শুক্রবার, ৩ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা
আয়ারল্যান্ড যাওয়ার পথে...

স্বপ্নের বিশ্বকাপ মিশন

মেজবাহ্-উল-হক

স্বপ্নের বিশ্বকাপ মিশন

বিশ্বকাপের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।  এমনকি আয়ারল্যান্ডে পৌঁছে অনুশীলনও করেছেন ক্রিকেটাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলার পর সেখান থেকে বিশ্বকাপে খেলতে ইংল্যান্ড যাবেন টাইগাররা।

কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতেই ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের কন্ডিশনের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই। ২০১৭ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার আগেও এই আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলেছিলেন মাশরাফিরা। তারপর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ফলটাও এসেছে হাতেনাতে। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মতো দলকে বিদায় করে দিয়ে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে ওঠে মাশরাফিরা।

তবে ভয় হচ্ছে আয়ারল্যান্ডের উইকেট নিয়ে। দুই দেশের আবহাওয়ার সঙ্গে মিল থাকলেও আয়ারল্যান্ডের উইকেট ও ইংল্যান্ডের উইকেটের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ।

তবে মাশরাফিরা আশা করছেন, সামনে বিশ্বকাপ রেখে ইংল্যান্ডের মতোই ইউকেট বানাবে আয়ারল্যান্ড!

এ সম্পর্কে ক্রিকেট বিশ্লেষক ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘দুই দেশের উইকেট তো এক নয়। তবে যেহেতু সামনে বিশ্বকাপ, তাই ইংল্যান্ডের মতোই উইকেট হতে পারে। সেটা হলে বাংলাদেশের জন্য খুবই ভালো হবে।’

২০১৫ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে। এবার টাইগাররা যাচ্ছে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন নিয়ে। আর সেমিতে উঠতে পারলে তখন শিরোপার কথা চিন্তা করা যাবে বলে মনে করেন লিপু, ‘বাংলাদেশকে খেলতে হবে ম্যাচ বাই ম্যাচ। এবারের ফরমেশনটা খুবই কঠিন। সবাইকে সবার সঙ্গে খেলবে। এমনি সাধারণভাবে চিন্তা করলে দেখা যায়, শক্তির বিচারে ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া সেমিফাইনাল খেলবে। আর সেমির চতুর্থ দল হওয়ার জন্য লড়াই করতে হবে পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকাকে। এর মধ্যে বাংলাদেশও আছে। খুবই কঠিন।’

তবে যত কঠিনই হোক না কেন, সেমিফাইনালে ওঠার কৌশলটাও যেন বলে দিয়েছেন টাইগারদের সাবেক এই অধিনায়ক, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা কিন্তু এবার তুলনামূলক দুর্বল দল। পাকিস্তানেরও ঠিক নাই, কখন কি করে! তাই বাংলাদেশের একটা সুযোগ থাকছেই। এক্ষেত্রে মাশরাফিদেরও সাবধান থাকতে হবে। তুলনামূলক দুর্বল দলগুলোর বিরুদ্ধে পয়েন্ট হারানো যাবে না। তবে আমি আশাবাদী।’

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসানও ভীষণ আত্মবিশ্বাসী এবারের দল নিয়ে। তিনি বলেন, ‘আমার প্রত্যাশা বাংলাদেশ ম্যাচ বাই ম্যাচ চিন্তা করে ভালো খেলুক। ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলুক। কোচ বলেছেন সেমিফাইনাল, আমি তো আরও ভালো কিছু ভাবতে পারি যদি অন্য দলের চেয়ে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলতে পারে। ক্রিকেটারদের জয় পরাজয়ের কথা চিন্তা না করে নিজেরদের সেরাটা উজাড় করে দিয়ে খেলতে হবে। আর নিজেদের সেরা দিনে বাংলাদেশ যেকোনো দলকে হারানোর সামর্থ্য রাখে।’

বাস্তবতার বিচারে হয়তো ফেবারিটের তালিকায় নেই বাংলাদেশ! তবে এই দলে আছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। নেতৃত্বে মাশরাফির মতো তারকা। এছাড়া দলের মেরুদ  হিসেবে আছেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। বিশ্বকাপে অভিজ্ঞতা আছে রুবেল হোসেন, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমানেরও। আর এই অভিজ্ঞদের সঙ্গে যদি তরুণরা পারফরম্যান্সে জ্বলে ওঠে তাহলে শিরোপার আশা করা কি খুব বাড়াবাড়ি হবে!

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর