বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

টাইগারদের লড়াইটা ব্যাটিংয়ের সঙ্গে বোলিংয়েও

বিশ্বকাপে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে ৫টি করে উইকেট নিয়ে আলো ছড়িয়েছেন ‘কাটার মাস্টার’

ক্রীড়া প্রতিবেদক

মিচেল স্টার্ক, ট্রেন্ট বুল্ট, লকি ফারগুসন, জশপ্রীত বুমরাহদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বোলিং করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে ৫টি করে উইকেট নিয়ে আলো ছড়িয়েছেন ‘কাটার মাস্টার’। ২০ উইকেট নিয়ে ছিলেন তালিকার পাঁচে। দুরন্ত বোলিং করে ১৩ উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনও। তারপরও ক্রিকেট মহাযজ্ঞে টাইগারদের বোলিং মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বোলিং যেমনই হউক না কেন, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, তামিম ইকবালরা দারুণ ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে বিশ্বসেরা সাকিব ছিলেন দুর্দান্ত। বিশ্বকাপের ভালোমন্দ মেশানো পারফরম্যান্সকে সঙ্গী করে টাইগাররা এখন ‘দ্বীপরাষ্ট্র’ শ্রীলঙ্কায়। ২৬, ২৮ ও ৩১ জুলাই তিনটি ওয়ানডে খেলবে। প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কারও কিন্তু আশা জাগানো পারফরম্যান্স ছিল না। তারপরও ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা সবসময়ই দুর্বোধ্য প্রতিপক্ষ। সেই দলের বিপক্ষে সাফল্য পেতে মরিয়া ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক তামিম ইকবাল। নিজ ভূমিতে খেলা বলে ছেড়ে কথা বলবে না দিমুথ কারুণারতেœর শ্রীলঙ্কাও। সাফল্য পেতে তাই তামিম বাহিনীকে শুধু ব্যাটিং নয়, লড়াই করতে হবে বোলিংয়েও। ইনজুরির জন্য খেলছেন না নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সাইফুদ্দিন। ছুটি নিয়ে বিশ্রামে সাকিব। বিয়ের জন্য ছুটিতে লিটন দাস। নিয়মিত একাদশের চার সদস্যকে ছাড়া খর্ব শক্তির টাইগাররা এখন স্বপ্ন দেখছে সিরিজ জয়ের। নখদন্তহীন বোলিং বিভাগকে শক্তিশালী করতে দেশ থেকে উড়িয়ে নিয়েছে শফিউল ইসলামকে। মুস্তাফিজ, শফিউল, রুবেল, তাসকিন আহমেদ ও ফরহাদ রেজাদের নিয়ে গড়া পেস অ্যাটাক কতটা সাফল্য পাবে কারুণারত্নে, ডিকভেলা, লাহিরু থিরিমানে, অ্যাঞ্জেলি ম্যাথিউস, কুশল মেন্ডিস, ধানুস্কা, ধনাঞ্জয়াদের বিপক্ষে।

বাংলাদেশের পাঁচ পেসার একত্রে খেলেছেন ২৭৫ ম্যাচ। যাদের সংগৃহীত উইকেট ৩৫৭। দলের সবচেয়ে সফল বোলার মুস্তাফিজের উইকেট ৫৪ ম্যাচে ১০৩। সবচেয়ে অভিজ্ঞ পেসার রুবেল আরেকটি ম্যাচ খেললেই ১০০ ম্যাচের ক্লাবে নাম লিখবেন। উইকেটও সবচেয়ে বেশি, ১২২। তাসকিনের উইকেট ৩২ ম্যাচে ৪৫, শফিউলের ৫৬ ম্যাচে ৬৩ এবং ফরহাদের উইকেট ৩৪ ম্যাচে ২২টি। এমন একটি পেস অ্যাটাক নিয়ে কতটা সাফল্য পাওয়া যাবে, প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বিপরীতে দ্বীপরাষ্ট্রের সবচেয়ে অভিজ্ঞ পেসার ল্যাসিথ মালিঙ্গা খেলেছেন একাই ২২৫ ম্যাচ। উইকেট টাইগারদের পাঁচ পেসারের প্রায় সমান ৩৩৫টি।

প্রতিপক্ষ দ্বীপরাষ্ট্রের অভিজ্ঞতার তুলনায় অবশ্য বেশ এগিয়ে তামিম বাহিনী। ১৫ সদস্যের স্কোয়াডের ৮ জনই স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান। তারা একত্রে ৮০৮ ওয়ানডে খেলে রান করেছেন ২১৬৮৬। সেঞ্চুরি ২৭টি এবং হাফসেঞ্চুরি ১২৭টি। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক তামিম ২০১ ম্যাচে ৬৮৭১ রান, ওপেনার এনামুল হক বিজয় ৩৭ ম্যাচে ১০৩৮ রান, মোহাম্মদ মিথুন ২১ ম্যাচে ৪৬৭, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ১৮২ ম্যাচে ৩৯৭৬, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৩৩ ম্যাচে ৫২৪, মুশফিক ২১৩ ম্যাচে ৫৯২৫, সাব্বির রহমান ৬৩ ম্যাচে ১২৫৫ ও সৌম্য সরকার ৫২ ম্যাচে ১৬৩৩ রান করেছেন। মাত্র ৭৫ রান করলেই তামিম ও সাকিবের পর তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ৬ হাজারি ক্লাবে নাম লিখবেন মুশফিক। চার হাজারি ক্লাবের সদস্য হতে মাহমুদুল্লাহর দরকার ২৪ রান। স্পিনে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা মেহেদী মিরাজের ৩৫টি। উইকেটও ৩৫টি। তাইজুল মাত্র ৪ ওয়ানডে, মোসাদ্দেক ৩৩টি খেলেছেন।

অভিজ্ঞ ও অনভিজ্ঞ এমন একটি দল নিয়ে শ্রীলঙ্কা জয় করতে ব্যাটিংয়ের সঙ্গে বোলিংয়েও লড়াই করতে হবে টাইগারদের।

সর্বশেষ খবর