মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা
বাংলাদেশ বনাম ভারত

একযুগ পরও সেই চারজন

ভারতের বিপক্ষে চার ক্রিকেটারের পারফরম্যান্স

আসিফ ইকবাল

এক যুগ আগে, ২০০৭ সালে পোর্ট অব স্পেনে শচিন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলি, রাহুল দ্রাবিড়, বীরেন্দর শেবাগদের স্তম্ভিত করেছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমরা। চার টাইগার তরুণের আলোকিত পারফরম্যান্সে বিশ্বকাপ থেকে সেবার ছিটকে পড়েছিল ভারত। দুর্ধর্ষ বোলিংয়ে বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইনের ভারতকে ছিন্নভিন্ন করেছিলেন মাশরাফি। জয়ের বন্দরে বাংলাদেশ নোঙর করেছিল সাকিব-তামিম-মুশফিক ট্রয়োর হাফ সেঞ্চুরিতে। ভারতের হারে পশ্চিম বাংলার জনপ্রিয় পত্রিকার আনন্দ বাজার হেডলাইন ছিল, ‘১১ বাঙালির কাছে হেরেছে ভারত।’ দুই দল আজ ফের মুখোমুখি হচ্ছে বিশ্বকাপে। এজবাস্টনের ম্যাচটি দুই দলের সেমিফাইনালে ওঠার লড়াই। বাংলাদেশ জিতলে টিকে থাকবে সেমির স্বপ্ন। বিপরীতে জয় পেলে নিশ্চিত হবে ভারতের সেরা চার। এমন সমীকরণের ম্যাচে টাইগারদের ভরসায় এক যুগ আগের সেই চার ক্রিকেটার মাশরাফি-সাকিব-তামিম-মুশফিক।

চার ভরসার একজন তামিম আবার আজ ক্যারিয়ারের ২০০ নম্বর ওয়ানডে খেলতে নামছেন। ইতিমধ্যে মাশরাফি ২১৩, মুশফিক ২১১ ও সাকিব ২০৪ ওয়ানডে খেলেছেন। 

বাংলাদেশ প্রথম বিশ্বকাপ খেলে ১৯৯৯ সালে। ১৯৭৫ থেকে খেলছে ভারত। ক্রিকেট মহাযজ্ঞে দুই দলের প্রথম লড়াই ২০০৭ সালে। ম্যাচটিতে মাশরাফির অনবদ্য বোলিংয়ে ভারত থমকে গিয়েছিল ১৯১ রানে। গতি, সুইংয়ে ও বাউন্সের অপূর্ব মিশেলে মাশরাফি একাই বিধ্বস্ত করেছিলেন প্রতিবেশী দেশকে। ম্যাচ সেরা মাশরাফির স্পেল ছিল ৯.৩-২-৩৮-৪। ১৯২ রানের টার্গেটে ৫ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ। অবিশ্বাস্য ওই তিন হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম, সাকিব ও মুশফিক। ওপেন করে তামিম ৫১ রান করেছিলেন ৫৩ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায়। ওয়ান ডাউনে মুশফিক ৫৬ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেছিলেন ১০৭ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায়। সাকিবের ৫৬ রানের ইনিংসটি ছিল ৯৪ বলে ৫ চার ও এক ছয়ে।     

এক যুগ আগের ঐতিহাসিক জয়ের ম্যাচের একাদশের চার ক্রিকেটার আজও মাঠে নামছেন। ম্যাচসেরা মাশরাফি এবার দলনেতা। বিশ্বকাপে ৬ ইনিংসে ৪৭৬ রান এবং ১০ উইকেট নিয়ে দুরন্ত ফর্মে সাকিব। অসাধারণ খেলছেন মুশফিকও। এক সেঞ্চুরি ও দুই হাফসেঞ্চুরিতে ৩৫৬ রান ও তামিমের রান ২০৫। চার ক্রিকেটারের পারফরম্যান্সই নির্ভরতা জোগাচ্ছে বাংলাদেশকে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর