আইসিসির অভিযোগ
► ২০১৮ সালে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ত্রিদেশীয় সিরিজ ও ২০১৮ সালে আইপিএলের সময় জুয়াড়িদের কাছ থেকে পাওয়া প্রস্তাবের কথা আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের (আকসু) কাছে জানাননি সাকিব।►২০১৮ সালের ত্রিদেশীয় সিরিজেই তার সঙ্গে জুয়াড়িরা দ্বিতীয়বার যোগাযোগ করলেও সেটি দ্বিতীয়বার আকসুর কাছে বিস্তারিত জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব।
► ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের একটি ম্যাচের আগে সাকিবকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেটিও যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।
ধারা ২.৪.৪
► এটা অনস্বীকার্য যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এ ধরনের সকল অনৈতিক প্রস্তাব যত দ্রুত সম্ভব কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী বিভাগ ও অন্যান্য দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষ্ঠান, যারা খেলাটির নৈতিকতা রক্ষার চেষ্টা করছে তার কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে। এটা ঠিক ‘অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব’ ছিল কিনা সেটা প্রতিটি ক্ষেত্রেই আলাদাভাবে বিচার করা হবে। একটি নির্দিষ্ট ম্যাচে যদি কোনো খেলোয়াড় দুর্নীতির প্রস্তাব পায় এবং সেটি দুর্নীতি বিভাগকে জানাতে সে যদি ম্যাচ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে, তবে তা গ্রহণযোগ্য হবে না (এবং ‘অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব’ বলে গণ্য হবে)।
► দুর্নীতি দমন বিভাগের ৬.২ ধারা অনুযায়ী ২.৪.৪ ধারায় সর্বনিম্ন ছয় (৬) মাস থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ (৫) বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যায়। সেক্ষেত্রে সাকিব আল হাসানকে দুই বছর (এর মাঝে স্থগিত শাস্তি এক বছর) শাস্তি দেওয়ার পেছনে এ বিষয়টি ভূমিকা রেখেছে।
যে কারণে শাস্তি ৬ মাসের বেশি
► আগারওয়ালের কাছ থেকে তিনবার প্রস্তাব পেয়েও কর্তৃপক্ষকে জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
► আগারওয়ালের সঙ্গে সাকিবের সাক্ষাতের বিষয়টি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং বেশ দীর্ঘ সময় ধরে চলেছে।
► সাকিব আল হাসানের সঙ্গে যেভাবে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তাতে উদ্দেশ্য পরিষ্কার বোঝা গেছে। সাকিব পরিষ্কার বুঝতে পেরেছিলেন আগারওয়াল তার কাছ থেকে তথ্য নিয়ে জুয়ার কাজে তা ব্যবহার করবে।
► সাকিব একজন অভিজ্ঞ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। তিনি অনেকবারই দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন এবং এ ধারায় তার কর্তব্য খুব ভালোমতোই জানেন।
► বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে সাকিব বেশ গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে ছিলেন।
সর্বোচ্চ শাস্তি না পাওয়ার কারণ
► সাকিব নিজ থেকে সব দায় মেনে নিয়েছেন এবং তদন্তের সময় সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছেন।
► নিয়ম ভাঙার নোটিস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দায় স্বীকার করে নিয়েছেন।
► দুর্নীতিবিরোধী বিভাগের কাছে সাকিব অনুশোচনা করেছেন এবং অনুতপ্ত হয়েছেন।
► সাকিবের অতীত আচরণ।
►নির্দিষ্ট ম্যাচগুলোতে ওই ঘটনায় আর্থিক কোনো ক্ষতি হয়নি, মানুষের আগ্রহেও ঘাটতি দেখা যায়নি।
► ওই ঘটনায় খেলার ফলে কোনো প্রভাব পড়েনি।