সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

সাফল্য-ব্যর্থতায় টাইগার কোচ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সাফল্য-ব্যর্থতায় টাইগার কোচ

কোচ নিয়োগে নাটকের জন্ম দেয়নি বিসিবি। তবে হাই প্রোফাইল কোচ নিয়োগ দিতে চেষ্টার কসুর করেনি। মাইক হেসন থেকে শুরু করে মিকি আর্থার, এন্ডি ফ্লাওয়ার, গ্রান্ট ফ্লাওয়ার, ফিল সিমন্স, চন্ডিকা হাতুরাসিংহদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করার পর শেষ পর্যন্ত আস্থা রেখেছে রাসেল ক্রেইগ ডমিঙ্গোর উপর। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক কোচকে নিয়োগ দিতে বেশ কিছু বিষয় বিবেচনায় নিয়েছিল বিসিবি। সবগুলোতে পাস করে আগামী দুই বছরের জন্য সাকিবদের কোচ হয়েছেন ডমিঙ্গো। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক কোচ স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন স্টিভ রোডসের জায়গায়। সব মিলিয়ে ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর ডমিঙ্গো টাইগারদের ১২ নম্বর কোচ। টেস্ট খেলুড়ে দেশ হওয়ার পর বাংলাদেশের প্রথম কোচ ডমিঙ্গোর স্বদেশি এডি বার্লো। এরপর ডেভ হোয়াটমোর, স্টুয়ার্ট ল, রিচার্ড পাইবাস, জেমি সিডন্সদের মতো তারকা কোচ এসেছেন। বাংলাদেশের প্রথম আলোচিত কোচ পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার মুদাস্সর নজর। ১৯৮৬ এসেছিলেন তিনি। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রথম কোচ অবশ্য পাকিস্তানের ফারুক আহমেদ।

টেস্ট খেলুড়ে দেশের মর্যাদা পাওয়ার আগে বেশ কয়েকজন বিশ্বসেরা ক্রিকেটার কোচিং করিয়েছেন বাংলাদেশকে। মাত্র ১৫ দিনের জন্য এসেছিলেন মুদাস্সর। তার কোচিংয়েই আমূল পাল্টে গিয়েছিল দেশের ক্রিকেটারদের মানসিকতা। এরপর ১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপজয়ী ভারতের অলরাউন্ডার মহিন্দার অমরনাথও কোচিং করিয়েছেন। তার কোচিংয়ে ১৯৯৪ সালে কেনিয়ায় আইসিসি ট্রফি খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ফেবারিট হয়েও বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ তৈরি করতে ব্যর্থ হলে কেনিয়া থেকে ঢাকায় ফিরেননি তিনি। অমরনাথের হাত ধরে সাফল্য না পেলেও বিসিবি হাল ছাড়েনি। ১৯৯৬ সালে দায়িত্ব তুলে দেয় ক্যারিবীয় কিংবদন্তি ক্রিকেটার গর্ডন গ্রিনিজের হাতে। তার কোচিংয়েই ১৯৯৭ সালে কুয়ালালামপুরে আইসিসি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপ চলাকালীন দল ছেড়ে দিতে বাধ্য হন গ্রিনিজ।

২০০০ সালে টেস্ট খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। প্রথম কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ক্রিকেটার এডি বার্লো। কিন্তু খুব বেশিদিন কোচিং করাতে পারেননি অসুস্থতার জন্য। তারপর একে একে দায়িত্ব পালন করেন অস্ট্রেলিয়ার ট্রেভর চ্যাপেল, পাকিস্তানের মহসিন কামাল-আলি জিয়া জুটি, অস্ট্রেলিয়ার ডেভ হোয়াটমোর, অস্ট্রেলিয়ার জেমি সিডন্স, স্টুয়ার্ট ল, শেন জার্গেনসন, দক্ষিণ আফ্রিকার রিচার্ড পাইবাস, শ্রীলঙ্কার চন্ডিকা হাতুরাসিংহে ও ইংল্যান্ডের স্টিভ রোডস।

সব মিলিয়ে এক ডজন কোচের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার ৫, দক্ষিণ আফ্রিকার ৩, ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান থেকে ২ জন করে এবং শ্রীলঙ্কার একজন কোচিং করিয়েছেন। কোনো সন্দেহ নেই শতাংশের হারে সবচেয়ে সফল কোচ হাতুরাসিংহে। লঙ্কান কোচের কোচিংয়ে ২১ টেস্টে বাংলাদেশের জয় ৬, হার ১১ এবং ড্র ৪টি। এরমধ্যে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মতো দলকে। ৫২ ওয়ানডেতে জয় ২৫, হার ২৩ এবং ২৯ টি-২০ ম্যাচে জয় ১০ এবং হার ১৭। আরেক সফল কোচ হোয়াটমোর। ২৭ টেস্টে জয় ১, হার ২২ এবং ড্র ৪টি। ৮৯ ওয়ানডেতে জয় ৩৩ এবং হার ৫৬।     

               

 

সর্বশেষ খবর