সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

সেমিতে খেলার আশা মুশফিকের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সেমিতে খেলার আশা মুশফিকের

ইএসপিএনের বিশ্বসেরা ১০০ ক্রীড়াবিদের একজন মুশফিকুর রহিম। ইএসপিএনের সেরাদের একজন মুশফিক আবার বাংলাদেশের সেরা ক্রিকেটারদের একজন। আসন্ন ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ১৬ কোটি ক্রিকেটপ্রেমীর ভরসার এক নাম। টাইগারদের স্বপ্ন পূরণের অন্যতম ‘সারথী’ ২০১ ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞ মুশফিক আবার চাইছেন ক্রিকেট মহাযজ্ঞকে স্মরণীয় করে রাখতে। দেশের অন্যতম সেরা এই ক্রিকেটারের ব্যাটে চড়ে এবার টাইগাররা স্বপ্নের পাখা মেলে আকাশে উড়তে চাইছে। সাবেক অধিনায়কও বিশ্বাস করেন, সেমিফাইনালে খেলার সামর্থ্য রয়েছে বাংলাদেশের।

২০০৬ সালে অভিষেক। বিশ্বকাপে প্রথম খেলেন ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। এরপর ২০১১ সালে ঘরের মাঠে এবং ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপেও টাইগারদের ভরসা ছিলেন। এবার নিয়ে চার নম্বর বিশ্বকাপ খেলবেন মুশফিক। অবশ্য এবার চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলবেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালও। ইএসপিএনের সেরা ১০০ ক্রীড়াবিদের তালিকায় রয়েছে সাকিব ও তামিমেরও নাম। চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলবেন বলে স্মরণীয় করে রাখতে মরিয়া সাবেক অধিনায়ক, ‘শুধু বিশ্বকাপ নয়, বাংলাদেশের হয়ে একটি ম্যাচ খেলাও গর্ব ও সম্মানের। বিশ্বকাপ অনেক বড় মঞ্চ। আমরা চারজন এবার চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছি। আমাদের সবার ইচ্ছা এবারের আসরটিকে স্মরণীয় করে রাখা। কঠিন কাজ। কিন্তু অসাধ্য নয়। সহজে প্রাপ্তির কোনো মজা নেই। আমি মনে করি আমাদের নকআউট পর্বে  (সেমিফাইনাল) যাওয়ার সামর্থ্য আছে। আর নকআউট পর্বে গেলে যে কোনো কিছুই ঘটতে পারে।’      

বিশ্বকাপের অভিষেক ম্যাচেই বাজিমাত করেন মুশফিক। শচীন টেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড়, সৌরভ গাঙ্গুলী, বীরেন্দার শেভাগদের নিয়ে গড়া বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইনের ভারতকে হারিয়ে চমকে দেয়। ওই ম্যাচে মুশফিক খেলেছিলেন ৫৬ রানের হার না মানা ইনিংস। বিশ্বকাপের প্রথম আসরে ৯ ম্যাচের ৮ ইনিংসে একটি হাফসেঞ্চুরিসহ রান করেন ১৩১। চার বছর পর ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে খুব বেশি আলো ছড়াতে পারেননি। ৬ ম্যাচে রান করেছিলেন ৮১। ২০১৫ সালে বিশ্বকাপ ছিল আলো ঝলমলে। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের পর সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান ছিলেন মুশফিক। ৬ ম্যাচে ৩টি হাফসেঞ্চুরিসহ রান করেন ৯৮। ক্যানবেরায় আফগানিস্তানকে হারানোর ম্যাচে খেলেন ৭১ রানের ঝকঝকে ইনিংস।

নেলসনে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের ম্যাচে তার ব্যাট থেকে বেরোয় ৮০ রান এবং অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মরণ-বাঁচন ম্যাচে রান করেন ৮৯। এবারের আসরে নিজেকে প্রমাণ করতে মুখিয়ে আছেন দেশসেরা উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান, ‘এমন একটি বড় ইভেন্টে ভালো করতে সবাই মুখিয়ে। আমিও চাইছি সেরাটা খেলতে। তবে এটাও মনে রাখতে হবে, কন্ডিশন একটি বড় বিষয়। আমার জন্য এটা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। চতুর্থবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছি। আগের তিন আসরে রান করেছি। এবার আমার একটি টার্গেট রয়েছে। চেষ্টা থাকবে আগের আসরগুলোকে ছাপিয়ে দিতে যাওয়ার।’

বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করার গুরুত্ব আলাদা। বাংলাদেশ ১৯৯৯ সাল থেকে বিশ্বকাপ খেলছে নিয়মিত। এবার ষষ্ঠবারের মতো খেলবে। আগের পাঁচ আসরে বাংলাদেশের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে সেঞ্চুরি করেছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। সেঞ্চুরির স্বপ্ন দেখছেন অনেকেই। স্বপ্ন দেখছেন মুশফিকও, ‘মাইলস্টোন সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের উপরের সারির ব্যাটসম্যানরা সবাই চাইছে বড় স্কোর করতে। আমার যদি সুযোগ আসে, তাহলে চেষ্টার সর্বোচ্চটাই করবো।’

সর্বশেষ খবর