বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

আগে শাস্তি পেয়েছিলেন যারা

সনাৎ জয়সুরিয়া

শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম সেরা ক্রিকেটার সনাৎ জয়সুরিয়া। ১৯৯৬ সালে শ্রীলঙ্কা বিশ্বকাপ জয়ের পেছনে বড় ভূমিকা ছিল এ গ্রেট ক্রিকেটারের। জয়সুরিয়ার বিপক্ষে উঠেছিল আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ। সেটি অবশ্য ক্যারিয়ারে ইতিটানার অনেক পরে। আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগ জয়সুরিয়ার বিপক্ষে অভিযোগ তোলে গত বছর অক্টোবরে। শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে দুর্নীতি নিয়ে তদন্তে নেমে জয়সুরিয়ার সাহায্যে চেয়েছিল আইসিসি। কিন্তু ম্যাচ পাতানো নিয়ে কোনো তথ্য দিয়ে সহায়তা করেননি জয়সুরিয়া। এতে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন তিনি।

 

কুশল লোকুরাচ্চি

বিপিএলে ম্যাচ পাতানো বিতর্কে জড়িয়ে ক্যারিয়ারটা আর বেশি দূর যেতে পারেনি লোকুরাচ্চির। ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের হয়ে বিপিএল খেলেছেন লঙ্কান এ সাবেক অলরাউন্ডার। ২০১৪ সালে বিপিএলে ম্যাচ পাতানো বিতর্কে জড়িয়ে ১৮ মাস নিষিদ্ধ হন তিনি। তার বিপক্ষে আকসুর অভিযোগ ছিল, ম্যাচ পাতানো হবে জেনেও তা যথাযথ আকসু কর্তৃপক্ষকে জানাননি।

 

জিন সাইমস

দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ওঠেনি জিন সাইমসের। তবে প্রোটিয়াদের ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালোভাবেই আলো ছড়িয়েছে। ২০১৬ সালে তাকে ৭ বছরের নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। সাইমসের বিপক্ষে আইসিসির ‘অ্যান্টিকরাপশন কোড’। ভাঙার অভিযোগ ছিল দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের। অথচ আকসুর কাছে সাইমস তা স্বীকার করেননি।

 

সিদ্ধার্থ ত্রিবেদী

ভারতের প্রথম  শ্রেণির ক্রিকেটে পরিচিত মুখ সিদ্ধার্থ ত্রিবেদী। আইপিএল খেলেছেন রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে। জুয়াড়িদের কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগকে এ কথা তিনি জানাননি। এ জন্য এক বছরের নিষিদ্ধ হন ত্রিবেদী।

 

থামি সোলেকিলে

২০০৪-০৫ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তিনটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন সোলেকিলে। ২০১৫ সালে প্রোটিয়াদের ঘরোয়া টুর্নামেন্টে র‌্যামস্ল্যাম - এ ম্যাচে পাতানোর অভিযোগ ওঠে তার বিপক্ষে। বাজিকরদের প্রস্তাব গোপন করার অভিযোগও ছিল। আকসুকে এ ব্যাপারে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেননি। সবরকম অপরাধ মিলিয়ে তাকে ১৬ বছর নিষিদ্ধ করা হয়।

সর্বশেষ খবর