বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

আফগান স্পিনেই ভয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক

আফগান স্পিনেই ভয়

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট কেমন হবে, পেস সহায়ক নাকি স্পিনবান্ধব? এ নিয়ে রয়েছে ধাঁ ধাঁ!

প্রতিপক্ষ দলটির নাম আফগানিস্তান না হলে চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যেত ‘স্পিন উইকেট’! কারণ এর আগে ঘরের মাঠে স্পিন উইকেট তৈরি করেই বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মতো পরাশক্তিকে পরাজিত করেছে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন!

আফগান দল টেস্টে নবীন হলেও তাদের দলে রয়েছে বিশ্বমানের স্পিনার। রশিদ খান, মোহাম্মদ নবির মতো বিশ্বসেরা স্পিনার ছাড়াও রয়েছেন তরুণ তারকা জহির খান। এই চায়নাম্যানকে নিয়েই বেশি দুশ্চিন্তা। কারণ তার কোনো ভিডিও ফুটেজ হাতে নেই।

আগামীকাল আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে একমাত্র টেস্টে মাঠে নামার আগে গতকাল প্রতিপক্ষের স্পিন নিয়ে ভয়ের কথা জানালেন বাংলাদেশের নতুন কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। তিনি বলেন, ‘তারা (আফগানিস্তানের স্পিনার) আমাদের জন্য হুমকি হবে। জানি সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তাদের বোলিং আক্রমণ কতটা ভয়ঙ্কর। তবে এটা কিন্তু ভিন্ন সংস্করণ। তবে আগামী কদিন তারা অবশ্যই হুমকির কারণ হবে।’

তবে মুখে হুমকির কথা বললেও ঠিকই রশিদ-নবিদের বিরুদ্ধে কিভাবে ব্যাট করতে হবে তা নিয়ে শিষ্যদের ভালোভাবেই তালিম দিচ্ছেন ডমিঙ্গো, ‘ওদের কিছু ফুটেজ দেখেছি। আমাদের ছেলেরা ওদের সঙ্গে  খেলেছে। দিন শেষে প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে আপনি খুব  বেশি বুঝতে পারবেন না। এটা একেবারে ভিন্ন সংস্করণের ম্যাচ। আমরা ভালোভাবে তৈরি হয়েছি। ওর বিপক্ষে যারা আমাদের খেলেছে, তারা অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নিচ্ছে। তাকে সামলানোর সামর্থ্য আমাদের আছে।’

আফগানিস্তানের যেমন স্পিন ত্রিফলার বিপরীতে বাংলাদেশও প্রস্তুত করে রেখেছে সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। এর সঙ্গে রয়েছেন নাঈম হাসানও। ঘরের মাঠে টাইগার স্পিনাররা যে কতটা ভয়ঙ্কর তা এর আগে বাংলাদেশে সফরে আসা প্রতিটি দলই হারে হারে টের পেয়েছিল। তাই আফগান ব্যাটসম্যানদের জন্যও কাজ সহজ হবে না।

একদিন আগে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে স্পিন-বিষের নমুনা দেখিয়েছেন আফগানরা। জহির খান মাত্র ২৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ৫ উইকেট। ৩ উইকেট নিয়েছেন রশিদ খানও। তবে প্রস্তুতি ম্যাচ ও মূল ম্যাচ তো এক নয়। দুই ম্যাচের উইকেটও যে এক হবে না তা তো বোঝাই যায়।

হোম ভেন্যুর বাড়তি সুবিধা নিতে স্বাগতিক দল সব সময়ই উইকেট নিয়ে রহস্য রেখে দেয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড উইকেট সম্পর্কে কোনো ধারণা দেয়নি। এমনকি এ সম্পর্কে কথা বলতেও নিষেধ করে দিয়েছেন জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের কিউরেটর জাহিদ রেজা বাবুকে। সেলফোনে যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জাহিদ রেজা বলেন, ‘উইকেট সম্পর্কে আমি কিছুই বলতে পারব না। এ নিয়ে কোনো ধারণা দেওয়াও নিষেধ।’

তবে উইকেট কেমন আচরণ করবে না করবে তা পরের বিষয়। আপাতত শিষ্যদের অনুশীলন নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট ডমিঙ্গো, ‘দুই সপ্তাহ হলো এখানে এসেছি। যা  দেখেছি, তাতে আমি রোমাঞ্চিত। ছেলেরা গত দুই সপ্তাহে অবিশ্বাস্যভাবে কঠিন ট্রেনিং করেছে। আমি খুবই সন্তুষ্ট। ওদের প্রাণশক্তি, মানসিকতা, ওয়ার্ক এথিক দুর্দান্ত। আমি খুবই খুশি।’

তবে অনুশীলন দেখে আবার আত্মতুষ্টিতেও ভুগছেন না। তিনি খুব ভালো করেই জানেন, মূল লড়াইয়ে ভালো করতে না পারলে কোনো লাভ নেই। তাই কোচ পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন ভালো খেলার কোনো বিকল্প নেই। ডমিঙ্গো বলেন, ‘আগেও আমি আন্তর্জাতিক দলের সঙ্গে কাজ করেছি। গত দুই সপ্তাহে যে প্রস্তুতি দেখেছি, আমার দেখা সবচেয়ে ভালো প্রস্তুতিগুলোর মধ্যেই থাকবে তা। এটাই বলে দিচ্ছে আত্মতুষ্টির জায়গা এখানে নেই। আফগানিস্তানে বেশ কয়েকজন ম্যাচ উইনার আছে। আমাদেরকে খুব ভালো খেলতে হবে।’

 

সংশোধনী

গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের মাঠে ময়দানে পাতার ‘ছোট প্রতিপক্ষ বড় চ্যালেঞ্জ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে ছাপা হয়েছে আফগানিস্তান ও স্কটল্যান্ড ২০০৭ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়েছে। এটি আসলে হবে আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড এবং টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার সালটা হবে ২০১৭।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর