বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

আবাহনীর স্বপ্ন পূরণের লড়াই

ক্রীড়া প্রতিবেদক

আবাহনীর স্বপ্ন পূরণের লড়াই

সবে মাত্র লিগ শেষ হয়েছে। কোরবানি ঈদের বিশ্রামের পর আবারও লড়াইয়ে নামছেন ফুটবলাররা। তবে ঘরোয়া নয়, আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে নামছে ঢাকা আবাহনী। আজ সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে তাদের প্রতিপক্ষ হয়ে মাঠে নামবে উত্তর কোরিয়া চ্যাম্পিয়ন এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ। এবার ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে টুর্নামেন্টে আবাহনী বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। আগেও করেছে কিন্তু এবারই প্রথম গ্রুপপর্ব পেরিয়ে পরবর্তী রাউন্ডে উঠেছে। ভারতের শক্তিশালী চেন্নাই এএফসি, মিনার্ভা পাঞ্জাব ও নেপালের মানাংকে টপকিয়ে ইন্টারজোনাল সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। যা শুধু আবাহনী নয়, দেশের ফুটবলে বড় প্রাপ্তিই বলা যায়।

ঘরোয়া ফুটবলে সবচেয়ে সফল দল হলেও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে আবাহনীর সাফল্য নেই বললেই চলে। দেশের বাইরে ভারতে চার্মস কাপ, নাগজি ট্রফি আর কিছু টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হলেও তা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পড়ে না। আবাহনীর সব ব্যর্থতা ছাড়িয়ে যাবে যদি এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভকে হারাতে পারে। আজ জিতলেই চলবে না, উত্তর কোরিয়ায় অ্যাওয়ে ম্যাচে ড্র করতে হবে তাহলেই ফাইনাল রাউন্ডে উঠে যাবে বাংলাদেশের আবাহনী। ফুটবলের দুর্দিনে এএফসি কাপে ফাইনাল রাউন্ড খেলাটা চাট্টিখানি কথা নয়। এমন ম্যাচকে আবাহনীর স্বপ্নই বলা যায়।

বেশ কয়েক বছর ধরে ফুটবলে মোহামেডানের বেহাল দশা হলেও এক সময়ে দেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে দেশের সুনাম কুড়িয়েছে। এশিয়ান ক্লাব পর্যায়ে সর্বোচ্চ টুর্নামেন্ট এশিয়ান ক্লাব কাপ ফুটবলে মোহামেডান তিনবার চূড়ান্ত পর্বে খেলেছে। আজকের যারা আবাহনীর প্রতিপক্ষ সেই এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভকে হারানোর রেকর্ড রয়েছে ঐতিহ্যবাহী দলটির। ১৯৮৮ সালে মালয়েশিয়ায় চূড়ান্ত পর্বে টোয়েন্টি ফাইভ ১-০ আর কাতার চ্যাম্পিয়ন আল সাদের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে মোহামেডান। ১৯৯১ সালেও ঢাকায় এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ ও মোহামেডানের ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র হয়।

৩১ বছর আগে হলেও মোহামেডানের সেই জয় আবাহনীকে বাড়তি অনুপ্রেরণা জোগাতে পারে। তাছাড়া ফুটবলে উত্তর কোরিয়ার শক্তি আগের মতো নয়। এশিয়ার অন্য দেশ এগুলেও উত্তর কোরিয়া পিছিয়ে যাচ্ছে। তবে বাংলাদেশের সঙ্গে আকাশ-পাতাল পার্থক্য রয়েছে। আবাহনীর কোচ মারিও লোমেস বলেছেন, এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ অবশ্যই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। জাতীয় দলের বেশ কজন খেলোয়াড়ও রয়েছে। তবে আমার ভাবনায় থাকবে শুধু জয়। ছেলেরা মাঠেই ছিল। তাই ফিটনেসের ঘাটতি দেখছি না। আমরা চাই ঘরের মাঠে জয় পেয়ে সুবিধাজনক স্থানে থাকতে।

জয়ের জন্য আবাহনী মাঠে নামবে। সমস্যা হচ্ছে দলটি আজ পূর্ণ শক্তি নিয়ে নামতে পারছে না। ডিফেন্ডার তপু বর্মন ইনজুরি হয়ে মাঠে ফিরতে পারেননি। আতিকুর রহমানও পুরোপুরি ফিট নয়। আফগানিস্তানের মাসি সাইঘানিও চলে গেছে। শক্তি বাড়াতে মিসরের ঈসা আলেনদিনের নাম রেজিস্ট্রেশনও করে। কোচ লোমসও তার অনুশীলনে সন্তুষ্ট ছিলেন। কিন্তু এএফসি কাপে মালদ্বীপ টিসি স্পোর্টসের হয়ে খেলার সময় দ্বিতীয় ম্যাচে লাল কার্ড দেখেন। তাই এ মিসরীয়কে মাঠে নামানো যাবে না।

 কোচ লোমেজ অবশ্য এনিয়ে বিচলিত নন। তিনি বলেন, আমার দলে প্রতিটি খেলোয়াড়ই সেরা। আশা করি সমর্থকদের জয় উপহার দেব।

আবাহনীর সম্পর্কে এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভের কোনো ধারণা নেই। আগে এসে পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে অনুশীলনে নেমে পড়েছে।

 

সর্বশেষ খবর