সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

নায়ক সেই মুশফিকই

ক্রীড়া প্রতিবেদক

নায়ক সেই মুশফিকই

মাহমুদুল্লাহর থ্রোতে বল ধরে স্ট্যাম্প ভেঙে দেন মুশফিক। রান আউট শেখর ধাওয়ান। এটি ছিল কালকের ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট -এএফপি

আনন্দ বেদনার বহু মহাকাব্য লিখেছেন মুশফিকুর রহিম। ১৪ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়ে বাংলাদেশকে কখনো রংধনুর সাত রঙে সাজিয়েছেন। কখনো সামান্য ভুলে কান্নার নোনা জলে ভিজিয়েছেন। গতকাল শুধুই আনন্দে ভাসিয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমীদের। ৫৫ হাজার বর্গমাইলের কোটি কোটি ক্রিকেটপ্রেমীকে গতকাল উৎসবে ভাসিয়েছেন, উচ্ছ্বাসে মাতিয়েছেন এবং আনন্দে মাতোয়ারা করেছেন। ভারতের মাটিতে ভারতকে হারিয়ে যে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ, তার নায়ক, মহানায়ক মুশফিক। ধূলিময় দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে মুশফিক ৪৩ বলে ৬০ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলে টি-২০ ক্রিকেট ইতিহাসকে রাঙিয়েছেন। নিজেকে বন্দী করেছেন টি-২০ ক্রিকেট ইতিহাসের সোনালি ফ্রেমে। প্রতিবেশী ভারতকে ৭ উইকেটে হারিয়ে যে বুনো উল্লাসে মেতেছে বাংলাদেশ, মুশফিকের দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিংয়ে যে ইতিহাস লিখেছে সেটা আবার টি-২০ ক্রিকেট ইতিহাসের হাজারতম ম্যাচ।

জুয়াড়ির সঙ্গে সম্পর্ক এবং ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব গোপন করে সব ধরনের ক্রিকেটে এক বছর নিষিদ্ধ হয়েছেন সাকিব। ভারত সফরের আগে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের অনুপস্থিতি প্রচ- ধাক্কা দিয়েছে বাংলাদেশকে। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন টাইগাররা। শুধু সাকিব নন, নেই তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনও। নিয়মিত একাদশের তিন ক্রিকেটারকে রেখে প্রতিবেশী দেশে টাইগাররা উড়ে যায় মাহমুদুল্লাহর নেতৃত্বে। বায়ুদূষণের দিল্লিতে পা রাখার পরও মাহমুদুল্লাহদের পেছনে তাড়া করেছে সাকিবের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি।

সাকিবের নিষেধাজ্ঞার আকাশসম চাপের মুখে গতকাল ক্রিকেটাররা ‘টিম বাংলাদেশ’ হয়ে ক্রিকেট খেলে ভারতীয়দের প্রথমবারের মতো টি-২০ ক্রিকেটে হারের তিক্ত স্বাদ দিল। আগের ৮ ম্যাচে জয়ের পাল্লা শতভাগ ছিল ভারতের। নবম ম্যাচে এসে প্রথম জয় পেল প্রতিবেশী দেশের বিপক্ষে এবং ৯০ ম্যাচে এটা ৩২তম জয় বাংলাদেশের।

প্রথমে ব্যাট করে শফিউল, আল আমিন, আফিফদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২০ ওভারে ১৪৮ রান করে স্বাগতিক ভারত। ১৪৯ রানের টার্গেটে প্রথম ওভারে সাজঘরে ফিরেন লিটন দাস। টি-২০ ক্রিকেটে ৬৭ নম্বর ক্রিকেটা হিসেবে অভিষিক্ত নাইম ও সৌম্য দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৪৬ রান যোগ করেন ৪২ বলে। অভিষিক্ত নাইম ২৮ বলে ২৬ রান করে সাজঘরে ফেরার পর ক্রিজে আসেন মুশফিক এবং উইকেটে এসেই ধীরলয়ে পাল্টে ফেলেন ম্যাচের চিত্র। তৃতীয় উইকেট জুটিতে সৌম্যর সঙ্গে যোগ করেন ৬৭ বলে ৬০ রান। চতুর্থ উইকেট জুটিতে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে ইতিহাস গড়ার বাকি কাজটুকু সারেন মুশফিক। বিশেষ করে ১৯ নম্বর ওভারে টানা চার চারে ম্যাচ জেতার কাজটুকু সাবেক অধিনায়ক সম্পন্ন করেন সুচারুভাবে।

ভারতের বিপক্ষে অসাধারণ জয়ের নায়ক নিঃসন্দেহে ভুলে যাবেন তিন বছর আগে বেঙ্গালুরুর সেই দুঃসহ স্মৃতি। টি-২০ বিশ্বকাপের ওই ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে জয়ের জন্য ৬ বলে ১১ রান করতে পারেনি টাইগাররা। প্রথম ৩ বলে দুই চারে ৯ রান তুললেও শেষ ৩ বলে কোনো রান করতে পারেনি বাংলাদেশ। হেরে যায় ১ রানে। সেই দুঃস্বপ্নের ম্যাচটি এতদিন তাড়া করেছে মনের অগোচরে। দিল্লিতে সেই মুশফিকই জয়ের নায়ক। মাহমুদুল্লাহর সঙ্গে তার ৪০ রানের জুটিই দলকে এনে দিয়েছে  ঐতিহাসিক জয়। ম্যাচ জিতে উচ্ছ্বসিত মুশফিক বলেন, ‘আমি আমার সেরাটাই খেলেছি। আশা করছি পরের ম্যাচগুলোতেও ভালো খেলব।’

