বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

বিকেএসপির স্বপ্ন দেখেছিলেন শেখ কামাল

প্রখ্যাত ধারা ভাষ্যকার আবদুল হামিদের উপস্থাপনায় চ্যাম্পিয়ন আবাহনীকে নিয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশনে এক অনুষ্ঠান হয়। সেখানে আবাহনীর সাফল্য ও বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের ভবিষ্যৎ নিয়ে শেখ কামাল তার পরিকল্পনার কথা বলেন

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বিকেএসপির স্বপ্ন দেখেছিলেন শেখ কামাল

বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) প্রতিষ্ঠিত হয় আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে। অথচ সত্তরের দশকেই এমন প্রতিষ্ঠান গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন আধুনিক ক্রীড়ার পথ প্রদর্শক বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠপুত্র শহীদ শেখ কামাল। ১৯৭৪ সালে ঢাকা প্রথম বিভাগ ফুটবল লিগে আবাহনী প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়। সে বছরই প্রখ্যাত ধারা ভাষ্যকার আবদুল হামিদের উপস্থাপনায় চ্যাম্পিয়ন আবাহনীকে নিয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশনে এক অনুষ্ঠান হয়। সেখানে আবাহনীর সাফল্য ও বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের ভবিষ্যৎ নিয়ে শেখ কামাল তার পরিকল্পনার কথা বলেন। সেই অনুষ্ঠানে শেখ কামালকে প্রশ্ন করা হয়েছিল দেশের ক্রীড়াঙ্গনে উন্নতির জন্য আপনি কোন বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দেবেন? তিনি বলেন, ক্রীড়া উন্নয়নে বা নতুন নতুন খেলোয়াড় সন্ধানে আপনাকে তৃণমূল পর্যায় থেকে কর্মসূচি নিতে হবে। যেখানে ছেলে-মেয়েরা অনুশীলনের পাশাপাশি লেখা-পড়াও করতে পারবে। শেখ কামাল বলেন, ক্রীড়া ও শিক্ষা এমন প্রতিষ্ঠান গড়া ব্যয় বহুল। তবে খেলাধুলার উন্নয়নে এমন প্রতিষ্ঠান গড়তে হবে। না হলে আমরা নতুন খেলোয়াড় তৈরি করতে পারব না। কামাল নাম ধরেই বলেছিলেন, ঢাকার অদূরে সাভার কিংবা গাজীপুরে অনেক খাস জমি পড়ে আছে। যেখানে সরকার ক্রীড়া-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করতে পারে। অনুষ্ঠানে এক পর্যায়ে উপস্থিত এক সংগঠক বলেন, আবাহনী নতুন ঢাকার দল। পুরাতন ঢাকার সমর্থন না পেলেও আমাদের চলবে। কিন্তু শেখ কামাল তাকে থামিয়ে বলেন, না কথাটা আমি মানতে পারছি না। আবাহনী পুরো দেশেরই দল। এখানে নতুন ও পুরাতন ঢাকার কথা বলাটা বেমানান। শেখ কামাল জীবিত অবস্থায় দেখে যেতে না পারলেও তিনি যে ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বপ্ন দেখেছিলেন তা ঠিকই নির্মাণ হয় তার ছক অনুসরণ করেই। বাংলাদেশের অনেক খেলোয়াড়ের দেখা মিলছে এখনকার বিকেএসপি থেকেই।

শেখ কামাল শুধু খেলোয়াড় নন, কতটা মেধাবী সম্পন্ন সংগঠক ছিলেন তার প্রমাণ মিলে ১৯৭৪ সালে এখনকার গড়া বিকেএসপির মডেলের কথা বলে। নানা প্রতিকূলতায় তার গড়া আবাহনী এখন দেশের শ্রেষ্ঠ ক্লাব। ফুটবল, ক্রিকেট কিংবা হকি বড় তিন খেলাতেই এগিয়ে আবাহনী।

তার স্ত্রী সুলতানা কামাল ছিলেন দেশসেরা অ্যাথলেট। মেঝ ভাই শেখ জামালও ছিলেন খেলাপাগল। ১৯৭৪ সালে বড় ভাই কামালকে চ্যালেঞ্জ করে আজাদ স্পোর্টিং গড়েন তারকা ফুটবলারদের নিয়ে। এসবের অনুপ্রেরণার পেছনে ছিলেন বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কেননা বঙ্গবন্ধু নিজেই ছিলেন মাঠ কাঁপানো ফুটবলার। ঐতিহ্যবাহী ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে ১০ নম্বর জার্সি পরে অনেক ম্যাচে অংশ নেন এবং এক মৌসুমে অধিনায়কও ছিলেন।

সর্বশেষ খবর