রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

প্রতিশোধের মিশন জামালদের

সল্টলেকে ম্যাচ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রতিশোধের মিশন জামালদের

ক্রিকেটে বাংলাদেশ ও ভারতের লড়াই মানে উত্তেজনা ও উন্মাদনা। কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কারও বলেছেন, বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারত চাপে থাকে। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকেই দুই দলের লড়াইয়ে উত্তেজনা বেড়ে গেছে। এক সময়ে ফুটবলে বাংলাদেশ-ভারতের উত্তেজনা ছিল অন্যরকম। কিন্তু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে লাল-সবুজের লাগাতার ব্যর্থতায় সেই উত্তেজনা অনেকটা ম্লান হয়ে গেছে। অনেক দিন পর দুই দেশের ফুটবলপ্রেমীরা আবার উত্তেজনায় কাঁপছে। পরিসংখ্যানে ভারতের পাল্লাভারী। তবু সামনের লড়াইয়ে কে জিতে বলা মুশকিল। ১৫ অক্টোবর কলকাতার বিখ্যাত যুব ভারতীয় সল্টলেকে দুই দল লড়বে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে জামাল ভূঁইয়ারা। বাংলাদেশ দল কলকাতায় পৌঁছে ওয়ার্মআপেও নেমে গেছে।

১৯৮৫ সালে দুনিয়া কাঁপানো বিশ্বকাপে সুযোগ পেতে বাছাইপর্বে দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল। হোম ও অ্যাওয়ে দুই ম্যাচেই ভারত বাংলাদেশকে পরাজিত করে। ঢাকায় ২-১, কলকাতায় ব্যবধানও ২-১। ঢাকায় আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নু ও সল্টলেকে গোল করেন আশীষ ভদ্র। তিন যুগ পর সল্টলেকে বাছাইপর্বে লড়বে। কাছের ভেন্যু হলেও সল্টলেকে বাংলাদেশ খুব একটা খেলার সুযোগ পায়নি। ১৯৮৭ সালে সাফ গেমেসের পর আবারও খেলবে বাংলাদেশ। বিশ্ব মঞ্চে ভারতের বড় কোনো সাফল্য না থাকলেও বরাবরই তারা বাংলাদেশের বিপক্ষে ফেবারিট। উইকিপিডিয়ার খতিয়ানে দেখা দুই দলের ২৪টি লড়াইয়ে ভারতের জয় ১০ ও বাংলাদেশের তিনটি। ১১ বার ড্রতে ম্যাচ নিষ্পত্তি হয়। এবারও সল্টলেকে ম্যাচে ভারত ফেবারিটি। কিন্তু হিসেব পাল্টে গেছে ঢাকায় কাতারের বিপক্ষে জামালদের ম্যাচের পর। ভারত ড্র করে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের রুখে দিয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ২-০ গোলে হেরেছে। ম্যাচ হারলেও বাংলাদেশ মন জয় করে নিয়েছে দর্শকদের। সাম্প্রতিক তো বটেই গত ২০ বছরে ফুটবলে মনোমুগ্ধকর নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছে। কেউ কেউ আবার বলেন, জাতীয় দলের ইতিহাসে বাংলাদেশের এটিই ছিল সেরাম্যাচ। বাংলাদেশকে প্রতিপক্ষ হিসেবে গোনায় ধরছিল না ভারত। সাবেক অধিনায়ক বাইচুংভুটিয়া বলেছেন জয়তো বটেই আমার বিশ্বাস গোলের বন্যায় ভেসে যাবে বাংলাদেশ। দলের ক্রোয়েশিয়ান কোচ ইগরস্টিমাচও কাতারের সঙ্গে ড্রর পর ভেবেছিলেন বাংলাদেশকে হারানোটা সময় ব্যাপার। এখন তিনিও সুর পাল্টাতে শুরু করেছেন। স্বাগতিকদের ভিতর ভয় কাজ করেছে। তিন যুগ আগে চুন্নুদের হারের প্রতিশোধ না নিয়ে নেয় বাংলাদেশ।

ইগর শিষ্যদের সতর্ক করে দিচ্ছেন। তিনিও এখন চিন্তিত। তা না হলে বাংলাদেশ-কাতার ম্যাচের ভিডিও ফুটেজ বাফুফের কাছে চাইবে কেন? যে কৌশলের চিন্তা করেছিলেন তা পাল্টাতে বাধ্য হচ্ছেন ক্রোয়েশিয়ান কোচ। কলকাতার পত্র-পত্রিকাতেই লেখা হচ্ছে বাংলাদেশ ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছে ভারতীয় শিবিরে। ঘরের মাঠে এখন তারা হারের শঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছে না। বাংলাদেশের ভয়টা ছিল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে একাধিক বার লড়লেও ভারতের মূল জাতীয় দলের বিপক্ষে অনেকদিন খেলা হয়নি।

এবার বাছাইপর্বে স্বাগতিকরা জাতীয় দল নিয়েই মাঠে নামবে। এ নিয়ে কোচ জেমি ডেও ছিলেন আতঙ্কিত। এখন কিছুটা হলেও চাপমুক্ত। কাতারের বিপক্ষে অসাধারণ খেলেছে যা ছিল জেমির ধারণার বাইরে। এতে করে আত্মবিশ্বাস নিয়ে লড়তে পারবে জামালরা। জেমি শিষ্যদের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট।

সর্বশেষ খবর