শিরোনাম
শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

মুমিনুল তিনেই সফল

ক্রীড়া প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে

রশিদ খানের লেগ স্পিন, গুগলি ও আর্মার, জহির খানের চায়না ম্যান এবং মোহাম্মদ নবীর অফ স্পিনের চোখ রাঙানিতে মোটেই ভীত হননি। বরং পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে চেষ্টা করেছেন কাঁধের ওপর বসে পড়া আফগান স্পিন চাপটাকে ছিটকে ফেলতে। প্রিয় তিন নম্বর পজিশন থেকে হঠাৎ করেই চারে ব্যাট করতে নেমে আফগান চাপে ভেঙে পড়েননি দলের একমাত্র টেস্ট স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক। ব্যর্থ হননি সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, লিটন দাস, সৌম্য সরকার কিংবা সাদমান ইসলামদের মতো। তবে এটাও সত্যি, রশিদ-নবীদের বিপক্ষে লড়াই করে মাথা উঁচু করে মাঠও ছাড়তে পারেননি। দুর্দান্ত কিছু স্ট্রোক খেলে ৩৬ টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৩ হাফসেঞ্চুরি করেছেন মুমিনুল। আরও একটু ধীরস্থির হলে সেটা হয়তো তিন অঙ্কের জাদুকরী ইনিংসেও রূপ নিত। ৫২ রানের ইনিংসটি বাংলাদেশকে বড় স্কোর গড়তে সাহায্য করেনি ঠিকই, তবে একটি বিষয় পরিষ্কার করেছে, ৪ নম্বর পজিশন থেকে তিনেই সাফল্য বেশি মুমিনুলের!

মুমিনুলকে চারে ব্যাটিং করানোর ব্যাখ্যায় টাইগার অধিনায়ক সাকিব বলেন, ‘নবীর অফ স্পিনকে সামলাতেই লিটনকে তিনে ব্যাটিং করানো হয়েছে। সে বেশ ভালোভাবেই সামাল দিয়েছেন নবীকে। সেজন্যই মুমিনুল চারে ব্যাটিং করেছে।’ মুমিনুলের ক্যারিয়ার শুরু ২০১৩ সালে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে অভিষেক ইনিংসেই খেলেন ৫৫ রানের প্রত্যয়ী এক ইনিংস। অভিষেকের পর টানা ১৭ ইনিংসে ৪ নম্বর পজিশনে ব্যাট করেন বাঁহাতি মুমিনুল। চার নম্বর পজিশনে টানা ১৭ ইনিংসে তিন সেঞ্চুরির পাশাপাশি ৫টি হাফসেঞ্চুরি করেন তিনি। সব মিলিয়ে ৩৬ টেস্টের ৬৬ ইনিংসের মধ্যে ১৯টিতে চার নম্বর পজিশনে ব্যাট করেন মুমিনুল। রান করেন ৯৫০। অপরাজিত ৩ বার এবং গড় ৫৯.৩৭৫। সেঞ্চুরি ৩টি এবং হাফসেঞ্চুরি ৬টি। গতকালের ৫২ রানসহ। ক্যারিয়ারে একবার মাত্র ৮ নম্বর পজিশনে ব্যাট করেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওই পজিশনে খেলেছিলেন ২৯ রানের একটি ইনিংস। প্রিয় ৩ নম্বর পজিশনে খেলেছেন ৪৬ ইনিংস। তাতে একবার মাত্র অপরাজিত ছিলেন। রান ১৬৩১। গড় ৩৬.২৪!  সেঞ্চুরি ৫ এবং হাফসেঞ্চুরি ৭টি। তিন নম্বর পজিশনেই তিনি এক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি করেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।

২০১৩ সালে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে ১৭৬ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ১০৫ রান।

ঘরের মাঠে সফল মুমিনুলের জন্য চট্টগ্রাম সব সময়ই পয়মন্ত ভেন্যু। বন্দর নগরী দুই হাত ভরে সাফল্য উপহার দিয়ে যাচ্ছে তরুণ বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে। ৩৬ টেস্ট ক্যারিয়ারের ২২টিই খেলেছেন ঘরের মাঠে। ৩৯ ইনিংসে ৫৬.৮২ গড়ে রান করেছেন ১৯৮৯। সেঞ্চুরি ৮টি এবং হাফসেঞ্চুরি ৭টি। দেশের বাইরে ১৪ টেস্টের ২৭ ইনিংসে রান করেছেন ৬২১। সেঞ্চুরি নেই। হাফসেঞ্চুরি ৬টি। ৮ সেঞ্চুরির ৬টিই আবার পয়মন্ত চট্টগ্রামে। ৪ নম্বর পজিশনে আবার তিনটি- ১৮১ (নিউজিল্যান্ড, চট্টগ্রাম), ১২৬* (নিউজিল্যান্ড, মিরপুর) ও ১০০* (শ্রীলঙ্কা, চট্টগ্রাম)। ৩ নম্বর পজিশনে বাকি ৫ সেঞ্চুরি- ১৭৬ (শ্রীলঙ্কা, চট্টগ্রাম), ১৬১ (জিম্বাবুয়ে, মিরপুর), ১৩১* ( জিম্বাবুয়ে, চট্টগ্রাম), ১২০ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ, চট্টগ্রাম) এবং ১০৫ (শ্রীলঙ্কা, চট্টগ্রাম)। আট সেঞ্চুরির তিনটির প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, ২টি নিউজিল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে এবং একটি ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর