বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
ক্লাবপাড়ায় ক্যাসিনো

ক্ষুব্ধ সাবেক তারকারা

ক্ষুব্ধ সাবেক তারকারা

দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবগুলোর একটাই লক্ষ্য ছিল সাফল্য। ক্লাবগুলোর সুনাম ছিল আকাশছোঁয়ার মতো। এখন নানা অনৈতিক কাজে জড়িয়ে ধ্বংসের মুখে। মোহামেডান, ওয়ান্ডারার্স বা ভিক্টোরিয়ার নামটি ছিল সবার মুখে মুখে। ফুটবল, ক্রিকেট, হকি বা অন্যান্য খেলায় তারা কত যে শিরোপা জিতেছে তার হিসাব মেলানো মুশকিল। কিন্তু অধিকাংশ ক্লাবেই এখন খেলার চেয়ে মনোযোগী অবৈধ ক্যাসিনো বা জুয়ার দিকে। অবৈধ সেই ক্যাসিনো খুলে ক্লাব পাড়াকে করা হয়েছে কলুষিত। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ সাবেক তারকা ফুটবলাররা তদন্ত করে দোষী কর্মকর্তাদের শাস্তি দাবি করেছেন।

সফল ক্লাবগুলো ধ্বংসের মুখে

জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নু বলেছেন, আমাদের সাফল্যময় ক্লাবগুলো আজ ধ্বংসের মুখোমুখি। মোহামেডান, ভিক্টোরিয়া ও ওয়ান্ডারার্স ক্লাব ছিল আমাদের অহঙ্কার। এটা ঠিক ক্লাবের সময় খারাপ যেতেই পারে। তাই বলে ঘৃণিত কাজের সঙ্গে কর্মকর্তারা জড়িয়ে যাবেন তা ভাবতেই পারছি না। পত্রপত্রিকায় দেখছি ক্যাসিনো থেকে প্রতি রাতে কোটি কোটি টাকা আয় হয়। এতে তো ক্লাবের ফান্ড মজবুত হওয়ার কথা। ক্লাবগুলোর এত টাকা যায় কোথায়?

ক্রীড়াঙ্গনের গৌরব ধুলোয় মলিন

নন্দিত ফুটবলার শেখ মো. আসলাম বলেন, ক্রীড়াঙ্গনের গৌরব আজ ধুলোই ধুসরিত। প্রথম যেদিন শুনলাম ও টিভিতে দেখলাম অবাক হয়ে গেলাম। যেসব ক্লাব সুনাম কুড়িয়ে ক্রীড়াঙ্গনে গৌরবময় জায়গা করে নিয়েছিল তাদের এত অধঃপতন। আমি অন্য ক্লাবের কথা বলব না। মোহামেডানের নামটি বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয়।

তারা তো শিরোপা ছাড়া কিছুই বুঝত না। ভেবেছিলাম ফান্ডের কারণে ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। এখন দেখছি ক্যাসিনোর মত অবৈধ কাজে জরিয়ে ধ্বংসের মুখে ক্লাবটি।

গডফাদারদের বিচার চাই

সাবেক তারকা ফুটবলার আবদুল গাফফার বলেন, ‘আমি মোহামেডান ও আবাহনী দুই দলেই খেলেছি। কিন্তু আমি ভাগ্যবান, যে ক্লাবের অধিনায়ক বঙ্গবন্ধু ছিলেন সেই ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের জার্সি পরে আমি মাঠে নেমেছি। এখন নাকি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকরাই ক্লাবের দায়িত্বে আছেন। তারা থাকা অবস্থায় ওয়ান্ডারার্সে ঘৃণিত কাজ হয় কীভাবে?

পত্রিকায় দেখলাম মতিঝিল ক্লাবপাড়ায় গডফাদারের তালিকায় একটি ক্লাবের  সদস্য সচিবের নাম। আমি এসব গডফাদারদের আইনসঙ্গত বিচার দাবি করছি।

ক্যাসিনোতে কর্মকর্তারাও জড়িত                   

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ছাইদ হাসান কানন বলেন, ‘পত্রিকায় দেখলাম এবং পড়লাম কর্মকর্তারা বলছেন, রাজনৈতিক  চাপে পড়ে ক্লাবগুলো ক্যাসিনো খুলতে বাধ্য হয়েছে। আমি কখনো তা বিশ্বাস করব না। এমন ঘটনা ঘটলে তারা পুলিশের সহযোগিতা চাইল না কেন? কর্মকর্তারা অবশ্যই এসব অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত। তাদের অনুমতি বা সহযোগিতা ছাড়া কোনোভাবেই ক্যাসিনো সম্ভব নয়। কোটি কোটি ঢাকা আয় হয়। এত টাকা যায় কোথায়? কর্মকর্তারা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যাচ্ছেন।

সর্বশেষ খবর