আনন্দ বেদনার বহু মহাকাব্য লিখেছেন মুশফিকুর রহিম। ১৪ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়ে বাংলাদেশকে কখনো রংধনুর সাত রঙে সাজিয়েছেন। কখনো সামান্য ভুলে কান্নার নোনা জলে ভিজিয়েছেন। গতকাল শুধুই আনন্দে ভাসিয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমীদের। ৫৫ হাজার বর্গমাইলের কোটি কোটি ক্রিকেটপ্রেমীকে গতকাল উৎসবে ভাসিয়েছেন, উচ্ছ্বাসে মাতিয়েছেন এবং আনন্দে মাতোয়ারা করেছেন। ভারতের মাটিতে ভারতকে হারিয়ে যে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ, তার নায়ক, মহানায়ক মুশফিক। ধূলিময় দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে মুশফিক ৪৩ বলে ৬০ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলে টি-২০ ক্রিকেট ইতিহাসকে রাঙিয়েছেন। নিজেকে বন্দী করেছেন টি-২০ ক্রিকেট ইতিহাসের সোনালি ফ্রেমে। প্রতিবেশী ভারতকে ৭ উইকেটে হারিয়ে যে বুনো উল্লাসে মেতেছে বাংলাদেশ, মুশফিকের দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিংয়ে যে ইতিহাস লিখেছে সেটা আবার টি-২০ ক্রিকেট ইতিহাসের হাজারতম ম্যাচ।

জুয়াড়ির সঙ্গে সম্পর্ক এবং ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব গোপন করে সব ধরনের ক্রিকেটে এক বছর নিষিদ্ধ হয়েছেন সাকিব। ভারত সফরের আগে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের অনুপস্থিতি প্রচ- ধাক্কা দিয়েছে বাংলাদেশকে। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন টাইগাররা। শুধু সাকিব নন, নেই তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনও। নিয়মিত একাদশের তিন ক্রিকেটারকে রেখে প্রতিবেশী দেশে টাইগাররা উড়ে যায় মাহমুদুল্লাহর নেতৃত্বে। বায়ুদূষণের দিল্লিতে পা রাখার পরও মাহমুদুল্লাহদের পেছনে তাড়া করেছে সাকিবের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি।

সাকিবের নিষেধাজ্ঞার আকাশসম চাপের মুখে গতকাল ক্রিকেটাররা ‘টিম বাংলাদেশ’ হয়ে ক্রিকেট খেলে ভারতীয়দের প্রথমবারের মতো টি-২০ ক্রিকেটে হারের তিক্ত স্বাদ দিল। আগের ৮ ম্যাচে জয়ের পাল্লা শতভাগ ছিল ভারতের। নবম ম্যাচে এসে প্রথম জয় পেল প্রতিবেশী দেশের বিপক্ষে এবং ৯০ ম্যাচে এটা ৩২তম জয় বাংলাদেশের।

প্রথমে ব্যাট করে শফিউল, আল আমিন, আফিফদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২০ ওভারে ১৪৮ রান করে স্বাগতিক ভারত। ১৪৯ রানের টার্গেটে প্রথম ওভারে সাজঘরে ফিরেন লিটন দাস। টি-২০ ক্রিকেটে ৬৭ নম্বর ক্রিকেটা হিসেবে অভিষিক্ত নাইম ও সৌম্য দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৪৬ রান যোগ করেন ৪২ বলে। অভিষিক্ত নাইম ২৮ বলে ২৬ রান করে সাজঘরে ফেরার পর ক্রিজে আসেন মুশফিক এবং উইকেটে এসেই ধীরলয়ে পাল্টে ফেলেন ম্যাচের চিত্র। তৃতীয় উইকেট জুটিতে সৌম্যর সঙ্গে যোগ করেন ৬৭ বলে ৬০ রান। চতুর্থ উইকেট জুটিতে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে ইতিহাস গড়ার বাকি কাজটুকু সারেন মুশফিক। বিশেষ করে ১৯ নম্বর ওভারে টানা চার চারে ম্যাচ জেতার কাজটুকু সাবেক অধিনায়ক সম্পন্ন করেন সুচারুভাবে।

ভারতের বিপক্ষে অসাধারণ জয়ের নায়ক নিঃসন্দেহে ভুলে যাবেন তিন বছর আগে বেঙ্গালুরুর সেই দুঃসহ স্মৃতি। টি-২০ বিশ্বকাপের ওই ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে জয়ের জন্য ৬ বলে ১১ রান করতে পারেনি টাইগাররা। প্রথম ৩ বলে দুই চারে ৯ রান তুললেও শেষ ৩ বলে কোনো রান করতে পারেনি বাংলাদেশ। হেরে যায় ১ রানে। সেই দুঃস্বপ্নের ম্যাচটি এতদিন তাড়া করেছে মনের অগোচরে। দিল্লিতে সেই মুশফিকই জয়ের নায়ক। মাহমুদুল্লাহর সঙ্গে তার ৪০ রানের জুটিই দলকে এনে দিয়েছে  ঐতিহাসিক জয়। ম্যাচ জিতে উচ্ছ্বসিত মুশফিক বলেন, ‘আমি আমার সেরাটাই খেলেছি। আশা করছি পরের ম্যাচগুলোতেও ভালো খেলব।’

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ভারত : ১৪৮/৮ (২০ ওভার)

বাংলাদেশ : ১৫৪/৩ (১৯.৩ ওভার)

ফল : বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী

ম্যাচসেরা : মুশফিকুর রহিম

ভারত : ১৪৮/৮ (২০ ওভার)

বাংলাদেশ : ১৫৪/৩ (১৯.৩ ওভার)

ফল : বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী

ম্যাচসেরা : মুশফিকুর রহিম

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর