বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা
প্রীতি ম্যাচ

বড় পরীক্ষার আগে শেষ প্রস্তুতি

আমাদের পরিকল্পনা আগের মতোই। আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে চাই। লক্ষ্য থাকবে জয়। পর পর দুই ম্যাচে জিতেই নামতে চাই কাতারের বিপক্ষে -কোচ জেমি ডে

রাশেদুর রহমান

বড় পরীক্ষার আগে শেষ প্রস্তুতি

ভুটানের বিপক্ষে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে ৪-১ গোলের দারুণ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। জীবন, রবিওল আর বিপলুর গোলে উচ্ছসিত বাংলাদেশের ফুটবল। আজ আবার সেই ভুটানের বিপক্ষেই খেলতে নামছে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।

লক্ষ্য, বড় জয়ে আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে নেওয়া। দিন কয়েক পরই আগামী বিশ্বকাপের আয়োজক কাতার এবং দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবলের সেরা শক্তি ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। এর আগে আত্মবিশ্বাস প্রয়োজন বটে। পাশাপাশি নিজেদের ভুলগুলোও শুধরে নেওয়া প্রয়োজন। বড় দুই পরীক্ষার আগে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে আজ বাংলাদেশ।

কোচ জেমি ডে বলছেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা আগের মতোই। আমরা আক্রমণাত্মক ফুটবল  খেলতে চাই। আমাদের লক্ষ্য থাকবে জয়। পর পর দুটি জয় নিয়ে আমরা নামতে চাই কাতারের বিপক্ষে।’ তবে ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচের পরিকল্পনা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে কাতারের বিপক্ষে ম্যাচে খুব একটা কাজে আসবে না। কারণ, কাতারের মতো দল ঢাকার মাঠ থেকে পূর্ণ পয়েন্ট নিয়েই দেশে ফিরতে চাইবে। বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে ড্রয়ের পর তো বটেই। এটা কোচ জেমি ডে ভালো করেই জানেন। তিনি বলেন, ‘ভুটানের বিরুদ্ধে দুই ম্যাচে যে পরিকল্পনা আমাদের সেটা কাতারের বিরুদ্ধে থাকবে না। কাতারের বিরুদ্ধে ম্যাচটি কঠিনই হবে। ওই ম্যাচে আমাদের থাকবে ভিন্ন পরিকল্পনা। কাতারের বিপক্ষে আমরা হয়তো তেমন সুযোগ পাব না। যা পাব তা কাজে লাগাতে হবে।’

ভুটানের কোচ পেমা প্রথম ম্যাচ হেরে বেশ দুঃখ পেয়েছেন। বিশেষ করে এতগুলো গোল হজম করায়। শেষ ম্যাচটায় জয় ছাড়া কিছু ভাবছেন না তিনি।

পেমা বলেন, ‘এই ম্যাচটা আমাদের জন্য মান রক্ষার। অবশ্যই ম্যাচটি জিততে চাই।’ ভুটান কোচের এই হুঙ্কারে জামাল ভূঁইয়ারা কতোটা সতর্ক হবেন তা ম্যাচেই হয়ত দেখা যাবে। কিন্তু ভুটানের সঙ্গে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ কাতার ও ভারতের মতো শক্তিধর দুই প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলার সময় কতোটা প্রেরণা জোগাবে! প্রশ্ন হচ্ছে, ভুটানের মতো দলের বিপক্ষে খেলে দুই বড় প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হওয়ার আগে নিজেদেরকে শোধরানোর সুযোগ আছে কতোটা!

অবশ্য ভুটান ম্যাচ বেশ কিছু আশার বাণী শোনাচ্ছে। বাংলাদেশ গোলের সুযোগ তৈরি করছে। সেই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে। গোল খরা কাটছে স্ট্রাইকারদের। এই আত্মœবিশ্বাস নিঃসন্দেহে কিছু বাড়তি সুযোগ দিবে দুই বড় প্রতিপক্ষের সঙ্গে ম্যাচে।

তাছাড়া বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায় সাম্প্রতিক কাতারকে হারানোর সুখস্মৃতিও তো আছে আমাদের। এখন দেখার বিষয়, নিজেদের মাঠে এই আত্মবিশ্বাস কতোটা কাজে লাগে জামাল ভূঁইয়াদের।

সর্বশেষ খবর