শুক্রবার, ২৪ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

স্বপ্নের হাতছানি মাশরাফিদের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

স্বপ্নের হাতছানি মাশরাফিদের

ইংল্যান্ড টু  ইংল্যান্ড। ১৯৯৯-২০১৯। একই দেশ, সময়ের ব্যবধান ২০ বছর। টেমস নদী দিয়ে বহু জল গড়িয়েছে। ২০ বছর আগের বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এখন মহাপরাক্রমশালী। সেদিনকার টাইগারদের স্বপ্ন আজ আকাশছোঁয়া, বিশ্বজয়ের। ৯৯ সালের বিশ্বকাপে বুলবুল, নান্নু, আকরাম, সুজনরা অংশ নিয়েছিলেন শুধুই অংশগ্রহণকারী হিসেবে। দুই দশক পর মাশরাফি, সাকিব, মুশফিক, তামিমরা ক্রিকেট মহাযজ্ঞে অংশ নিচ্ছেন বিশ্বজয়ের স্বপ্ন নিয়ে। টাইগারদের স্বপ্ন এবার আকাশছোঁয়া। স্বপ্ন পূরণের কঠিন পথ পাড়ি দিতে গতকাল ক্রিকেটাররা লিস্টার ছেড়ে আবাস গেড়েছেন প্রিয় কার্ডিফে। বিশ্বকাপের মঞ্চে নামার আগে এখানে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন মাশরাফিরা। ২৬ ও ২৮ মে-এর প্রতিপক্ষ দুই সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান ও ভারত।

১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ প্রথমবার বিশ্বকাপ খেললেও চমকে দিয়েছিল সবাইকে। হারিয়েছিল স্কটল্যান্ড ও পাকিস্তানকে। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স ছিল যাচ্ছেতাই। হেরেছিল কেনিয়া ও কানাডার কাছে। ২০০৭ সালে বিদায় করেছিল সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতকে। সুপার এইটেও হারিয়েছিল ‘চোকার্স’ খ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ২০১১ সালের বিশ্বকাপের আয়োজক হয়েও খেলতে পারেনি কোয়ার্টার ফাইনাল। তবে হারিয়েছিল ইংল্যান্ডকে। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ক্রিকেটের সেরা পারফরম্যান্স। প্রথমবারের মতো খেলে কোয়ার্টার ফাইনাল। এবার স্বপ্ন সেমিফাইনাল। অনেকে আবার ফাইনালের স্বপ্নও দেখছেন। তবে কাজটি বন্ধুর পথ পাড়ি দেওয়ার মতো। ফাইনাল খেলতে সবার আগে মাশরাফিদের জয় করতে হবে অপরিচিত ইংলিশ কন্ডিশনকে, জয় করতে হবে দলের সীমাবদ্ধতাকে। কঠিন কাজ। তারপরও স্বপ্ন দেখছেন টাইগার অধিনায়ক। কূটনৈতিক ভাষায় বলেছেন টাগের্টের কথা, ‘অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক কঠিন এবারের বিশ্বকাপ। ফরম্যাটও আলাদা। একে অপরের বিপক্ষে খেলবে। তাই চাপও বেশি দলগুলোর ওপর। অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে অঘটনও বেশি ঘটবে। আমি বিশ্বাস করি আমাদের সেমিতে খেলার সামর্থ্য রয়েছে। শুধু দায়িত্ব পালন করে খেলতে হবে।’

চার বছর আগে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে চমকে দিয়েছিল ক্রিকেট বিশ্বকে। এবার আরও বড় চমক উপহার দেওয়ার অপেক্ষায় মাশরাফিরা। যদিও কাজটি হিমালয় ডিঙানোর মতোই কঠিন!

 

সর্বশেষ খবর