বুধবার, ৭ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

ঘরের মাঠেই মাশরাফির বিদায়ী ম্যাচ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ঘরের মাঠেই মাশরাফির বিদায়ী ম্যাচ

বিশ্বকাপেই গুঞ্জন ওঠেছিল, বিদায় নিতে পারেন মাশরাফি! কিন্তু বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচেও নীরব ছিলেন টাইগার অধিনায়ক। অবশেষে বিদায়ের সেই ক্ষণটা বুঝি এসেই গেল। আগামী মাসেই ত্রিদেশীয় সিরিজে মাশরাফিকে বিদায় জানানোর প্রস্তুতি চলছে।

মাশরাফি ২০০১ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত হয়েছিলেন। সেই সিরিজেই ওয়ানডেতেও অভিষেক হয় তার। এরপর থেকে নানান প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে তিনি এগিয়ে গেছেন। ওয়ানডেতে ২৬৬টি উইকেট শিকার করেছেন। অনেক আগেই (২০০৯) টেস্ট খেলা ছেড়েছেন। টি-২০ খেলেছেন সর্বশেষ ২০১৭ সালে। এবার ওয়ানডেকেও বিদায় জানাতে চলেছেন মাশরাফি। আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজেই বিদায় নিবেন তিনি। অবশ্য সিরিজটা এখনো শতভাগ নিশ্চিত নয়। আফগানিস্তান আসলেও জিম্বাবুয়ের আসাটা এখনো সংশয়ে আছে। আইসিসির সাময়িক নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে তারা। বিসিবির সিইও নিজাম উদ্দীন চৌধুরী জানিয়েছেন, জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড নিজেদের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে। সবকিছুই ইতিবাচকভাবে এগুচ্ছে। দুয়েকদিনের মধ্যেই জিম্বাবুয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে পারবে। অবশ্য জিম্বাবুয়ে না আসলে আফগানিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সিরিজটাই হতে পারে মাশরাফির বিদায়ী সিরিজ। সফল এ অধিনায়কের বিদায়টা স্মরণীয় করে রাখতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বিসিবি। মাশরাফির অধিনায়কত্বেই বাংলাদেশ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিল ২০১৫ সালে। এ বছর বিশ্বকাপে মাশরাফির পারফরম্যান্স ভালো ছিল না। তবে তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশের ক্রিকেট এক নতুন যুগে প্রবেশ করেছে।

বিশ্বকাপে দলের পারফরম্যান্স  নিয়ে সিইও বলেন, ‘আপনারা জানেন যে বিশ্বকাপের পর পরই আমাদের সিরিজ ছিল। বোর্ড মিটিং যখন হয় আমাদের টিম শ্রীলঙ্কায় অবস্থান করছিল। আমরা আশা করছি খুব শিগগিরই রিপোর্টটি পেয়ে যাব। পরবর্তী বোর্ড সভায় এই বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।’

সর্বশেষ খবর