বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ঢাকায় কাতার, প্রস্তুত বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ঢাকায় কাতার, প্রস্তুত বাংলাদেশ

ফুটবলে জনপ্রিয়তা আগের মতো নেই। পেশাদার লিগে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও দর্শকের দেখা মিলছে না সেভাবে। তবে আন্তর্জাতিক লড়াইয়ে চাহিদা আবার অন্যরকম। ভুটানের বিপক্ষে দুই ম্যাচে গ্যালারি না ভরলেও দর্শকের দেখা মিলছে। বাংলাদেশের জয়ে সমর্থকরা ক্রিকেটের মতোই লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়ে উল্লাস করেছে। সামনে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন কাতার এখন ঢাকায়। আগামীকাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হবে তারা। কাতার এই মুহূর্তে বিশ্বে আলোচিত একটি দল। ২০২২ সালে তারা বিশ্বকাপ ফুটবলে আয়োজক। এশিয়াতে আগে বিশ্বকাপ হলেও কাতারই প্রথম এককভাবে দুনিয়া কাঁপানো আয়োজন করতে যাচ্ছে। ২০০২ সালে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান যৌথভাবে বিশ্বকাপের আয়োজন করেছিল।

কাতার এ মুহূর্তে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন। সেই দল যখন বাংলাদেশের বিপক্ষে লড়বে তখন ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহই থাকবে অন্যরকম। তাছাড়া অনেকদিন পর বাংলাদেশে কোনো শক্তিশালী দল খেলতে আসছে। কি হবে ম্যাচে এ নিয়ে কারও তেমন ভাবনা নেই। কেননা শক্তির বিচারে কাতার এতটাই এগিয়ে যে বাংলাদেশের হারের সম্ভাবনা বেশি। কোচ জেমি ডে অকপটে স্বীকার করেছে কাতারের শক্তির কথা। আবারও এটাও বলেছেন, আমরাও ছেড়ে কথা বলব না। মাঠে কেউ তো আর ছাড় দিতে চায় না। জিততেই লড়ে। প্রশ্ন হচ্ছে জেমি কি তাহলে জয়ের আশা করছেন, নাকি ড্র? এ প্রসঙ্গে জেমি আবার এশিয়ান গেমসের প্রসঙ্গ টেনেছেন। কাতারকে হারিয়েই বাংলাদেশ তো প্রথমবারের মতো নকআউট পর্বে খেলেছে। সুতরাং পারব না তা মানতে আমি নারাজ।

জেমির মতে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন বলেই কাতারকে সমীহ করতেই হবে। কিন্তু তারা তো আর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দল নয়। সুতরাং সবাই সেরাটা দিতে পারলে অবশ্যই কাতারকে রুখে দেওয়া সম্ভব। বাংলাদেশের এখন যে আক্রমণভাগ তা যেকোনো দলের জন্য ভয়ের কারণ হতে পারে। সুযোগ যদি আসে আর তা যদি কাজে লাগানো যায় তাহলে ভাবনার বাইরেও কিছু ঘটে যেতে পারে। পরিষ্কার করে না কিছু বললেও জেমির কথায় আভাস পাওয়া যায়, তিনি কাতারকে হারানোর সামর্থ্য রাখেন।

সাফ গেমসে সোনা জয় ও সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপাটা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের বড় প্রাপ্তি। কিন্তু কাতারকে হারাতে পারলে তা হবে বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে সেরা জয়। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নকে হারানোটা তো চাট্টিখানি কথা নয়। পারবে কি বিপলু, জীবন, জামাল, রবিউলরা সেই ইতিহাস গড়তে। ফুটবলে হতাশায় অন্ধকারে ঢাকা বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম কি ইতিহাসের সাক্ষী হতে পারবে?

কোনো সংশয় নেই কোচ জেমি তার শিষ্যদের নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। এর মধ্যে আবার কিন্তুর গন্ধ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, কোচ কি কাতারের বিপক্ষে স্বাধীনভাবে সেরা একাদশ নির্ধারণ করবেন? নাকি অন্য কেউ হস্তক্ষেপ করবেন? এশিয়ান চ্যাম্পিয়নের বিপক্ষে খেলা বলে স্বজনপ্রীতির আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

গুঞ্জন উঠেছে একটি মহল চাচ্ছে সেরা একাদশে গোলরক্ষক শহিদুল ইসলামকে রাখতে। যেখানে আশরাফুল ইসলাম রানা ও আনিসুর রহমান জিকোর মতো পরীক্ষিত গোলরক্ষক রয়েছেন, সেখানে সোহেলের নাম আসবে কেন? মানলাম ভুটানের বিপক্ষে দুটি দুর্দান্ত সেভ করেছেন। এতেই কি তার ওপর আস্থা রাখা যায়। এ কথা ফুটবলপ্রেমীরা ভুলে যাননি সোহেলের ব্যর্থতায় গত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ ঘরের মাঠে সেমিতে খেলতে পারেনি। রানা এখন দেশসেরা গোলরক্ষক। এরপরও যদি সোহেলকে মাঠে দেখা যায় ধরে নিতে হবে এখানে কোনো প্রভাব কাজ করেছে।

সর্বশেষ খবর