শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

অধিনায়ক তামিমের অভিষেক

ক্রীড়া প্রতিবেদক

অধিনায়ক তামিমের অভিষেক

রাজিন সালেহ ডান হাতি ব্যাটসম্যান। তামিম ইকবাল বাঁ হাতি ওপেনার। দুজনেই টেস্ট ও ওয়ানডে খেলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হয়ে। রাজিন ডান হাতি এবং তামিম বাঁ হাতি হলেও দুই ক্রিকেটারের মধ্যে অদ্ভুত একটি মিল লক্ষণীয়। হাবিবুল বাশারের ইনজুরির জন্য ২০০৪ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে হঠাৎ দায়িত্ব পেয়েছিলেন রাজিন। ১৫ বছর পর ২০১৯ সালে তামিমও নেতৃত্ব পেলেন হঠাৎ। অনুশীলনে নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি ইনজুরিতে পড়লে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় তামিমকে। আর প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস করার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে ১৪ নম্বর ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হবে দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালের। বাঁ হাতি ওপেনার অবশ্য এর আগে ২০১৭ সালে ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি টেস্টে অধিনায়ক ছিলেন।

২০০৪ সালে রাজিন দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ওই আসরে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টাইগারদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রাজিন। হেরেছিল দল এবং ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ ছিলেন পুরোপুরি। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে শূন্য ও ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ৭ রান করেছিলেন হঠাৎ দায়িত্ব পাওয়া অধিনায়ক রাজিন। তিনি টেস্ট খেলেছেন ২৪ এবং ওয়ানডে ৪৩টি। তামিম দেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ২০১ ওয়ানডেতে বাঁ হাতি ওপেনারের রান ৬৮৭১। সেঞ্চুরি ১১ এবং হাফসেঞ্চুরি ৪৭টি। ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হলেও বাড়তি চাপ বোধ করছেন না তামিম, ‘আমি সব সময়ই দলের জন্য খেলে থাকি। অধিনায়কত্ব একটি দায়িত্ব। আমি সেটা পালন করতে চেষ্টা করব।’

বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। তিনি নেতৃত্ব দেন ৭ ম্যাচে। দ্বিতীয় অধিনায়ক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু দায়িত্ব পালন করে মাত্র দুই ম্যাচে। এই দুই অধিনায়কের টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা হয়নি। বাকি সবাই টেস্ট খেলেছেন। প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয় নেতৃত্ব দেন ৪ ওয়ানডেতে। সবচেয়ে সফল টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি। ২০১০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিন ধাপে নেতৃত্ব দেন মাশরাফি। দেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়কও তিনি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর