শনিবার, ১০ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

সমালোচনা করলেন তারাও

ক্রীড়া ডেস্ক

সমালোচনা করলেন তারাও

বিপিএল মানেই বিতর্ক। বিপিএল মানে নতুন নাটক। প্রথম আসর থেকে বিতর্কের ছায়া আঁকড়ে আছে অর্থের ঝনঝনানির টি-২০ টুর্নামেন্টটিকে। প্রথম থেকে সর্বশেষ ষষ্ঠ আসর পর্যন্ত বিতর্ক কিংবা সমালোচনা কখনই পিছু ছাড়েনি বিপিএলের। প্রতিটি আসরেই আয়োজক বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল কোনো না কোনো দলকে প্রকারান্তরে সহায়তা করেছে। ৬ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে বিপিএলের সপ্তম আসর। তার আগে নতুন করে নিয়মের বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সমালোচনার তীক্ষè ছুরিতে এফোঁড়-ওফোঁড় হচ্ছে টুর্নামেন্টটির সর্বোচ্চ সংস্থা বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। 

বিপিএলের ষষ্ঠ আসর শেষ হয়েছে ফেব্রুয়ারিতে। এরপর পাঁচ মাস পেরিয়েছে। কিন্তু চার আসরের দ্বিতীয় চক্র আয়োজনের বিষয়ে সিরিয়াসলি মাঠে নামেনি গভর্নিং কাউন্সিল। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো যখন দল গুছিয়ে নিতে শুরু করেছে, তখনই নিয়ম নীতিতে পরিবর্তন আনার ঘোষণা দিয়েছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের নতুন করে চুক্তি করার আহ্বান করেছে গভর্নিং কাউন্সিল। শুধু তাই নয়, ২০১৯-২০ মৌসুমের জন্য নতুন ‘আইকন’ ক্রিকেটার ও প্লেয়ার্স ড্রাফটেরও ঘোষণা দিয়েছে। এতেই নতুন করে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্কের। এ নিয়ে গত চার বছরে চারবার নিয়ম পরিবর্তন করেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। বারবার নিয়মের পরিবর্তন করায় গভর্নিং কাউন্সিলের কঠোর সমালোচনা করেছেন রংপুর রাইডার্সের কোচ টম মুডি ও খুলনা টাইটান্সের কোচ মাহেলা জয়াবর্ধনে। দুই বিশ্বসেরা তারকা কোচ বলেছেন, নিয়মের বারবার পরিবর্তন হলে ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিকভাবে টুর্নামেন্ট নিয়ে প্রশ্নের জন্ম দিবে। সৃষ্টি হবে বিতর্কের। চার আসরের প্রথম চক্র শেষ হয়েছে ফেব্রুয়ারিতে। ষষ্ঠ আসর শেষ হওয়ার পাঁচ মাস পেরোলেও দ্বিতীয় চক্র পূরণ করেনি বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। যদিও ১১ মে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের চিঠি দিয়ে নতুন করে গোছানোর বিষয়ে নোটিস দিয়েছিল বিপিএল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় সীমার উল্লেখ ছিল না চিঠিতে। রংপুর রাইডার্স এর মধ্যে চুক্তি করে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে। সাকিব গত মৌসুমে খেলেছেন ঢাকা ডায়নামাইটসে। আসর শুরুর আগে তামিম ইকবাল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ছেড়ে খুলনা টাইটান্সে এবং মুশফিকুর রহিম চিটাগং ভাইকিংস ছেড়ে নাম লেখেন কুমিল্লায়। তখনো টনক নড়েনি গভর্নিং কাউন্সিলের। অথচ সাকিব ঢাকা ছাড়ার পরই নিয়ম পাল্টাতে মাঠে নেমে পড়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।

সাকিবসহ মুশফিক, তামিম, এউয়ান মরগানদের চুক্তিকে অবৈধ ঘোষণা করে। তাতেই জন্ম নেয় বিতর্কের। বারবার নিয়ম পাল্টানোর সমালোচনা করে রংপুরের অস্ট্রেলিয়ান কোচ মুডি বলেন, ‘যদি দেখি বারবার নিয়মের পরিবর্তন হয়, তাহলে ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিকভাবে প্রশ্নের জন্ম হবে। সৃষ্টি হবে বিতর্কের।’ মুডি গত এক যুগ ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের টি-২০ টুর্নামেন্টে কোচিং করাচ্ছেন। ওই অভিজ্ঞতা থেকেই ১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সদস্য মুডি বলেন, ‘গত ১২ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, একটি নির্দিষ্ট নিয়মমালা থাকা খুবই গুরুত্ব। এটা ফ্র্যাঞ্চাইজিদের দল গঠনে যেমন সহায়তা করে। তেমনি সমর্থকদের জন্যও আলাদা গুরুত্ব বহন করে।’ জয়াবর্ধনে খুলনার দায়িত্ব নেন ২০১৭ সালে। তিনিও বারবার নিয়ম পরিবর্তনের সমালোচনা করে বলেন, ‘দীর্ঘ পরিকল্পনা খুবই জরুরি। যদি বারবার নিয়মের পরিবর্তন হয়, তাহলে এটা কোনো টুর্নামেন্ট, বিশেষ করে ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টুর্নামেন্টের জন্য কখনই সহায়ক নয়।’

নতুন করে নিয়মের পরিবর্তন করা হয়েছে ঢাকা ডায়নামাইটসের জন্য- এমনটাই বলছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। যদিও এ বিষয়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ডা. ইসমাইল হায়দার মরিøক কিছুই বলতে রাজি হননি। তবে ঢাকার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার কথা সর্বজনবিদিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর