সোমবার, ১৩ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

লড়তে হবে পেসারদের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

লড়তে হবে পেসারদের

বিশ্বকাপ এবার রান বন্যায় ভাসবে। ব্যাটসম্যানরা রানের ফল্গুধারা ছোটাবেন। সেঞ্চুরি বন্যায় ভাসবে ম্যাচগুলো। চার-ছক্কার বাহারি শটে আবেগতাড়িত হবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। ব্যাটসম্যানদের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে চিড়ে চিপ্টে হবেন বোলাররা! অথচ এক দশক আগেও এমনটি কল্পনা করা যেত না। ইংলিশ কন্ডিশনের ভেজা আবহাওয়ায় তখন পেসারদের সুইংয়ের মুখে ছটফট করতেন ব্যাটসম্যানরা। সময়ের চোরাস্রোতে পাল্টে গেছে ইংলিশ উইকেটের আচরণ। এখন উল্টো চিত্র। ব্যাটসম্যানদের দাপটে অসহায় বোলাররা। আসন্ন বিশ্বকাপে ব্যাটসম্যানদের দাপট থাকবে পুরোপুরি। উইকেটগুলো বানানোও হয়েছে চার-ছক্কার কথা মাথায় রেখে! ব্যাটসম্যানদের মেজাজি ব্যাটিংয়ে নাভিশ্বাস উঠবে বোলারদের! কঠিন এই বিশ্বকাপে সাফল্য পেতে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে মাশরাফি বিন মর্তুজা, রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, আবু জায়েদ রাহীদের। লড়াই করতে হবে শেষ পর্যন্ত। ঘাম ঝরাতে হবে প্রতিটি ম্যাচে।  

শুরু হয়ে গেছে বিশ্বকাপের ক্ষণ গণনা। শেষ সময়ের প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছে দলগুলো। আয়ারল্যান্ডে তিন জাতির টুর্নামেন্ট খেলে প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছেন মাশরাফিরা। ডাবলিনের ব্যাটিং উইকেটগুলোতে সেঞ্চুরি করে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিচ্ছেন ব্যাটসম্যানরা। যেখানে অনায়াসে তিনশ-সাড়ে তিনশ রান উঠছে। সেখানে নাভিশ্বাস উঠছে পেসারদের। এবারের বিশ্বকাপ হবে ব্যাটসম্যানদের-কথাটি জীবন্ত ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের। ভারতীয় ক্রিকেট কিংবদন্তির কথা মাথায় রেখে বলতে হচ্ছে, মাশরাফি, রুবেল, মুস্তাফিজ, সাইফুদ্দিন, রাহীদের ঘাম ছুটবে কোনো সন্দেহ নেই। চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের যে পেস অ্যাটাক, তাতে বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে শুধুমাত্র অধিনায়ক মাশরাফি ও রুবেলের। বাকি তিন পেসার মুস্তাফিজ, সাইফুদ্দিন ও রাহী এবারই প্রথম বিশ্বকাপ খেলছেন। টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি এর আগে ২০০৩, ২০০৭ ও ২০১৫ সালে এবং রুবেল ২০১১ ও ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ খেলেছেন। মাশরাফি তিন বিশ্বকাপে ১৬ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ১৮টি। সেরা বোলিং ২০০৭ সালে ভারতের বিপক্ষে ৩৮ রানে ৪ উইকেট। দুই বিশ্বকাপে ১২ ম্যাচে রুবেলের শিকার ১৩ উইকেট। সেরা ৫৩ রানে ৪ উইকেট, ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে।

বাংলাদেশের বিশ্বকাপের ভরসা পাঁচ ক্রিকেটার মাশরাফি, সাকিব, মুশফিক, তামিম ও মাহমুদুল্লাহ। তবে বোলিংয়ে যে পাঁচ পেসারের উপর নির্ভর, তারা একত্রে ওয়ানডে খেলেছেন ৩৫৩ ওয়ানডে। উইকেট নিয়েছেন ৪৭২টি। ২০৬ ওয়ানডেতে মাশরাফির উইকেট ২৬২, রুবেল ৯৬ ম্যাচে ১২২ উইকেট, মুস্তাফিজ ৪০ ওয়াডেতেতে ৭৯ উইকেট এবং সাইফুদ্দিনের উইকেট ১১ ম্যাচে ৯টি। ৫ টেস্ট ও ৩ টি-২০ খেললেও ওয়ানডেতে অভিষেক হয়নি রাহীর। পরিসংখ্যানের বিচারে টাইগারদের পেস অ্যাটাকের ভরসা ৩৬ বছর বয়স্ক মাশরাফিই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর