রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

কৌশল নিয়েই ভাবনা

কাতারের বিপক্ষে ম্যাচ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

কৌশল নিয়েই ভাবনা

ক্রিকেট ঘিরে আপাতত কোনো উন্মাদনা নেই। আগামী মাসে টাইগাররা খেলতে যাবে ভারতে। চোখ এখন ফুটবলের দিকে। সামনে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বড় দুটো ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ১০ অক্টোবর ঢাকায় কাতার আর ১৫ অক্টোবর কলকাতায় লড়বে ভারতের বিপক্ষে। গ্রুপপর্বে জামাল ভূঁইয়ারা অ্যাওয়ে ম্যাচে ১-০ গোলে হেরে যায় আফগানিস্তানের কাছে। ঘরের মাঠে কাতারকে রুখে দিতে পারবে কি? প্রশ্ন উঠতে পারে এশিয়ান গেমসে যদি কাতারকে হারানো যায়, তাহলে ঢাকায় কেন সম্ভব নয়? আসলে দুই কাতারের মধ্যে পার্থক্য অনেক। এই কাতার এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন। গ্রুপে টপ ফেবারিট দল। তাই পারফরমেন্স বিচারে বাংলাদেশ সম্ভাবনা ক্ষীণই বলা যায়। তাছাড়া যে আফগানিস্তানের কাছে বাংলাদেশ হেরেছে তাদেরই কিনা কাতার ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে।

বাংলাদেশও তাহলে কি গোল বন্যায় ভাসবে? জয় নয়, এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে জামালরা যদি ড্র করে তাও হবে বড় প্রাপ্তি। কোচ জেমি ডে চেয়েছিলেন কাতারের বিপক্ষে নামার আগে শিষ্যদের আত্মবিশ্বাসটা বাড়ানো। সেদিক দিয়ে তিনি স্বার্থক বলা যায়। কেননা ভুটানের বিপক্ষে টানা দুই প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে। ৪-১, পরের ম্যাচে ব্যবধান ২-০। বাংলাদেশের ফুটবলে যে দুর্দিন এখন টানা দুই ম্যাচে জেতাটা বড় সংবাদ। তবে ভুটানের মতো দলের বিপক্ষে জিতে জামালরা আর কতটা আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাতারের বিপক্ষে লড়বে। সত্যি বলতে কি এক সময়ে ভুটানকে হারানোটা মামুলি হলেও এখন দিন ভিন্ন। অবিশ্বাস্য হলেও ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে তারাই ওপরে। তাছাড়া ২০১৬ সালে থিম্পুতে জাতীয় দল ভুটানের কাছে ১-৩ গোলে হারে।

ড্র বা হারলে বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসটা নষ্ট হয়ে যেত। আবার এটাও ঠিক ভুটান আর কাতারতো এক নয়। শক্তির দিক দিয়ে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। ভুটানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে আক্রমণাত্মক খেলে ৪-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছে। নাবীব নেওয়াজ জীবন ২, বিপলু ও রবিউল একটি করে গোল করেন। দ্বিতীয় ম্যাচে ডিফেন্ডার ইয়াসিনের জোড়া গোলে জয় পেলেও আক্রমণভাগ সচল ছিল। বেশকটি সুযোগ হাত ছাড়া করেছে। সত্যি বলতে কি কাতারের বিপক্ষে গোল করার চেয়ে সামাল দেওয়ার চেষ্টাটাই বেশি করতে হবে। ডিফেন্ডাররা কতটা এখানে সফল হবেন সেটাই বড় প্রশ্ন।

সেন্টারব্যাক টুটুল বাদশাহ ইনজুরিতে। খেলতে পারবেন কিনা সংশয় রয়েছে। রায়হান, রাফি, ইয়াসিন ও রহমতকে প্রতিপক্ষের আক্রমণ ঠেকাতে হবে। কোচ জেমি ডে নিজেই বলেছেন, রক্ষণভাগ নিয়েই তার চিন্তাটা বেশি। অথচ কাতারকে সামাল দিতে রক্ষণভাগকেই মনোযোগী হতে হবে। অতিমাত্রা অ্যাটাকিং খেলতে গেলে কাউন্টার অ্যাটাকে গোল খাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সত্যি বলতে কি ম্যাচের ফরমেশনটা কি হবে জিমি তা ঠিক করতে পারেনি। এখন চিন্তা করেই কৌশল সাজাতে হবে তাকে। কোচ ভালোমতোই জানেন ভুটানের সঙ্গে কাতারের তুলনা চলে না।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর