রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

চমকের এখনো বাকি কিংসের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

চমকের এখনো বাকি কিংসের

আলোকসজ্জায় বসুন্ধরা কিংস ক্লাব ভবন

যা কিছু প্রথম সবই বসুন্ধরা কিংস। ফুটবলের মাঠে ও বাইরে প্রমাণ মিলেছে তার। চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমে চ্যাম্পিয়ন, পেশাদার লিগে অভিষেক আসরে শিরোপা জয়। সঙ্গে স্বাধীনতা কাপের ট্রফিও ঘরে তুলে তারা। ফেডারেশন কাপে রানার্সআপ হয়। ঘরোয়া ফুটবলে অভিষেক আসরে এমন বিরল সাফল্য কারও নেই। নতুন হিসেবে খেলতে এসে ফুটবলেও লিখে ফেলে নতুন এক ইতিহাস।

স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭২ সালে অভিষেক আসরে ঢাকা আবাহনী ক্রীড়াচক্র স্মরণকালের সেরা দল গড়ে। সেবার অবশ্য মাঝপথে লিগ স্থগিত হয়ে যায়। ১৯৭৩ সালে নতুনভাবে শুরু হওয়া লিগেও আবাহনী চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। শিরোপা জিতে ১৯৬৫ সালে অভিষেক হওয়া বিজেআইসি (টিমবিজেএমসি)। বসুন্ধরা কিংস অভিষেকেই শিরোপা জিতে দেশের একমাত্র দল হিসেবে ইতিহাস গড়লেও তাদের চমক এখানেই শেষ নয়। এখনো তাদের সাইফ স্পোর্টিং ও চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচ বাকি রয়েছে। ২২ খেলায় সর্বোচ্চ ৫৯ পয়েন্ট সংগ্রহ করায় সামনের দুই খেলায় যদি কিংস পয়েন্ট নষ্ট করে তাদের কোনো যায় আসবে না।

৩ আগস্ট বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচ শেষের পরই আনুষ্ঠানিকভাবে বসুন্ধরা কিংসের হাতে তুলে দেওয়া হবে চ্যাম্পিয়নের ট্রফি। সেদিনই কর্মকর্তা, কোচ, খেলোয়াড় ও সমর্থকদের নিয়ে হবে মূল বিজয়ের উৎসব। ইতিমধ্যে ক্লাব ভবনে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। নতুন হিসেবে আলাদা সমর্থকগোষ্ঠী তৈরি করেছে। নিজ ভেন্যু ও যেখানে কিংসের খেলা হয়েছে পতাকা ও ব্যানার নিয়ে খেলোয়াড়দের উৎসাহ জুুগিয়েছে সমর্থকরা। দর্শক খরায় এ এক বড় প্রাপ্তিই বলা যায়। দেশের ফুটবল উন্নয়নে তৃণমূল পর্যায়ে ক্যাম্প চালানোর পাশাপাশি ঢাকার বাইরেও টুর্নামেন্টের আয়োজন করে। পেশাদার লিগের প্রস্তুতি হিসেবে কিংস আমন্ত্রণ জানিয়ে উড়িয়ে আনে মালদ্বীপ চ্যাম্পিয়ন নিউ রেডিয়্যান্টকে। যা বাংলাদেশের ফুটবলে ব্যতিক্রমী ঘটনা বলা যায়।

এত চমক ও ইতিহাস। তবু থেমে থাকতে চায়না বসুন্ধরা কিংস। ক্লাব ও দেশের ফুটবল উন্নয়নে তারা এরই মধ্যে নতুন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। ২০১০ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দেশ স্পেনে যাওয়ার কথা ছিল কিংসের। কিন্তু দলবদল পিছিয়ে যাওয়ায় এখন সম্ভব হচ্ছে না। কলকাতা ইস্টবেঙ্গলকে আমন্ত্রণ জানানোর কথা ছিল। তাও স্থগিত হয়েছে দুই দেশের শিডিউলের কারণে। তবে ক্লাব সভাপতি ইমরুল হাসান যা বললেন, তা চমকই বলা যায়। শিরোপার উপহার হিসেবে দলের ফুটবলারদের ইউরোপ সফরে নিয়ে যাওয়া হবে। ফুটবলারদের কাছে যা স্বপ্নই বলা যায়। ইমরুল হাসান জানান, লক্ষ্য রয়েছে সুইজারল্যান্ড বা তুরস্কে যাওয়া। তা না হলে অন্য কোথায়ও। অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে যাবে ক্লাবের এএফসি কাপের প্রস্তুতি। এনিয়ে দেশ-বিদেশের দলগুলোর সঙ্গে প্রীতিম্যাচও হতে পারে। বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে অনেক শক্তিশালী ও জনপ্রিয় দল রয়েছে। কিন্তু বসুন্ধরা যা দেখাচ্ছে তা দেশ নয় উপমহাদেশের ফুটবলে নতুন চমক বলা যায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর