রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

সেমিতে খেলা হলো না কিংসের

রাশেদুর রহমান, চট্টগ্রাম থেকে

সেমিতে খেলা হলো না কিংসের

আগের ম্যাচে লাল কার্ড দেখে এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা পাওয়া বসুন্ধরা কিংসের স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজোন গ্যালারিতে বসে একজন সাধারণ দর্শক হিসেবে খেলা দেখছিলেন। শিষ্যরা ভুল করলেই ছটফট করে ওঠেন তিনি। ভুল পাস হলে আহাজারি করতে থাকেন। গোল মিস করলেই মাথায় হাত দেন। মাঝে-মধ্যেই দাঁড়িয়ে পড়ছিলেন। অস্কার ব্রুজোনের এই অস্থির অবস্থা ম্যাচের ২৭ মিনিটে কাটিয়ে দিয়েছিলেন কোস্টারিকার তারকা ফুটবলার ড্যানিয়েল কলিনড্রেস। কিন্তু প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে পর পর দুই পেনাল্টিতে গোল হজম করে বসুন্ধরা কিংস। কেবল অস্কার ব্রুজোনই নন, গ্যালারিতে থাকা হাজার হাজার বসুন্ধরা কিংস সমর্থকও নিষ্প্রভ হয়ে যান। আর বুঝি হলো না! শেষ পর্যন্ত আর সত্যিই পারেনি কিংস। ৪-২ গোলে হেরে গেছে মালয়েশিয়ান ক্লাব তেরেনগানুর কাছে। নিজেদের প্রথম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট থেকে কেবল অভিজ্ঞতা নিয়েই বাড়ি ফিরতে হলো পেশাদার লিগের চ্যাম্পিয়নদের।

শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপে গ্রুপ পর্ব পাড়ি দিতে জিততেই হতো কিংসকে। আগের দুই ম্যাচের ভুলভ্রান্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে গোছানো এক কম্বিনেশন দাঁড় করিয়েছিল পেশাদার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচ শুরু হতেই একের পর এক আক্রমণে মালয়েশিয়ান ক্লাব তেরেনগানুর ডিফেন্স লাইনে অসংখ্য ফাটল তৈরি করে অস্কার ব্রুজোনের শিষ্যরা। ২৭ মিনিটে ডি বক্সের ডান পাশ থেকে বিশ্বনাথ বল বাতাসে ভাসিয়ে দেন। অনেকটা লাফিয়ে দারুণ এক হেডে লক্ষ্যভেদ করেন ড্যানিয়েল কলিনড্রেস। এগিয়ে যায় কিংস। আনন্দটা বেশিক্ষণ থাকেনি। ৪৩ মিনিটে ডি বক্সের ভিতরে ইয়াসিন তেরেনগানুর মোহাম্মদ শফিকের কাছ থেকে বল দখল করতে গেলে পড়ে যান শফিক। এতে পেনাল্টির বাঁশি বাজান নেপালি রেফারি সুদিশ কুমার। ইয়াসিন অবশ্য পেনাল্টি হয়নি বলে দাবি করছিলেন। তেরেনগানুর ইংলিশ ফুটবলার লি টাকের নেওয়া পেনাল্টি শটের গতিপথ বুঝতেই পারেননি জিকো। এর পরই ডি বক্সের ভিতরে ভুল করেন বখতিয়ার। মোহাম্মদ শফিককে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। এবারেও লি টাকের পেনাল্টি শট বুঝতে পারেননি জিকো। এই দুটি পেনাল্টিই পিছিয়ে দেয় কিংসকে। দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ তৈরি করলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি কলিনড্রেসরা। বিপরীতে গোলের সুযোগ পেয়েই তা কাজে লাগিয়েছেন লি টাকরা। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে ডি বক্সের ডান পাশ থেকে ডান পায়ের কোনাকুনি শটে দারুণ এক গোল করে তেরেনগানুর জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে নেন লি টাক। এর মধ্য দিয়েই হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তিনি। চলতি আসরে এটা দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। এর আগে তেরেনগানুরই জাপানি ফুটবলার ব্রুনো ৪ গোল করেন চেন্নাই সিটি এফসির বিপক্ষে। এরপর আরও একটি গোল করেন মোহাম্মদ আজালিনুল্লাহ। এরপর ৮৩ মিনিটে জালাল একটি গোল করে ব্যবধান কমালেও পরাজয়ের বৃত্ত থেকে বের হতে পারেনি বসুন্ধরা কিংস।

সর্বশেষ খবর