শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

চেনা প্রতিপক্ষ তবু অচেনা

ডেডলাইন ১৫ অক্টোবর

ক্রীড়া প্রতিবেদক

চেনা প্রতিপক্ষ তবু অচেনা

দুই বছর পর পর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ হয়ে থাকে। ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার জাতীয় দলগুলোই এ টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের কাছে ভারত চেনা প্রতিপক্ষ হওয়ার কথা। তাছাড়া সাউথ এশিয়ান গেমসেও দুই দল বেশ কবার মুখোমুখি হয়েছে। এত চেনা তবু বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে লড়াইয়ে ভারত অচেনা হয়েই মাঠে নামবে বাংলাদেশের বিপক্ষে। ১৫ অক্টোবর কলকাতা সল্টলেক স্টেডিয়ামে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে। প্রশ্ন উঠতে পারে একাধিকবার মুখোমুখি হওয়ার পরও ভারত কেন অচেনা প্রতিপক্ষ? ১৫ অক্টোবর দুই দলের ম্যাচ। এনিয়ে এখনই উত্তেজনা বিরাজ করছে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে।

২০০৩ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ও ১৯৯৯ সাফ গেমসের পর ভারত মূলত এসব টুর্নামেন্টে জাতীয় দল নামায়নি। ৪/৫ জন থাকলেও প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে তরুণদের। এস এ গেমসে এখন অনূর্ধ্ব ২৩ দল অংশগ্রহণ করে। সেক্ষেত্রে কারও জাতীয় দল পাঠানোর প্রশ্ন উঠে না। আর কয়েক বছর ধরে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারত অংশ নিলেও দল গড়া হয় তরুণদের দিয়ে। কারণ তারা পরীক্ষা করে দেখছে কারা জাতীয় দলে খেলার জন্য যোগ্য। বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলোর জাতীয় দলই অংশ নিচ্ছে।

সমস্যাটাতো এখানে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ভারতের জাতীয় দলের সঙ্গে খেলার সুযোগ পাচ্ছে না। তাই তাদের কৌশল ও পারফরম্যান্স সবই অজানা। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বেই ভারতের মূল জাতীয় দলের বিপক্ষে লড়বে। তাও আবার তাদের ঘরের মাঠে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ছাড়া ভারতেরও কোনো বড় আসরে শিরোপা জেতার কৃতিত্ব নেই। তবু নিঃসন্দেহে বলা যায় ভারতের ফুটবলে অনেক পরিবর্তন এসেছে। ২০৩০ সালে বিশ্বকাপ খেলার লক্ষ্য নিয়ে বয়স ভাগ করে ফুটবলারদের তৈরি করছে। সেখানে ফুটবল নিয়ে তো কোনো লক্ষ্যই নেই বাংলাদেশের।

১৯৮৫ সালের পর বিশ্বকাপে বাছাইপর্বে দুই দেশ লড়ছে। বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে হারলেও ভারত প্রথম ম্যাচে ওমানের কাছে  হেরে দ্বিতীয় ম্যাচে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন কাতারের সঙ্গে ড্র করেছে। এতেই বোঝা যায় তাদের শক্তি। এখনকার ভারতীয় জাতীয় দল জামাল ভুঁইয়াদের কাছে একেবারে অচেনা। সল্টলেকে কি করবে সেটাই বড় প্রশ্ন। জয় নয় কলকাতায় ম্যাচটি যদি ড্র করে তাও হবে বাংলাদেশের বড় প্রাপ্তি।

সর্বশেষ খবর