম বিজেএমসির বিপক্ষে ড্র করে ২ পয়েন্ট নষ্ট করেছে। আগামীকাল নীলফামারীতে সাইফ স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে জয় পেলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই বসুন্ধরা কিংসের শীর্ষস্থান নিশ্চিত হয়ে যাবে। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী ১১ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে। কিংস ও শেখ রাসেলের কাছে হারলেও শিরোপার ঠিক পথেই আছে দলটি। শেখ রাসেল ১০ ম্যাচে ২১ ও সাইফ স্পোর্টিং ২০ পয়েন্ট পেয়েছে।

চার দলের লড়াই এখন তুঙ্গে। শেষ পর্যন্ত কে যে শিরোপার হাসি হাসবে বলা মুশকিল। শিরোপার পাশাপাশি সর্বোচ্চ গোলদাতার লড়াইও জমে উঠেছে। পেশাদার লিগের আগের ১০ আসরে একবারই সেরা গোলদাতা হন স্থানীয় ফুটবলাররা। তৃতীয় আসরে ঢাকা আবাহনীর এনামুল হক ২১টি গোল করেন। বাকিটা শুধুই বিদেশিরা।

এবার লিগে সম্ভাবনা আছে স্থানীয় ফুটবলারদেরও। এখন পর্যন্ত আবাহনীর নাইজেরিয়ান ফুটবলার সানডে চিজোবা ৯ গোল দিয়ে শীর্ষে রয়েছেন। তবে একই দলের লোকাল ফুটবলার নাবীব নেওয়াজ জীবনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। একটি হ্যাটট্রিকসহ ৭ গোল দিয়ে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনে বসে আছেন । মুক্তিযোদ্ধার আইভরি কোস্টের স্ট্রাইকার বাল্লো ফামুসাও একটি হ্যাটট্রিকসহ ৭ গোল দিয়েছেন। আরামবাগের অভিজ্ঞ ফুটবলার জাহিদ হোসেনও খুব একটা পিছিয়ে নেই। একটি হ্যাটট্রিকসহ তার গোল সংখ্যা ৬টি। বসুন্ধরা কিংসের মতিন মিয়ার ৫ গোল। উল্লেখিত ফুটবলারদের মধ্যেই যে এই লড়াই সীমাবদ্ধ থাকবে তাও বলা যায় না। পুরো দ্বিতীয় পর্ব পড়ে আছে। অনেক ওলট-পালটও হতে পারে। তবে একটা বিষয় নিশ্চিত ১৯৮২ সালে সালাম মুর্শেদির দেওয়া ২৭ গোলের রেকর্ডটি ভাঙার সম্ভাবনা ক্ষীণই বলা যায়। বিজন তাহেরি ও ওয়েডসন ২৬ গোল পর্যন্ত এসেও রেকর্ডটি ভাঙতে পারেননি।

সর্বশেষ খবর